সেনসিটিভ ত্বকের জন্য ডায়মন্ড ফেসিয়াল - Shajgoj

সেনসিটিভ ত্বকের জন্য ডায়মন্ড ফেসিয়াল

Diamond facial

ডায়মন্ড যেমন একজন নারীর শ্রেষ্ঠ বন্ধু তেমনি ডায়মন্ড ফেসিয়ালও সেনসিটিভ ত্বকের সবচেয়ে কাছের বন্ধু। ডায়মন্ড ফেসিয়ালকে ডায়মন্ড পিল ফেসিয়ালও বলে। ডায়মন্ড ফেসিয়াল হলো এক ধরনের পিল ট্রিটমেন্ট, কিছুটা মাইক্রোডারমা ব্রাসনের মত, যা কোন রকম অস্ত্র চিকিৎসা ছাড়াই ত্বকে নতুন জীবন ফিরিয়ে আনে। ত্বকের এই ফেসিয়ালের বদৌলতে আপনার ত্বকের বলি রেখার ছাপ দেরীতে পড়ে। নিয়মিত ডায়মন্ড ফেসিয়াল করলে ত্বকে অনেকদিন ধরে তারুণ্যের উজ্জ্বলতা বজায় থাকে।

ডায়মন্ড ফেসিয়ালের সুবিধাসমূহঃ

Sale • Facial Kit, Face Wash, Scrubs & Exfoliators

    এই ফেসিয়াল আনইভেন স্কিন টোনের উন্নতি করে আর বয়সের ছাপ লুকাতে সাহায্য করে। রোদে পোড়া কালো ছোপ, ব্রণের দাগ, রুক্ষ শুষ্ক ত্বক এগুলোর চিকিৎসায় ডায়মন্ড ফেসিয়ালের সমকক্ষ আর কিছুই নেই। এছাড়াও আরও কিছু উপকার করে তা হলোঃ

    – ত্বকের ডিপ ক্লিন করে।

    – ত্বক উজ্জ্বল করে তোলে।

    – রিঙ্কেল কমিয়ে আনে।

    – ব্লাড ফ্লো বাড়িয়ে দেয়।

    আসুন জানা যাক বাসায় কিভাবে করবেন এই ফেসিয়াল। যেহেতু আপনার ত্বক সংবেদনশীল তাই টাকা একটু বেশি লাগলেও চেষ্টা করবেন শেহনাজ হুসাইন, ন্যাচারস বা ভিএলসিসি এর মত ভালো মানের ডায়মন্ড ফেসিয়াল কিট কিনতে। সামর্থ্য থাকলে আরও দামী ব্র্যান্ড কিনতে পারেন। তবে কেনার সময় দেখে নিবেন কিটটিতে ডায়মন্ড স্ক্রাব, ডায়মন্ড ডিটক্স লোশন, ডায়মন্ড ম্যাসাজিং জেল, ডায়মন্ড ফেস মাস্ক আছে কিনা।

    df01

    – প্রথমে ক্লিনজিং মিল্ক দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর ডায়মন্ড স্ক্রাব দিয়ে ৫-৭ মিনিট ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে পুরো মুখ স্ক্রাব করুন। তারপর ভেজা কটন দিয়ে মুখ মুছে ফেলুন। ডায়মন্ড স্ক্রাবে আছে ডায়মন্ড আ্যাশ আর আছে এসেনসিয়াল অয়েল, ভেজিটেবল আর ফুলের এক্সট্রাকট। যা ত্বকের গভীরে পৌঁছে ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় আর সব মৃত কোষ দূর করে।

    df02

    -এবার ডায়মন্ড ডিটক্স লোশন লাগাবার পালা। স্ক্রাবারের পর এটা দেয়া হয় কারণ পোরগুলো তখন ওপেন থাকে তাই লোশনটি দ্রুত শোষণ করে আর ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। এ লোশন ত্বককে রিফ্রেশ, রিজুভিনেট আর ডিটক্সিফাই করে। এটি ত্বকের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এটি খুবই হালকা একটি ক্রিম যা ত্বকের উপর প্রটেকটিভ ফিল্ম তৈরি করে। হালকা হাতে ম্যাসাজ করে লোশন গলায় এবং মুখে লাগান।

    df03

    – এরপর লাগান ডায়মন্ড ম্যাসাজিং জেল। এই জেল স্কিন টাইট করে, বলিরেখা দূর করে।পুরো মুখে ও গলায় হালকা হাতে জেল লাগান তারপর ম্যাসাজ করুন ৫-১০ মিনিট। এরপর ভেজা কটন দিয়ে মুখ ক্লিন করে ডায়মন্ড ফেস মাস্ক লাগান। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে তুলে ফেলুন। এই মাস্কে আছে হাইড্রোলাইসড সয়া প্রোটিন, ডায়মন্ড বাসমা যা ত্বকের গভীর থেকে ময়লা তুলে আনে আর ত্বক হয়ে ওঠে দীপ্তিময়।

    df04

    এবার ফেসিয়ালটি শেষ করুন ১ মিলি ডায়মন্ড লোশন মুখে এবং গলায় লাগিয়ে।

    কিছু সতর্কতাঃ

    -ডায়মন্ড ফেসিয়াল করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখে কোন রকম কস্মেটিক্স লাগাবেন না।

    -আপনি ডায়মন্ড ফেসিয়াল করার আগে ব্লিচ করতে পারেন।

    -সূর্যের তাপ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করবেন।

    -বরফ দিয়ে ত্বক ম্যাসাজ করুন।

    লিখেছেনঃ রোজেন

    ছবিঃ সিডিএনটু.ডিলসনেভিগেটর.কো

    36 I like it
    5 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort