৩০ ঊর্ধ্ব বয়স | শরীরের মেদ নিয়ন্ত্রণে ৪টি টিপস জেনে থাকুন ফিট

৩০ ঊর্ধ্ব বয়স | শরীরের মেদ নিয়ন্ত্রণে ৪টি টিপস জেনে থাকুন ফিট

30

নিজেকে ফিট রাখার জন্য নির্দিষ্ট কোনো বয়সের প্রয়োজন হয় না, তবে ৩০-এর ঘরে  বা ৩০ ঊর্ধ্ব বয়স হওয়ার পর ওজন আর আগের মতো কমানো যায় না। শরীর ক্রমশই ভারী হতে থাকে। ২০ বছরের পর থেকে আমাদের প্রতি ১০ বছর-এ মেটাবলিজম রেট ১-২% কমে যায়, ফলে খাবার হজম করার শক্তিও আগের থেকে কমতে থাকে। শরীরে ফ্যাটের পরিমাণও বাড়তে থাকে। এ সময়ে শরীর ফিট রাখার জন্য খাওয়াদাওয়ার পাশাপাশি ব্যায়াম করাটাও জরুরি। ৪০ বছর বয়সেও একেবারে ফিট থাকতে পারবেন যদি আপনি নিয়ম মেনে চলেন। অধিকাংশ মানুষই ব্যায়াম করাটা একটা বাড়তি ঝামেলা মনে করেন।

তবে  আসলে  ব্যায়াম হচ্ছে একটা  অভ্যাসের ব্যাপার। গোসল, খাওয়া, ত্বকের যত্নের মতই সহজ। আর দশটা কাজের মতো  ফিটনেস রুটিনকে ও জীবনের ভাবলে তখন  আর আলাদা করে  ব্যায়াম করছেন বলে মনেই  হবে না।

ছোটখাটো পরিবর্তন দিয়েই শুরু করুন না।  সবসময় বসে না থেকে একটু-আধটু হাঁটা হাঁটি করলে ক্ষতি কি? অফিসেও একটানা বসে না থেকে সুযোগ বুঝে এদিক সেদিকে হেঁটে আসুন। বসা বা হাঁটার সময়, দাঁড়াবার সময়, সবসময় সোজা থাকুন। লিফটের পরিবর্তে সিঁড়ি ব্যাবহার করুন। এই সামান্য পরিবর্তনটুকুই আপনার সুস্থ ও ফিট থাকার প্রথম ধাপ হিসেবে কাজ করবে।

৩০ ঊর্ধ্ব বয়স হলে শরীরের মেদ নিয়ন্ত্রণ কিভাবে করবেন?

এখানে কিছু টিপস দেওয়া হোলো, যেগুলো আপনাকে ফিট থাকতে সাহায্য করবে।

১) যাদের মুল লক্ষ অতিরিক্ত ওজন কমানো – তাদের ক্ষেত্রে হাঁটার কোন বিকল্প নাই। প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটলে  দ্রুত আপনার ক্যালরি বার্ন হবে। তবে খেয়াল  রাখবেন হেটে এসে আবার মাত্রাতিরিক্ত খেলে কোন লাভ হবেনা।

২) যারা একটিভ থাকতে বা খেলাধুলা করতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য সাইকেল চালানো একটি খুবই ভালো ব্যায়াম। মনে রাখবেন প্রতিদিন ১৫ মিনিট সাইকেল চালানো শরীরের জন্য একটি খুবই ভালো ব্যায়াম। সুযোগ থাকলে সাঁতারও কাটতে পারেন।

৩) ছুটির দিন জিমে গিয়ে ট্রেডমিল, রোইং মেশিন ট্রাই করতে পারেন। যেহেতু প্রত্যেকটি খুব হাই ইনটেনসিটি ব্যায়াম, তাই ক্যালরি তাড়াতাড়ি বার্ন হয়।

৪) রেসিসটেন্স ব্যায়ামও একটি ভাল অপশন। পা ফাঁকা করে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সামনে একটা চেয়ার রাখুন। চেয়ার ধরে আস্তে আস্তে বসার চেষ্টা করুন, কিন্তু পুরাপুরি না বসে অর্ধেক বসে আবার উঠে দাঁড়ান। খেয়াল রাখবেন বসার সময় যেন দুই পায়ের মধ্যে যথেষ্ট ফাঁকা থাকে।

এ ছাড়াও যোগাসন, মেডিটেসন এবং এরোবিক্স-এর মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরের ফিটনেস ধরে রাখতে পারবেন।

ছবিঃ সংগৃহীত – shutterstock

20 I like it
5 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort