কাজে ব্যস্ত থাকলে চুলের যত্ন নেয়া হয় না। আবার চুলের খুব ভালোভাবে যত্ন নেয়ার উপকরণ কেনাকাটা করাও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। তারপরও কিছু বাড়তি যত্ন অবশ্যই দরকার। ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করেও আমরা চুলের সঠিক যত্ন নিতে পারি। চুলের যত্নে বাহিরের উপকরণ থেকে ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করা বেশি উপকারী। আমরা আজকে আপনাদের ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নিতে কিছু কার্যকরী প্যাক সম্পর্কে ধারণা দিবো। খুব বেশি না পারলেও সপ্তাহে দু’দিন অন্তত নিয়ম করে এই ঘরোয়া প্যাকগুলো ব্যবহার করাই যায়। তাই চলুন জেনে নিই কিভাবে করবেন ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন ।
ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন
(১) ডিম ও তেল
ঘরে যদি ডিম থাকে তাহলে সেটি চুলের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে যদি আপনার চুল রুক্ষ হয় তাহলে ডিমের সাদা অংশ বাদে শুধু কুসুমের সাথে তেল মিশিয়ে নেবেন। আর পাতলা চুলের জন্য শুধু ডিমের সাদা অংশ নিবেন। মিশ্রণ তৈরি হয়ে গেলে চুলে ভালোভাবে মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। এটি চুলের জন্য খুবই কার্যকরী। খুব সহজেই এই প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন।
(২) টকদই
অনেকের চুলে কন্ডিশনার (conditioner) ব্যবহার করলে প্রচুর চুল পড়ে। তাই প্রতিদিনই কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না। টকদই কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। তাই টকদই চুলে মেখে রেখে দিন ১০ মিনিট তারপর ধুয়ে ফেলুন। এভাবে শ্যাম্পুর পর টকদই ব্যবহার করলে আপনার চুল হবে ঝলমলে।
(৩) চা-পাতা
চা খাওয়ার পর চা-পাতা ফেলে দেবেন না। সেটি আরেকবার ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে রেখে দিন। গোসলের শেষে চায়ের পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
(৪) কলা ও মধু
সিল্কি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে কলা আর মধুর মিশ্রণ ব্যবহার করুন। তবে কলার এই পেস্ট ১০ মিনিটের বেশি চুলে রাখবেন না। তাহলে চুল ধুতে কষ্ট হবে। ৫-৬ মিনিট রেখে তারপর ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
(৫) ক্যাস্টর অয়েল
চুল ঘন করার জন্য এবং দ্রুত বাড়ার জন্য ক্যাস্টর অয়েল অনেক উপকারী। এই তেল অনেক ঘন হয়। তাই এই তেল অল্প করে চুলে ম্যাসেজ করে ১০ মিনিট রাখবেন। চাইলে সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
(৬) পেঁয়াজের রস
ঘরে থাকা প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় একটি জিনিস হলো পেঁয়াজ। চুলকে মজবুত রাখার জন্য এটি খুবই উপকারী। পেঁয়াজের রস আলাদা করে নিয়ে চুলে সরাসরি লাগিয়ে নিবেন। সিল্কি বা পাতলা চুলে পেঁয়াজের রস সরাসরি লাগালেও রুক্ষ চুলে পেঁয়াজের রসের সাথে লেবুর রস বা অল্প তেল মিশিয়ে নেবেন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলবেন।
(৭) সরিষার তেল ও নারিকেল তেল
সরিষার তেল অনেক ঘন হয়। এটি সব ঘরেই কম বেশি থাকে। এই তেল চুলের সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। খুবই অল্প পরিমাণ সরিষার তেলের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে নিবেন। তারপর চুলের তালুতে আর আগাতে ম্যাসাজ করে নিবেন। ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। সরিষার তেলের বদলে ক্যাস্টর অয়েল ইউজ করতে পারেন।
ঘরে থাকা উপকরণ দিয়েই চট জলদি কিভাবে চুলের যত্ন নেয়া যায় দেখলেন তো! খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে চুল করতে পারেন স্বাস্থ্যোজ্জল। এতে খরচও কম হবে। একদম ঘরে থাকা উপকরণ দিয়েই চুল হবে ঝলমলে। তাই এই কার্যকরী প্যাকগুলো ব্যবহার করুন এবং ফিরে পান চুলের আসল সৌন্দর্য।
ছবি- সংগৃহীত: ইমেজেসবাজার.কম, সাজগোজ