একজিমা প্রন স্কিনের যত্নে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি?

একজিমা প্রন স্কিনের যত্নে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি?

421

‘একজিমা’ আমরা অনেকেই ত্বকের এই সমস্যা সম্পর্কে কম বেশি জানি বা শুনেছি। তবে একজিমা শব্দটি পরিচিত হলেও এই স্কিন কনসার্ন সম্পর্কে ক্লিয়ার আইডিয়া অনেকেরই নেই। একজিমা প্রন স্কিনের যত্নে কোন বিষয়গুলো খেয়াল রাখা জরুরি, কোন প্রোডাক্টগুলো এড়িয়ে চলতে হবে, এগুলোই জানবো আজকের ফিচারে।

চলুন জেনে নেই একজিমা কী

প্রথমেই জেনে নেই একজিমা সম্পর্কে। এটি এক ধরনের দীর্ঘমেয়াদি স্কিন ডিজিজ। মেডিকেলের ভাষায় একজিমাকে Atopic dermatitis হিসাবে উল্লেখ করা হয়ে থাকে। কেমিক্যালের কারণে যে ধরনের একজিমা হয়ে থাকে, তাকে কন্টাক্ট ডার্মাটাইটিস বলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বংশগত কারণে এই স্কিন প্রবলেম হয়ে থাকে বলে ধারণা করা হয়। একজিমার সমস্যায় আক্রান্ত স্থানে এক্সেস ড্রাইনেস ফিল হয়, ইচিনেস ও রেডনেস দেখা দেয়। অনেক সময় সাদা সাদা হয়ে থাকে। শরীরের যেকোনো স্থানেই হতে পারে, তবে ফেইসে, হাত-পায়ে, নেইকে, ঊরুর এরিয়াতে বেশি দেখা দেয়। একজিমা প্রন স্কিনের যত্নে একটু বেশিই কেয়ারফুল থাকতে হয়।

এই স্কিন কনসার্ন পুরোপুরি দূর করা যায় না, সঠিকভাবে যত্ন নিলে এটি কমিয়ে আনা যায় বা কন্ট্রোলে রাখা যায়। একজিমা হওয়ার কারণগুলো জেনে নেই চলুন।

একজিমা প্রন স্কিনের যত্ন

কারণ

যদিও একজিমা হওয়ার সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি, তবে কিছু কিছু ফ্যাক্টস এর সাথে জড়িত, সেগুলো হলো:

  • ত্বক জন্মগতভাবে অনেক শুষ্ক হলে
  • কোনো ওষুধ বা কসমেটিকসের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায়
  • রোদে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা
  • অ্যালার্জি ট্রিগার করে এমন ফুড আইটেম
  • ইমিউনিটি কমে যাওয়া

এবার চলুন জেনে নেই একজিমা প্রন স্কিনের যত্নে কোন প্রোডাক্টগুলো ইনক্লুড করা উচিত সেই সম্পর্কে।

একজিমা প্রন স্কিনের যত্ন

১. ময়েশ্চারাইজিং প্রোডাক্ট

ময়েশ্চারাইজার খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ধরনের ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে, যেহেতু একজিমা হলে ত্বক অনেক বেশি শুষ্ক হয়ে যায়। তাই স্কিন সবসময় ময়েশ্চারাইজড রাখা খুব জরুরি। রেগুলার বেসিক স্কিনকেয়ারে ডিপ ময়েশ্চারাইজার স্কিপ করা যাবে না। বডির জন্য নারিশিং বডি লোশন চুজ করুন। তবে প্রবলেম বাড়তে থাকলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় প্রোডাক্ট ইউজ করতে হবে।

ময়েশ্চারাইজিং প্রোডাক্ট

২. কেমিক্যাল ডাই ও ফ্রেগ্রেন্স ফ্রি প্রোডাক্ট

একজিমা প্রন স্কিনের ক্ষেত্রে অবশ্যই কেমিক্যাল ডাই ও ফ্রেগ্রেন্স ফ্রি প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে। কারণ এগুলো ব্যবহার করলে ড্রাই স্কিনে ইরিটেশন বেড়ে যায়। সেই সাথে একজিমার সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।

৩. জেন্টল হাইড্রেটিং ক্লেনজার

এই ধরনের ত্বকের যত্নে অবশ্যই জেন্টল ক্লেনজার বাছাই করতে হবে যেটা শুষ্ক ও একজিমা প্রন স্কিনের জন্য স্যুইটেবল। হাইড্রেটিং ফর্মুলার পি এইচ ব্যালেন্সড ক্লেনজার চুজ করুন। বিভিন্ন স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড এই ধরনের স্কিন কনসার্নকে টার্গেট করে প্রোডাক্ট লঞ্চ করছে। এগুলোর পাশাপাশি অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী চলতে হবে।

যা যা এড়িয়ে চলতে হবে

১) সিনথেটিক ফ্রেগ্রেন্স, অ্যাসেনশিয়াল অয়েল একজিমা প্রন স্কিনকে ইরিটেড করতে পারে, অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন ট্রিগার করতে পারে।

২) ল্যানোলিন একটি পপুলার ময়েশ্চারাইজিং ইনগ্রেডিয়েন্ট যা একজিমা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এই উপাদানটি এড়িয়ে চলুন।

একজিমা প্রন স্কিনের যত্ন

৩) রেটিনয়েড/ ভিটামিন এ যুক্ত স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট স্কিনকেয়ারে অনেক বেনিফিটস দেয়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে এটি একজিমা প্রন স্কিনকে ইরিটেড করে, ড্রাইনেস বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৪) Cocamidopropyl betaine এই উপাদানটি একজিমা প্রন স্কিনে ইচিনেস ট্রিগার করতে পারে। এছাড়া উলের পোশাক, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওয়াইপস, হার্শ সোপ, ডিটারজেন্ট এগুলো এভোয়েড করা বেটার। হট শাওয়ার, লং টাইম এসিতে থাকা এগুলো স্কিনকে ড্রাই করে দেয়।

খেয়াল রাখুন কিছু বিষয়

একজিমা প্রন স্কিনের যেহেতু বাড়তি যত্ন প্রয়োজন, তাই ডেইলি রুটিনটাও এমন হতে হবে যা স্কিনকে প্রোপারলি ময়েশ্চারাইজড রাখবে। ড্যাম্প স্কিনে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে যাতে ত্বক এনাফ হাইড্রেশন পায় এবং ময়েশ্চারাইজড হয়। ডে টাইমে সানস্ক্রিন কিন্তু মাস্ট। প্রতিবার হাত ধোয়ার পর হ্যান্ড ক্রিম অ্যাপ্লাই করে ফেলুন, যেন ড্রাইনেস বেড়ে না যায়। রেগুলার ওয়্যার হিসেবে কটন ফেব্রিক চুজ করুন। ফুড সিলেকশনে সচেতন থাকুন। ব্যস, এই টুকিটাকি কিছু বিষয় মেনটেইন করলে আপনার স্কিন প্রবলেম অনেকটাই কন্ট্রোলে থাকবে।

 

আগেই জেনেছি এই স্কিন কনসার্নটি পুরোপুরি কিওর করা যায় না, তবে কন্ট্রোলে রাখা পসিবল। ডার্মাটোলজিস্টের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ট্রিটমেন্ট নিতে হবে। বেসিক স্কিনকেয়ার রুটিন মেনটেইন করতে হবে। আশা করি, আজকের ফিচারটি আপনাদের জন্য হেল্পফুল ছিলো। অথেনটিক প্রোডাক্ট অনলাইনে কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের ফিজিক্যাল শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, মিরপুরের কিংশুক টাওয়ার, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, ইস্টার্ন মল্লিকা, বসুন্ধরা সিটি, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), সীমান্ত সম্ভার, চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

ছবি- সাটারস্টক

2 I like it
1 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort