নিদ্রাহীনতা... কেন? প্রতিকার কী? - Shajgoj

নিদ্রাহীনতা... কেন? প্রতিকার কী?

sleeping

বর্তমান সময়ে এমন নিদ্রাহীনতা কিংবা ইনসমনিয়ার সমস্যা বিভিন্ন মানুষের মাঝে দিনকে দিন যেন বেড়েই চলেছে। যার ফলাফল গিয়ে দাঁড়ায় সারাদিনের দুর্বলতা, মানসিক অবসাদ এবং কর্মক্ষমতা হ্রাস পাওয়া। তবে বেশিরভাগ মানুষই একে খুব একটা আমলে নেন না যা পরবর্তী সময় গুরুত্বপুর্ণ সমস্যার কারণ হতে পারে।

নিদ্রাহীনতা কেন হয়?

বিভিন্ন কারণেই এই নিদ্রাহীনতার সমস্যা হতে পারে। কখনো কখনো নিদ্রাহীনতা হয় ক্ষণিক সময়ের জন্য, কখনো আবার বেশ অনেকদিন ধরে। আবার ব্যক্তিভেদেও নিদ্রাহীনতার কারণ ভিন্ন হতে পারে। তবে পূর্বের তুলনায় এখনকার সময়ে নিদ্রাহীনতার সমস্যা আশংকাজনক ভাবে বেড়ে গেছে। তবে সবচেয়ে বেশি এই সমস্যায় পড়েন তরুণ তরুণীরাই। সাধারণত  বিভিন্ন রকমের দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তা, ভয় এসব থেকেই ইনসমনিয়ার শুরু। এছাড়া খাবারে অনিয়ম, অতিরিক্ত সময় ধরে টিভি দেখা, কম্পিউটারের পর্দার সামনে বসে থাকা, শারীরিক অন্য কোন সমস্যা থেকেও নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে। আবার সারাদিনের মাত্রাতিরিক্ত পরিশ্রম, মনোযোগের সমস্যা, ঘুমানোর স্থান পরিবর্তন এসব কিছুর উপর ভিত্তি করেও নিদ্রাহীনতার সমস্যা হতে পারে।

কী করে হবে প্রতিরোধ? কিংবা প্রতিকার?

ঘুম নেই? তাতে কী? তার জন্য আলাদা করে ভাবনার কী আছে? এমন উদাসীনতায় চলতে থাকা সময়টাই যে শরীর ও মনের জন্য কতটা বিরূপ প্রভাব ডেকে আনে তা হয়তো অনেকটা অগোচরেই থেকে যায়। আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্বান্ত হলো চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যাতীত ঘুমের ওষুধ খাওয়া। তাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো যাতে নিদ্রাহীনতার সমস্যা যাতে আপনাকে ছুঁতে না পারে সে ব্যাপারে সচেতন হওয়া। নিদ্রাহীনতা যাতে আপনার জন্য কোন সমস্যা না হয়ে দাঁড়ায় সেজন্য আগেভাগেই সচেতন হওয়াটা জরুরী। নিদ্রাহীনতা যাতে না হয় সেক্ষেত্রে  যেসব পন্থা অবলম্বন করতে হবে তা হলোঃ

  • সঠিক খাদ্যাভাস বজায় রাখা নিদ্রাহীনতা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খুব বেশি তেলমশলা জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব পরিহার করা যায় পরিহার করুন।
  • প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন।
  • প্রতিদিন সন্ধ্যার দিকে কিংবা পড়ন্ত বিকালে কিছুটা সময় ব্যায়াম কিংবা ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করুন।
  • রাতের খাবারের পর একেবারে সাথে সাথে না ঘুমিয়ে কিছুটা বিরতি নিন। হালকা হাঁটাচলা করুন, বই পড়ুন। তারপর সময়মতো ঘুমাতে যান।
  • রাতে শোবার ঘর একেবারে অন্ধকার না হলে অনেকের ঘুম আসেনা। তাই শোবার ঘরের পরিবেশ অন্ধকার করলে তা ঘুম আসার সহায়ক হতে পারে।

এসবের পরেও নিদ্রাহীনতার সমস্যা না কাটলে আপনার করনীয় হতে পারে,

  • কোন কিছু মনে রাখার বা শেখার চেষ্টা করুন। অথবা নিজের ব্যক্তিগত কোন ধ্যান ধারণা নিয়ে ভাবুন। এতে করে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কে আলস্য ভর করবে এবং তা ঘুম আসতে সহায়ক হবে।
  • ঘুম না আসলে বিছানায় এপাশ ওপাশ না করে উঠে পড়ুন এবং কোন কাজে লেগে যান। যেমন বই পড়া কিংবা কাপড় গোছানো। এতে করে মস্তিষ্কের আলস্য বৃদ্ধি পাবে এবং দ্রুত ঘুম আসবে।
  • ইয়োগা কিংবা মেডিটেশন অনিদ্রার সমস্যার ভালো সমাধান হতে পারে।
  • অনিদ্রার সমস্যা খুব বেশি হলে চা-কফি এবং ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় এবং খাদ্যদ্রব্য পরিহার করুন।
  • কোনকিছুতেই সমাধান না হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে না জেনে, না বুঝে ভুল ঘুমের ওষুধ কখনোই সেবন করবেন না।

লিখেছেনঃ জান্নাতুল ইসলাম শিখা

ছবিঃ দ্যকোটসকাপবোর্ড.কম

5 I like it
0 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort