ওভারিয়ান সিস্ট নাকি টিউমার | কখন কী করা উচিত জানেন?

ওভারিয়ান সিস্ট নাকি টিউমার | কখন কী করা উচিত?

feamle-organ

ওভারিয়ান সিস্ট নাকি টিউমার কিভাবে বুঝবেন? দুটি আলাদা বিষয় হলেও অনেক সময় এদের পার্থক্য করা রোগীদের জন্য কঠিন হয়ে যায়, যার ফলে নরমাল সিস্ট হলেও তারা দুশ্চিন্তায় ভোগেন। এখন দেখে নেয়া যাক দুটোর কিছু বৈশিষ্ট্য।

ওভারিয়ান সিস্ট নাকি টিউমার

১) ওভারিয়ান সিস্ট-এর লক্ষণ ও চিকিৎসা

১. সাধারণত আ্যসিম্পটোমেটিক, অর্থাৎ কোন লক্ষণ প্রকাশ করে না।

Sale • Acne Treatment, Dull Skin Treatment, Serums

     ওভারিয়ান সিস্ট এর টাইপ - shajgoj

    ২. সাইজ ৫-৭ সে.মি. হয়ে থাকে, ভিতরে ক্লিয়ার ফ্লুয়িড/পানি থাকে- আল্ট্রাসাউন্ড-এর মাধ্যমে ডায়াগনোসিস হয়।

    ওভারিয়ান সিস্ট নাকি টিউমার এ নিয়ে Morphology Index - shajgoj

    ৩. বিভিন্ন রকম ওভারিয়ান সিস্ট-এর মধ্যে ফলিকুলার সিস্ট একটি, যা পলিসিস্টিক ওভারি-তে হয়ে থাকে,  যার কারণ নিয়মিত ডিম্বস্ফুটন না হওয়া, ফলে রোগী বন্ধ্যাত্বের মত সমস্যায় ভুগে থাকে।

    ৪. ওভারিয়ান টিউমারের চিকিৎসা অপারেশন হলেও সিস্ট-এর ক্ষেত্রে অপারেশন দরকার হয় না, ২-৩ মাসের মধ্যে এটি চলে যায়। তবে অবশ্যই একজন গাইনোকোলজিস্ট-এর তত্বাবধানে থাকতে হবে।

    ২) ওভারিয়ান টিউমার

    ওভারিয়ান টিউমারের ক্ষেত্রেও প্রাথমিক অবস্থায় কোন লক্ষণ থাকে না। তবে টিউমার বড় হতে থাকলে তলপেট ভারী হতে থাকে এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ-এর উপর প্রেশার দিতে থাকে। আল্ট্রাসাউন্ড করে যদি টিউমার মনে হয় তবে টিউমার মার্কারসহ অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে এটা  ‘Benign’ নাকি ‘Malignant’ (ক্যান্সার) টিউমার। কারন দুটোর চিকিৎসা পদ্ধতি আলাদা।

    তবে মনে রাখতে হবে বয়স ৪০ এর পর ওভারিয়ান যেকোন সিস্ট/টিউমার গুরুত্বের সাথে চিকিৎসা করাতে হবে,কারণ এক্ষেত্রে Malignant হবার চান্স বেশি থাকে।

     

    লিখেছেন- ডাঃ নুসরাত জাহান,

    এমবিবিএস, এফসিপিএস (অবস-গাইনী)

    সহযোগী অধ্যাপক( অবস-গাইনী)

    ডেলটা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, মিরপুর ১, ঢাকা।

    যোগাযোগের জন্য: ০১৯২৪০৮৭৮৩১

     

    ছবি- medical.net

    45 I like it
    6 I don't like it
    পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

    escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort