ঘন ও লম্বা চুল পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে যত্ন নিচ্ছেন তো?

ঘন ও লম্বা চুল পাওয়ার জন্য সঠিক নিয়মে যত্ন নিচ্ছেন তো?

Sara

ঘন ও লম্বা চুল পাওয়ার জন্য আমরা অনেক কিছু করলেও কোথায় যেন কমতি রয়ে যায়, নইলে চুল কেন লম্বা হয় না! এমন চুল পাওয়া একটা বড় চ্যালেঞ্জ মনে হলেও কিছু নিয়ম ফলো করে আমরা কিন্তু সহজেই হেলদি হেয়ার গ্রোথ প্রোমোট করতে পারি। আজকের আর্টিকেলে জানাবো কোন নিয়মে যত্ন নিলে আপনিও পেতে পারেন আপনার মনের মতো ঘন ও লম্বা চুল।

ঘন ও লম্বা চুল পাওয়ার উপায় 

স্ক্যাল্প ম্যাসাজ

হেয়ার গ্রোথ প্রোমোট করার সব থেকে সিম্পল ওয়ে হচ্ছে রেগুলার স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করা। কারণ এতে আমাদের হেয়ার ফলিকলে ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আলতোভাবে সার্কুলার মোশনে নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করতে হবে।

ঘন ও লম্বা চুল পাওয়ার জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করা জরুরি

হেয়ার অয়েলিং

কোকোনাট, অলিভ, ‌আরগান অয়েল আমাদের চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেয়- যা চুলকে স্ট্রং করে তোলে এবং সফট ও সিল্কি রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও লাইট ওয়েট কোনো তেল নিয়মিত চুলের আগায় লাগালে স্প্লিট এন্ডস প্রিভেন্ট হয় এবং চুল ভেঙে পড়া থেকে আটকায়। ক্যাস্টর অয়েল, ব্ল্যাক সিড অয়েল, রোজমেরি অ্যাসেনশিয়াল অয়েল নিয়মিত চুলের গোড়ায় লাগালে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। একটুখানি গরম করে ম্যাসাজ করলে তেলটা খুব ভালোভাবে চুলে পেনিট্রেট করে এবং আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। খেয়াল রাখতে হবে অন্য সব অ্যাসেনশিয়াল অয়েলের মতো রোজমেরি অ্যাসেনশিয়াল অয়েলও অনেক স্ট্রং। তাই অবশ্যই এটাকে কোনো ধরনের ক্যারিয়ার অয়েলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে হবে।

চুল আঁচড়ানো

রেগুলার চুল আঁচড়ানো বেশ ভালো একটি অভ্যাস কারণ এতে স্ক্যাল্পের ন্যাচারাল অয়েল পুরো চুলে ছড়িয়ে যায় এবং চুল থাকে হেলদি ও শাইনি। তবে এই ক্ষেত্রে মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা ভালো। কারণ এটি চুল ভেঙে পড়া থেকে আটকায় এবং চুলে সহজে জট লাগে না।

টাইট হেয়ার স্টাইল না করা 

অতিরিক্ত টাইট হেয়ার স্টাইল হেয়ার স্ট্রেস সৃষ্টি করে যা চুলের গোড়াকে উইক করে দেয়। ফলে দেখা দেয় অতিরিক্ত হেয়ার ফল। তাই আমাদের চুল খুব টাইট করে বেঁধে রাখা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমাদের উচিত চুল সব সময় লুজ করে বাঁধা এবং রাতে ঘুমানোর আগেও ওভারনাইট প্রোটেক্টিভ হেয়ার স্টাইল ব্যবহার করা।

হিট প্রোটেক্টর ইউজ করা

হিট স্টাইলিং টুলস যেমন- কার্লিং আয়রন, স্ট্রেইটনার এবং ব্লো ড্রাইয়ার আমাদের চুলের ক্ষতি করে। অতিরিক্ত হিট আমাদের চুলে স্প্লিট এন্ডস তৈরি করে এবং হেয়ার ব্রেকেজ বেড়ে যায়। এতে আমাদের চুল হয়ে ওঠে আনহেলদি। যার কারণে চুল দুর্বল হয়ে যায় এবং খুব সহজেই ভেঙে পড়ে। তাই আমাদের উচিত স্টাইলিং টুলস যত বেশি সম্ভব এড়িয়ে চলা এবং ব্যবহারের সময় অবশ্যই হিট প্রোটেক্টর ইউজ করা।

হিট প্রোটেক্টর ইউজ করা

ওভার ওয়াশিং না করা

খুব ঘন ঘন হেয়ার ওয়াশ করলে চুলের ন্যাচারাল অয়েল স্ট্রিপ হয়ে যায় এবং চুল হয়ে যায় ডাল, ড্রাই ও ড্যামেজড। তাই শ্যাম্পু চুজ করার ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্ক হতে হবে। যদি প্রতিদিন শ্যাম্পু করতে হয় তাহলে মাইল্ড শ্যাম্পু চুজ করুন। এছাড়া সপ্তাহে ১/২ বার ক্ল্যারিফায়িং শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু ব্যবহারের সময় খুব হার্শলি স্ক্রাব করা যাবে না, তা না হলে চুলের গোড়া উইক হয়ে যায় এবং হেয়ার ফল হতে শুরু করে। এর পাশাপাশি স্ক্যাল্পও হয়ে যায় ইরিটেটেড।

হেলদি ডায়েট মেনটেইন করা 

আমাদের খাবার কিন্তু হেয়ার গ্রোথ এর জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এতে থাকা পুষ্টি ওভারল হেলথ এর পাশাপাশি হেয়ার গ্রোথ এর জন্য খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে। আমাদের উচিত প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ একটি ব্যালেন্সড ডায়েট প্রতিদিন মেনটেইন করা। তার সাথে ডিম, বাদাম, মাছ ও শাক সবজি খাবার তালিকায় ইনক্লুড করতে পারেন। কারণ এই খাবারগুলোতে আছে বায়োটিন, ভিটামিন ই এবং ফ্যাটি অ্যাসিড যা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এর সাথে রেগুলার পরিমাণমতো পানি পান করতে একদমই ভোলা যাবে না।

উইকলি ট্রিটমেন্ট

পেঁয়াজের রস, ডিম ও আমলা যে চুল গজাতে সাহায্য করে তা জেনে আসছি আমরা সবাই যুগ যুগ ধরেই। তবে এই সকল উপাদান প্রতিদিন ব্যবহার করলে স্ক্যাল্প ইরিটেটেড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সপ্তাহে ২/১ বার মধু, টক দই কিংবা নারকেল তেলের মতো ময়েশ্চারাইজিং সব উপাদানের সাথে মিশিয়ে আমরা খুব সহজেই কিন্তু বানিয়ে ফেলতে পারি একটি প্যাক, যা হেয়ার গ্রোথ বাড়ানোর পাশাপাশি চুলকে করে তুলবে আরও স্ট্রং ও হেলদি।

হেয়ার গ্রোথ প্রোমোট করতে আমলা পাউডার

এই তো জেনে গেলেন, কীভাবে সঠিক নিয়মে যত্ন নিলে ঘন ও লম্বা চুল পাওয়া যাবে সে সম্পর্কে। এর পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে হেয়ার কেয়ার প্রোডাক্টস যেন অবশ্যই নিজের হেয়ার টাইপ অনুযায়ী হয়। সাজগোজে পেয়ে যাবেন অথেনটিক সব হেয়ার কেয়ার, স্কিন কেয়ার ও মেকআপ প্রোডাক্টস। সাজগোজের কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ণ মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে এবং চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার এ অবস্থিত। এই শপগুলোতে ঘুরে নিজের পছন্দমতো অথবা অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন আপনার দরকারি প্রোডাক্টগুলো।

 

ছবিঃ সাজগোজ

11 I like it
1 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort