চুলের প্রোটিন লেভেল ব্যালেন্স করুন কয়েকটি ইফেক্টিভ উপায়ে

চুলের প্রোটিন লেভেল ব্যালেন্স করুন কয়েকটি ইফেক্টিভ উপায়ে

Main 3

শরীরে যেমন প্রোটিনের প্রয়োজন আছে, তেমনই চুল ভালো রাখতেও এর প্রয়োজন। এটির অভাব হলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। ঠিক একইভাবে চুলেও এর অভাব হলে দেখা দিতে পারে চুল ভেঙে যাওয়া, মলিন হয়ে ওঠা ইত্যাদির মতো নানা সমস্যা। চুলের প্রোটিন লেভেল ব্যালেন্স করার জন্য রয়েছে ইফেক্টিভ কিছু উপায়। প্রোটিন ব্যালেন্স করা কেন চুলের জন্য জরুরি, কীভাবে বুঝবেন হেয়ার প্রোটিন লস হয়েছে এবং এটি রিস্টোর করার ইফেক্টিভ কয়েকটি উপায় নিয়েই আজ জানাবো।

চুলের প্রোটিন লেভেল ব্যালেন্স করা কেন জরুরি?

হেলদি ও স্ট্রং চুলের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কেরাটিন নামক প্রোটিন দিয়ে চুল তৈরি। চুলের প্রতিটি স্ট্র্যান্ড ডাইসালফাইড বন্ডের মাধ্যমে একত্রিত থাকে। প্রোটিন এই বন্ধনগুলিকে ধরে রাখে এবং শক্তিশালী করে। এটাকে চুলের বিল্ডিং ব্লক বলা হয়। এটি চুলকে স্ট্রং করার পাশাপাশি চুল ঘন করতে এবং দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। প্রোটিনের অভাব হলে চুল ভঙ্গুর হয়ে যায়। একটি নির্দিষ্ট লেভেলে এসে হেয়ার গ্রোথ থেমে যায়। তাই চুলের প্রোটিন লেভেল ব্যালেন্স করা জরুরি।

অপরদিকে, হেয়ার ব্রেকেজ প্রিভেন্ট করতে এবং ইলাস্টিসিটি বাড়াতে হেল্প করে ময়েশ্চার। এটি চুলের হাইড্রেশন ধরে রাখে এবং চুলকে স্মুথ ও শাইনি করে তোলে। এক কথায়, হেলদি হেয়ার পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ময়েশ্চার। মূলত প্রোটিন ও ময়েশ্চার একে অপরের পরিপূরক। এই দুটি উপাদানের ব্যালেন্স থাকলে চুল হয়ে উঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।

চুলের প্রোটিন লেভেল ব্যালেন্স করা কেন জরুরি

উপরের আলোচনা থেকে আমরা জানলাম, সুস্থ ও সুন্দর চুলের প্রধান দুটি উপাদান হলো প্রোটিন ও ময়েশ্চার। আর এ দুটির লেভেল ব্যালেন্স করার জন্য প্রয়োজন প্রোটিন ট্রিটমেন্ট। যারা নিয়মিত চুল কালার করেন এবং বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করেন তাদের জন্য এই ট্রিটমেন্টটি বেশ উপকারী। চুলে পুষ্টি যোগাতে, মজবুত করতে এবং সফট করে তুলতে এটি খুবই হেল্পফুল। অনেকেই পার্লারে যেয়ে ট্রিটমেন্টটি নিতে চান। তবে সময় ও খরচের কারণে সবসময় এটি নেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য বাড়িতে বসে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন কিছু প্রোটিন হেয়ার মাস্ক। কিন্তু তার আগে জেনে নেয়া দরকার আপনি কীভাবে বুঝবেন আপনার চুলে প্রোটিনের প্রয়োজন আছে কিনা।

কীভাবে বুঝবেন চুলে প্রোটিনের প্রয়োজন আছে কিনা?

১) চুলের নমনীয়তা হারিয়ে গেলে 

হেয়ার স্টাইল করতে চাচ্ছেন কিন্তু চুল ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে- এর অর্থ হচ্ছে চুলে নমনীয়তার ঘাটতি রয়েছে। প্রোটিনের অভাব হলে এমন হতে পারে। ইলাস্টিসিটি ফিরিয়ে আনতে তাই চুলে ব্যবহার করতে হবে প্রোটিন প্যাক।

২) চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে গেলে

চুল যদি একদম শুষ্ক মনে হয়, রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে চুলে আর্দ্রতার অভাব রয়েছে। এছাড়া এর অভাবে চুলের শাইনিভাব নষ্ট হয়ে যায়, স্প্লিট এন্ডের প্রবলেম দেখা দেয়।

রুক্ষ ও শুষ্ক চুলের প্রটিন লেভেল ব্যালেন্স করার উপায়

৩) হেয়ার টেক্সচার চেঞ্জ হয়ে গেলে

ঘন ঘন হেয়ার কালার করলে চুলের টেক্সচার বদলে যায়। এতে হেয়ার ব্রেকেজ দেখা দেয়। সেই সাথে ময়েশ্চারও লস হয়। ভালো হয় যদি কালার করার আগে চুলে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট করা হয়। সম্ভব হলে একজন হেয়ার স্টাইলিস্টের সাথে এ বিষয়ে কথা বলে নিতে পারেন।

৪) চুল ফ্ল্যাট হয়ে থাকলে 

চুল যদি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয় তাহলে গোড়া মজবুত থাকবে, সফট হবে এবং পাফিনেস থাকবে। পর্যাপ্ত প্রোটিনের অভাবে চুল একদম ফ্ল্যাট হয়ে থাকে, অনেকের চুল আঁশের মতো হয়ে যায়। যত দিন যায়, তত চুল নিষ্প্রাণ হতে থাকে।

চুলে প্রোটিনের অভাব রয়েছে কিনা সেটা বোঝার জন্য ছোট্ট একটি পরীক্ষা করতে পারেন ঘরে বসেই। ভেজা বা শুকনো অবস্থায় চুলের স্ট্র্যান্ড ধরে টান দিন। যদি সেটা প্রসারিত না হয়ে সহজেই ভেঙে যায় তবে বুঝতে হবে চুলে প্রোটিনের অভাব আছে।

SHOP AT SHAJGOJ

    প্রোটিন লেভেল ব্যালেন্স করবেন যেভাবে

    প্রোটিন ও ময়েশ্চারের ঘাটতি পূরণ করে চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে প্রোটিন ট্রিটমেন্ট নেয়া জরুরি। আপনি চাইলে পার্লার থেকে এই সার্ভিস নিতে পারেন। আবার এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্রোটিন প্যাক কিনতে পাওয়া যায়, সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া ঘরোয়া কিছু প্যাকও এ সমস্যার সমাধানে বেশ ইফেক্টিভ হতে পারে। চলুন ঘরে বানানো কয়েকটি প্রোটিন হেয়ার প্যাক সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

    হেয়ার রিপেয়ার মাস্ক

    চুলের হারানো সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে হেয়ার কেয়ার রুটিনে অ্যাড করুন ১০০% অর্গানিক ও ন্যাচারাল Rajkonna Hair Repair Mask। এতে আছে আমলা, রিঠা, হেনাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান। এই মাস্কের সাথে অ্যাড করুন কোকোনাট মিল্ক ও অলিভ অয়েল। এই মাস্কটি ইন্টেন্সিভ প্রোটিন ট্রিটমেন্ট হিসেবে কাজ করবে। সবগুলো উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে চুলে অ্যাপ্লাই করে অপেক্ষা করুন ২০-৩০ মিনিট। এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে কন্ডিশনার অ্যাপ্লাই করুন।

    রিঠা ও আমলাতে প্রোটিন তো আছেই, সেই সাথে কোকোনাট মিল্কও প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। হেয়ার স্ট্র্যান্ডে প্রোপার ময়েশ্চার প্রোভাইড করার পাশাপাশি ব্রেকেজ প্রিভেন্ট করতেও এটি বেশ হেল্পফুল।

    রাজকন্যা হেয়ার রিপেয়ার মাস্ক

    এগ ও ইয়োগার্ট হেয়ার মাস্ক

    ডিম, টকদই ও অলিভ অয়েল একসাথে মিক্স করে এই হেয়ার মাস্কটি বানিয়ে নিন। সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্রোটিনের ঘাটতি বেশি থাকলে সপ্তাহে দুইবার প্যাকটি চুলে ব্যবহার করুন। প্রোটিনের খুব ভালো উৎস ডিম। এতে থাকা ভিটামিন এ, ডি ও ই হেয়ার ড্যামেজ রিপেয়ার করতে হেল্প করে, ড্রাই হেয়ার সফট করে এবং ময়েশ্চার লক করে রাখে। অলিভ অয়েলে থাকা অলেয়িক অ্যাসিড হেয়ার ফল কমায়। এই তেলে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট চুলকে ফ্রি রেডিক্যালের ইফেক্ট থেকে রক্ষা করে। টক দইয়ে আছে জিংক, ভিটামিন ই, প্রোটিন ও ল্যাকটিক অ্যাসিড। স্ক্যাল্পের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে এই উপাদানগুলো খুব ভালো কাজ করে। সেই সাথে চুল হয়ে ওঠে সফট ও সিল্কি।

    SHOP AT SHAJGOJ

       

      চুলের প্রোটিন লেভেল ব্যালেন্স করা কেন জরুরি এবং কীভাবে ব্যালেন্স করবেন, সে সম্পর্কে জানিয়ে দিলাম বেশ কিছু তথ্য। আশা করি আর্টিকেলটি হেল্পফুল ছিল। অথেনটিক হেয়ার কেয়ার, স্কিন কেয়ার এবং মেকআপ প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন সাজগোজ থেকে। সাজগোজের কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে এবং চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার এ অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।

      ছবিঃ সাজগোজ

      6 I like it
      1 I don't like it
      পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

      escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort