পিঠার কথা মাথায় আসলেই প্রথমে মনে পরে বাঙ্গালিয়ানা। কারণ বাঙালি মানেই হরেক রকম পিঠা বানানোর সমাহার। ১২ মাসই আমরা পিঠা খেতে পছন্দ করি কিন্তু সবসময় এক রকম পিঠা খেতে খেতে একঘেয়ামি চলে এসেছে? তাহলে বদলে ফেলুন পিঠা বানানোর স্টাইল নিয়ে আসুন কিছু ভিন্নতা। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কীভাবে পাটিসাপটা পিঠাকে একটু ভিন্নভাবে বানিয়ে নতুন করে সবার সামনে পরিবেশন করতে পারেন।
[picture]
উপকরণ
- চালের গুঁড়া ১ কাপ
 - ময়দা ১/২ কাপ
 - সুজি ১/৪ কাপ
 - চিনি ১/৩ কাপ
 - ঘী/বাটার/তেল ১ টেবিল চামচ
 - পানি ২ এবং ১/২ কাপ
 - সামান্য লবণ
 - ফুড কালার কয়েক ফোটা (লাল,কমলা,হলুদ,ব্লু,সবুজ)
 
[picture]
খিরসা তৈরির জন্য লাগবে
- দুধ ১ লিটার
 - এলাচ ৩টা
 - চিনি
 - সুজি ৩ চামচ
 
প্রণালী
– প্রথমে খিরসা তৈরির জন্য ১ লিটার ফুল ফ্যাটযুক্ত দুধ নিয়ে দুধটা গরম হয়ে আসলে তার মধ্যে ৩টা এলাচ/ এলাচের গুঁড়া, স্বাদমতো চিনি দিয়ে জ্বাল করে যখন দুধটা অর্ধেক হয়ে আসবে ( হলদে একটা ভাব আসবে দুধে) তার মধ্যে ৩ টেবিল চামচ সুজি/ চালের গুঁড়া দিয়ে দেব। ঘন না হওয়া পর্যন্ত জ্বাল করতে হবে। দুধটা মোটামটি ঘন হয়ে আসলে চুলা থেকে নামিয়ে ফেলবো। চাইলে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত খিরসাটা সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
– বেটার তৈরির জন্য এক এক করে পরিমাপ করা চালের গুঁড়া, ময়দা, সুজি, চিনি, ঘি, লবণ এবং পানি মিশিয়ে নেব।একটি হুইস্কি/ চামচ এর সাহায্যে ভাল করে বেটারটা মিশিয়ে নেব।খেয়াল রাখবেন বেটারটা যেন খুব বেশী পাতলা না হয়।
-অন্য একটি বাটিতে সামান্য একটু বেটার আলাদা করে করে তার মধ্যে পছন্দ মতো আলাদা ফুড কালার দিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দেব।
– চুলায় একটি ফ্রাইং প্যানে একটি ব্রাশ দিয়ে তেল লাগিয়ে হালকা গরম করে নিতে হবে। মেসারিং চামচ দিয়ে রঙ্গিল গোলাগুলো নিয়ে প্যানের মধ্যে পছন্দ মতো ডিজাইন করে ৩০ সেকেন্ড ঢেকে রাখতে হবে। ৩০ সেকেন্ড পর সাদা বেটারটা দ্রুত ছড়িয়ে দিয়ে কর্ণার বরাবর খিরসা দিয়ে একটা সাইড থেকে পিঠা ভাজ করে নিতে হবে। একইভাবে আপনি নিজের পছন্দ মতো যে কোন ফুড কালার দিয়ে ইচ্ছা মতো ডিজাইন করে নিতে পারেন।
ছবি – ইউটিউব ডট কম
রেসিপি – তাশফিক রাত্রি






