মেয়েদের প্রয়োজনীয় কিছু বিউটি টিপস - Shajgoj

মেয়েদের প্রয়োজনীয় কিছু বিউটি টিপস

Makeup

প্রতিটি মানুষই নিজেকে অন্যদের কাছে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করতে চায়। ত্বক, চুল বা সাজগোজের কৌশল হচ্ছে আপনার সেই মাধ্যম যেটা কিনা আপনাকে সবার কাছে অনন্য সুন্দর করে তুলে ধরতে পারে। এজন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার সঠিক যত্ন নিতে হবে। আপনার জন্য এখানে কিছু টিপস আছে যা আপনি অনুসরণ করে আপনার জীবনধারাই পালটে দিতে পারেন।

-দিনে অন্তত দুবার আপনার মুখ পরিষ্কার করুন। এক্ষেত্রে আপনি মাঝে মধ্যে এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। কখনো গরম অথবা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুবেন না।

-গরমে সব সময় হালকা মেক-আপ করুন। এতে আপনাকে দেখতে যেমন স্নিগ্ধ লাগবে তেমনি আপনার নিজের কাছেও অস্বস্তি লাগবে না।

-অতিরিক্ত আই ক্রিম আপনি নখের কিউটিক্যালে ব্যবহার করতে পারেন।

-স্মাজ প্রুফ আই মেক-আপের জন্য ব্লটিং টিস্যু ব্যবহার করুন। এতে করে চোখের চারপাশ থেকে এক্সেস অয়েল বা এক্সেস মেক-আপ রিমুভ করা যায়।

-গরমে কালার করা চুলের রঙ রক্ষা করতে প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত একবার কন্ডিশনিং ট্রিটমেণ্ট করান।

-অনেক সময় আমরা দ্বিধায় ভুগতে থাকি ব্লাশন মুখের কোন অংশটিতে লাগালে সুন্দর দেখাবে। আপনার নাকের চেয়ে ২ আঙ্গুল দূর থেকে ব্লাশন লাগানো শুরু করা উচিত।

-যদি চোখের সাজ অনেক বেশি শিমারি হয় তবে ম্যাট লিপস্টিক লাগালে সুন্দর দেখাবে।

-মেনিকিউর করার পর নখের সৌন্দর্য বজায় রাখতে ২ দিন পর পর নখে ক্লিয়ার নেইল পলিশ লাগান।

-চুল ব্লো ড্রাই করার পূর্বে কোন ভালো মানের ভলিউমাইজিং স্প্রে অথবা হালকা ওজনের জেল ব্যবহার করুন। এতে চুল ঘন দেখাবে।

-ঠোঁট যদি বেশি পাতলা হয় তবে লিপস্টিক লাগানোর আগে স্কিন কালারের কোন লিপ লাইনার দিয়ে ঠোঁটের বাইরে আউটলাইন করুন।

-যখনই ত্বকে কোন পিম্পল দেখতে পাবেন তখন টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করা শুরু করবেন।

-গরমের সময় পায়ের ত্বককেও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করতে ভুলবেন না। তাই বাইরে বের হবার সময় পায়েও এস পি এফ ৫০ সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন লাগাবেন।

-ক্লিন ত্বকের জন্য স্যালিসাইলিক এসিড সমৃদ্ধ ক্লিঞ্জার ব্যবহার করুন।

-চুলের আগা ফাঁটা রোধ করার জন্য প্রথমে হেয়ার আয়রন দিয়ে চুল স্ট্রেইট করে নিন। এরপর হেয়ার রিপেয়ার ক্রিম লাগান।

-মুখে ক্রিম লাগালে তা লক করে রাখার জন্য এর উপর ট্রান্সলুসেণ্ট পাউডার বুলিয়ে দিন।

-যখন কোন অরগানিক বিউটি প্রোডাক্ট কিনবেন তার আগে দেখে নিন এটি এফ ডি এ সারটিফায়েড অরগানিক কিনা।

-গরমের দিনে ফাউণ্ডেশনের বদলে টিনটেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

-চুল কার্ল করলে তা যদি অনেকক্ষণ পর্যন্ত টিকিয়ে রাখতে চান তবে চুল সম্পূর্ণ ভাবে শুকানোর পরই চুলে কারলিং মেশিন ব্যবহার করবেন।

সব সময় সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যাবহার করার চেষ্টা করবেন।কেননা সালফেট চুলকে রাফ করে দেয় উপরন্তু চুলের কিউিক্যালকে ড্রাই করে দেয়।কিছু সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু এর নাম হল L’Oreal Ever Strong Sulfate-Free Fortify System™, Organix Nourishing Coconut Milk Shampoo, Suave Professionals Almond and Shea Butter Shampoo, TRESemme Naturals Radiant Volume Shampoo With Sweet Orange.

