সব ধরনের ত্বকের জন্য কার্যকরী একটি ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজার

সব ধরনের ত্বকের জন্য কার্যকরী একটি ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজার

মুখে প্রাইমার ট্যাপ ট্যাপ করে অ্যাপ্লাই করতেছে একজন মেয়ে পিছে ফুলের হলুদ ব্যাকগ্রাউন্ড-shajgoj.com

ত্বকের যত্নে ভালো একটি ময়েশ্চারাইজারের গুরুত্ব সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। কিন্তু ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো একটি ময়েশ্চারাইজার খুঁজতে হিমশিম খেয়ে যাই। কেননা আমাদের কারো ত্বক ড্রাই, অয়েলি, সেনসিটিভ কিংবা কারো আবার কম্বিনেশন স্কিন। আবার শীত কিংবা গরম, আবহাওয়া ভেদে ত্বকের ধরনও চেঞ্জ হয়ে যায়। তাই আজকে আপানাদের বলবো সব ধরনের ত্বকের জন্য স্যুইটেবল এমন একটি ময়েশ্চাইজার সম্পর্কে, যা ত্বককে ময়েশ্চারাইজড রাখার পাশাপাশি ব্রাইটেনিং এর কাজও করবে। আর ময়েশ্চারাইজারটি হচ্ছে Lilac Brightening Moisturiser। আমি অনেকদিন ধরে এই ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহার করছি এবং আমার মনে হয়েছে ময়েশ্চারাইজারটির ব্যাপারে অবশ্যই একটি রিভিউ দেওয়া উচিত। তো চলুন শুরু করা যাক।

ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজার এর কার্যকারিতা

১। ত্বক রাখে হাইড্রেটেড ও ময়েশ্চারাইজড।

২। ত্বকের শুষ্কতা দূর করে স্কিনকে ইনস্ট্যান্টলি সফট করে।

৩। ময়েশ্চারাইজারটিতে থাকা উপাদানগুলো ত্বককে করে গ্লোয়িং।

৪। আর্দ্রতা ধরে রেখে স্কিন ব্যারিয়ারকে রিপেয়ার করে।

টেক্সচার ও স্মেল কেমন?

এই ময়েশ্চারাইজারটির সবচেয়ে ভালো দিকগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এর টেক্সচার। জেল বেইজড, খুবই লাইট ওয়েট ও সুদিং ফিল দেয়। একদম নন স্টিকি টেক্সচার এই ময়েশ্চারাইজারটির। আর যারা কড়া স্মেল পছন্দ করেন না, তাদের কাছে এই ময়েশ্চারাইজারটি খুবই ভালো লাগবে। কারণ এর স্মেল খুবই মাইল্ড ও রিফ্রেশিং।

কোন ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী?

আমরা ময়েশ্চারাইজার কেনার ক্ষেত্রে প্রায়ই দ্বিধায় পড়ে যাই কোন ময়েশ্চারাইজারটি আমাদের জন্য স্যুইটেবল হবে তা নিয়ে। এক্ষেত্রে এই ময়েশ্চারাইজারটি একটি সেইফ অপশন। আপনার ত্বক ড্রাই, অয়েলি, সেনসিটিভ কিংবা কম্বিনেশন যা-ই হোক না কেন এই ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহার করতে পারবেন নিশ্চিন্তে।

বিশেষ কিছু দিক

এই ময়েশ্চারাইজারটির বিশেষ কিছু দিক হচ্ছে-

  • এটি সম্পূর্ণ হালাল
  • ডার্মাটোলজিক্যালি টেস্টেড
  • এতে ক্ষতিকারক কোনো ইনগ্রেডিয়েন্টস নেই

আমার এক্সপেরিয়েন্স

আমার স্কিন ত্বক শীতকালে কিছুটা ড্রাই, আবার গরমে অয়েলি। তাই ময়েশ্চারাইজার বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বেশ ঝামেলা পোহাতে হয়। কিন্তু এই ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহারের পর থেকে আমার আর কোনো ঝামেলাই নেই! ত্বকে খুব সুন্দরভাবে মিশে যায়। আর কিছু পয়েন্ট আলাদাভাবে উল্লেখ না করলেই নয়।

১। এটি ব্যবহারে আমার ত্বকে কোনো চিটচিটেভাব থাকে না।

২। ত্বক অতিরিক্ত অয়েলি হয়ে যায় না।

৩। স্কিনে কোনো রকম ব্রেকআউটস বা পিম্পলস দেখা দেয়নি।

৪। স্কিন আগের থেকে হেলদি ও ব্রাইট হয়েছে।

প্যাকেজিং কেমন?

কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহারের আগে আমাদের সবচেয়ে বেশি চোখে যে জিনিসটি পড়ে, তা হচ্ছে এর প্যাকেজিং। আর লাইলাক ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজারটির প্যাকেজিং খুবই এলিগেন্ট। শুভ্র মোড়কে ল্যাভেন্ডার রঙের লেখা, যা দেখতে খুবই সুন্দর লাগে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

লাইলাক ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজারটি আপনি দিনে ও রাতে যেকোনো সময় ব্যবহার করতে পারবেন। ময়েশ্চারাইজারটি ব্যবহারের আগে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ভালো একটি ফেইস ওয়াশ বা ক্লেনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করে নিতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ময়েশ্চারাইজারটি অ্যাপ্লাই করতে হবে। দিনের বেলা অবশ্যই আলাদা করে সানস্ক্রিন ইউজ করুন।

পরিমাণ কেমন?

লাইলাক ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজারে ৫০ গ্রাম প্রোডাক্ট রয়েছে। এর কার্যকারিতাও দাম অনুযায়ী বেশ ভালো এবং অনায়াসেই দুইমাস ব্যবহার করা যায়।

কিছু কথা

আমরা কম বেশি সবাই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু যাদের অয়েলি স্কিন তারা অনেক সময় মনে করি, আমাদের ত্বকে অতিরিক্ত কোনো ময়েশ্চারাইজার প্রয়োজন নেই। কেননা ত্বক সবসময় অয়েলি থাকে। কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। যাদের ত্বক অয়েলি তাদের উচিত অবশ্যই একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা। কেননা অয়েলি স্কিন ডিহাইড্রেটেড হলে ত্বক সেই ডিহাইড্রেশন মেটাতে অতিরিক্ত তেল প্রোডিউস করে। তাই স্কিন অয়েলি হোক কিংবা ড্রাই ময়েশ্চারাইজার কিন্তু মাস্ট!

কোথায় পাবেন এই ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজার? 

আমি লাইলাক ব্রাইটেনিং ময়েশ্চারাইজারটি কিনেছি শপ.সাজগোজ.কম থেকে। অথেনটিক প্রোডাক্টের জন্য সাজগোজই আমার ভরসা। সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

এই ছিল আজকের রিভিউ। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন।

ছবি- সাজগোজ

345 I like it
53 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort