দীর্ঘ মেয়াদী পিরিয়ড (মেনোরেজিয়া) | কী ও কেন? - Shajgoj

দীর্ঘ মেয়াদী পিরিয়ড (মেনোরেজিয়া) | কী ও কেন?

দীর্ঘ মেয়াদী পিরিয়ড

বেশিরভাগ মেয়েরাই জীবনের কোন না কোন সময় মাসিক সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে থাকেন। সচেনতা এবং রক্ষণশীলতার কারণে অনেকেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না। যা পরবর্তীতে আরো বেশি জটিলতার সৃষ্টি করে। জেনে নেয়া যাক,দীর্ঘ মেয়াদী পিরিয়ড সম্পর্কে!

মেনোরেজিয়া

পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ অথবা নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদী মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিংকে মেডিকেল টার্মে মেনোরেজিয়া বলা হয়। আরো বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে মাসিকের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত ঘটলে অথবা মাসিক যদি নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে অনেক বেশি দিন চলতে থাকে।

লক্ষণসমূহ

  • প্রতি ঘন্টায় একটি বা তার বেশি স্যানিটারী প্যাড লাগলে।
  • ডাবল প্যাড ব্যবহার করতে হলে।
  • ব্লাড ক্লটের পরিমাণ বেশি দেখা গেলে ( জমাট বাঁধা/রক্তের চাকা)।
  • এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রক্তপাত হলে।
  • অতিরিক্ত রক্তপাত যা আপনার প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজ কর্মকে বাঁধাগ্রস্থ করে।
  • অতিরিক্ত ক্লান্ত বা দুর্বল লাগা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া, মাথা ব্যথা এমন কী শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত শুরু হতে পারে। এই লক্ষণগুলো সাধারণত রক্তশূণ্যতার জন্য হয়।

মেনোরেজিয়া হওয়ার লক্ষন

কারণ

বিভিন্ন কারণে এমন হতে পারে। উল্লেখযোগ্য এবং গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কারণ সম্পর্কে স্বল্প পরিসরে কিছুটা আলোচনা করার চেষ্টা করছি।

  • হরমোনাল ইমব্যালেন্স: ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরনের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে।
  • এনওভুলেটরী মেন্সট্রুয়াল সাইকেল: যাদের রিসেন্ট মেন্সট্রুয়েশন শুরু হয়েছে কিংবা যারা মেনোপজের কাছাকাছি তাদের এমনটা ঘটে।
  • ফাইব্রয়েড ইউটেরাস বা জরায়ুতে টিউমার: রিপ্রোডাক্টিভ এইজে এই টিউমার বেশি হয়।
  • ইউটেরাইন পলিপ: এটাও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রিপ্রডাক্টিভ এইজে হয়।
  • এডেনোমায়োসিস
  • মিসক্যারেজ বা একটোপিক প্রেগনেন্সি
  • ক্যান্সার: জরায়ুর ক্যান্সার, জরায়ু মুখ ক্যান্সার এবং ওভারিয়ান ক্যান্সারের লক্ষণ হিসেবে অতিরিক্ত রক্তপাত হতে পারে।
  • ব্লিডিং ডিজঅর্ডার: কারো কারো ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধা জনিত সমস্যার কারণে বেশি রক্তপাত হয়।
  • ঔষধ: যেমন এন্টি কোয়াগুলেন্ট ড্রাগ।
  • অন্যান্য আরো কিছু কারণ আছে। যেমন- থাইরয়েডের সমস্যা, মেন্টাল স্ট্রেস এছাড়া এন্ডোমেট্রিয়োসিসের কারণেও মেনোরেজিয়া হতে পারে।

চিকিৎসা

যেহেতু অনেক কারণে এটা হতে পারে, আপনার ক্ষেত্রে কোন কারণ এর জন্য দায়ী তা আইডেন্টিফাই করা প্রয়োজন। আপনার রোগের পূর্ণ ইতিহাস, শারীরিক পরীক্ষা এবং কিছু ইনভেস্টিগেশন করার পরই আপনার রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব। সুতরাং শারীরিক সমস্যাকে উপেক্ষা না করে এক জন গাইনী ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন।

ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। শুভ কামনা প্রতিটি নারীর জন্য।

ছবি-  সিডিসি.গভ, সাটারস্টক

51 I like it
7 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort