ত্বকের যত্নে ভালো একটি ময়েশ্চারাইজারের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার খুঁজতে হিমশিম খেয়ে যাই। কেননা আমাদের কারো ত্বক ড্রাই, অয়েলি, সেন্সেটিভ কিংবা কম্বিনেশন। আবার শীত কিংবা গরম ভেদে ত্বকের ধরনও চেঞ্জ হয়ে যায়। তাই আজকে আপানাদের বলব, সব ধরনের ত্বকের জন্য স্যুটেবল এমন একটি ময়েশ্চাইজার সম্পর্কে। যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করার পাশাপাশি ব্রাইটেনিং এর কাজও করবে। আর ময়েশ্চারাইজারটি হচ্ছে Lilac Brightening Moisturiser। আমি অনেকদিন ধরে এই ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহার করছি এবং আমার মনে হয়েছে ময়েশ্চারাইজারটির ব্যাপারে অবশ্যই একটি রিভিউ দেওয়া উচিত। তো চলুন শুরু করা যাক।
কী কী ময়েশ্চারাইজারটিতে?
এই ময়েশ্চারাইজারটিতে আছে ত্বকের জন্য উপকারী বিভিন্ন ইনগ্রিডিয়েন্টস। যেমন-
- আলফা আরবিউটিন
- হানি এক্সট্র্যাক্ট
- হাইড্রোলাইড মিল্ক প্রোটিন
- সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড
- সোডিয়াম ক্লোরাইড
ময়েশ্চারাইজারটির কার্যকারিতা
১। ত্বককে করে হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড।
২। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে স্কিনকে করে সফট এবং কোমল।
৩। ময়েশ্চারাইজারটিতে থাকা উপাদানগুলো ত্বককে করে গ্লোয়িং।
৪। ত্বকের আর্দ্রতাকে ধরে রেখে স্কিন ব্যারিয়ারকে রিপেয়ার করে।
টেকশ্চার এবং স্মেল কেমন?
এই ময়েশ্চারাইজারটির সবচেয়ে ভালো দিকগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এর টেকশ্চার। জেল বেইজড খুবই লাইট ওয়েট এবং সুদিং একটি টেকশ্চার এই ময়েশ্চারাইজারটির। আর যারা কড়া স্মেল পছন্দ করেন না, তাদের কাছে এই ময়েশ্চারাইজারটি খুবই ভালো লাগবে। আর ময়েশ্চারাইজারটির রং খুব সুন্দর বেবি পিংক কালার।
কোন ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী?
আমরা ময়েশ্চারাইজার কেনার ক্ষেত্রে প্রায়ই দ্বিধায় পড়ে যাই কোন ময়েশ্চারাইজারটি আমাদের জন্য স্যুটেবল হবে তা নিয়ে। এক্ষত্রে এই ময়েশ্চারাইজারটি একটি সেইফ অপশন। আপনার ত্বক ড্রাই, অয়েলি, সেন্সেটিভ কিংবা কম্বিনেশন যা-ই হোক না কেন এই ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহার করতে পারবেন নিশ্চিন্তে।
বিশেষ কিছু দিক
এই ময়েশ্চারাইজারটির বিশেষ কিছু দিক হচ্ছে-
- এটি সম্পূর্ণ হালাল
- ডার্মাটলজিক্যালি টেস্টেড
- এতে ক্ষতিকারক কোনো ইনগ্রিডিয়েন্টস নেই
আমার পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স
আমি ত্বক শীতকালে কিছুটা ড্রাই আবার গরমে অয়েলি। এছাড়া ত্বকের কিছু অংশে ড্রাই এবং কিছু অংশ কম্বিনেশন। তাই ময়েশ্চারাইজার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু এই ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহারের পর থেকে আমার আর কোনো ঝামেলাই নেই। ত্বকে এর ব্যবহারে সব জায়গায় সুন্দর ভাবে মিশে যায়। আর কিছু পয়েন্ট আলাদা ভাবে উল্লেখ না করলেই নয়।
১। এটি ব্যবহারে আমার ত্বকে কোনো চিটচিটে ভাব থাকেনা।
২। ত্বক অতিরিক্ত অয়েলি হয়না।
৩। স্কিনে কোনো রকম ব্রেকআউট বা পিমপ্লের সৃষ্টি করেনি।
৪। ত্বকে ব্যবহারে ধীরে ধীরে হেলদি এবং ব্রাইট হয়েছে।
প্যাকেজিং কেমন ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজার?
কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে আমাদের সবচেয়ে বেশি চোখে যে জিনিসটি পড়ে, তা হচ্ছে এর প্যাকেজিং। আর লাইলাক ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজারটির প্যাকেজিং খুবই এলিগেন্ট। সাদা শুভ্র মোড়কে ল্যাভেন্ডার রঙের লেখা, যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
লাইলাক ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজারটি আপনি দিনে ও রাতে যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারবেন। ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো একটি ফেইস ওয়াশ বা ক্লেনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করে নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ময়েশ্চারাইজারটি অ্যাপ্লাই করতে হবে।
পরিমাণ আর দাম?
লাইলাক ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজারে ৫০ গ্রাম প্রোডাক্ট রয়েছে। আর এর দাম মাত্র ৮৫০ টাকা। যা এর কার্যকারিতা ও দাম অনুযায়ী খুব ভালো এবং অনায়াসেই দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়।
কিছু কথা
আমরা কমবেশি সবাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু যাদের অয়েলি স্কিন তারা অনেক সময় মনে করি, আমাদের ত্বকে অতিরিক্ত কোন ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন নেই। কেননা ত্বক সবসময় অয়েলি থাকে। কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। যাদের ত্বক অয়েলি তাদের উচিৎ অবশ্যই একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। কেননা অয়েলি স্কিন ডিহাইড্রেটেড হলে ত্বক সেই ডিহাইড্রেশন মেটাতে অতিরিক্ত তেল প্রডিউস করে। তাই স্কিন অয়েলি হোক কিংবা ড্রাই ময়েশ্চারাইজার কিন্তু মাস্ট!
কোথায় পাবেন এই ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজার?
আমি লাইলাক ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজারটি কিনেছি শপ.সাজগোজ.কম থেকে। অথেনটিক প্রোডাক্টের জন্য সাজগোজই আমার ভরসা। আপনারা স্কিন ও হেয়ার কেয়ারের অথেক্টিক প্রোডাক্ট কিনতে চাইলে সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ ভিজিট করতে পারেন, যার একটি যমুনা ফিউচার পার্ক ও অপরটি সীমান্ত স্কয়ারে অবস্থিত।
এই ছিল আজকের রিভিউ। আশা করছি, প্রোডাক্টটি ব্যবহারে সবার উপকারে আসবে। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।