-যদি আপনার কাছে নেইলপলিস রিমুভার না থাকে তবে ক্লিয়ার কালারের নেইল পলিস এর উপর লাগিয়ে নিন। তারপর কটন দিয়ে তুলে ফেলুন। দেখবেন পুরোনো নেইল পলিশ উঠে গিয়েছ।

-চোখের পাতার বেইজ হিসেবে কন্সিলার লাগাতে পারেন।

– স্ট্রেইটনার দিয়ে চুল আয়রন করার সময় কম তাপমাত্রায় করবেন তাহলে চুলের ক্ষতি কম হবে।

-ত্বক থেকে মৃত কোষ তুলে ফেলুন। এটা আপনি সঠিক উপায়ে মুখ করে ধোয়ার মাধ্যমে করতে পারেন। এটা আপনার শরীরের অপ্রয়োজনীয় তেল এবং শুষ্কতা অপসারণ করে আপনার ত্বককে তুলবে প্রাণবন্ত।

-ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য আপনার প্রতিদিন একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত। বিশেষ করে শীতকালে আপনার ময়েশ্চারাইজার দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা উচিত। এটি ব্যবহারে আপনার শুষ্ক ত্বক আবার মসৃণ হয়ে উঠবে।

-সব সময় পরিষ্কার মেক-আপ ব্রাশ নেয়ার চেষ্টা করবেন এতে মুখে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে ব্রন হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।

-সানস্ক্রিন ত্বকের যত্নের একটি অপরিহার্য উপাদান। এটি আপনার ছোট বয়স থেকেই করা উচিত। এটি এমন একটি পদ্ধতি যেটা সূর্যের রশ্মি দ্বারা আলোড়ন সৃষ্টি করে এবং আপনার ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। শীতকালে এবং মেঘলা আবহাওয়ায় এটি অবশ্যই করা উচিত।

-শুষ্ক ঠোঁট আপনার ক্ষতির অনেক কারণ হতে পারে। এজন্য আপনি আপনার ঠোঁটের সৌন্দর্য রক্ষার জন্য লিপ জেল ব্যবহার করতে পারেন।

-শীতকালে আপনার চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়। আপনার ত্বকের স্নিগ্ধতা ফিরে পেতে হিউমিডীফাইয়ার/শুষ্কতা অপসারণ যন্ত্রটি ব্যবহার করতে পারেন।

-আপনি যদি অপর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান তাহলে আপনার ত্বক ফ্যাকাসে, নিস্তেজ এবং শুষ্ক দেখাবে। তাই আপনাকে প্রতি রাতে অবশ্যই কমপক্ষে সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে। এটা আপনার ত্বকের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

-পানি শরীরের জন্য একটি অপরিহার্য উপাদান। প্রতিদিন কমপক্ষে সাত থেকে আট গ্লাস বিশুদ্ধ পানি পান করুন। এটি আপনার ত্বককে সারাদিন প্রাণবন্ত করে রাখতে সাহায্য করবে।

-আপনার খাদ্য তালিকায় ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন। এটা আপনার ত্বককে প্রভাবিত করে। পরিমিত পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ই সমৃদ্ধ ফল এবং শাক সবজি নিয়মিত গ্রহণ করুন। চর্বি ও তৈলযুক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন, এটা আপনার ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি করতে পারে।

-প্রতিদিন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে হালকা গরম পানিতে লবণ ও লেবুর রস দিয়ে ১০ মিনিট পানিতে পা ভিজিয়ে রাখুন। তারপর পা ধুয়ে ফেলুন। পায়ে কোন দুর্গন্ধ থাকবে না।

-বডি লোশন লাগানোর সব চেয়ে উৎকৃষ্ট সময় হল গোসলের পর পর। কেননা এ সময় স্কিন সহজে লোশন শোষণ করে নেয়।

-৩/৪ মাস পর পর আইলাইনার এবং মাশকারা বদলে ফেলবেন।

 -মুখে সব সময় ক্রিমি ক্লিঞ্জার ব্যবহার করবেন। কেননা জেলগুলো ত্বক শুষ্ক করে দেয়।

-এক গ্লাস পানির মধ্যে বরফ দিয়ে ওর মধ্যে মধু, লেবু এবং পুদিনা পাতা দিন৷ সেই জলটা পান করুন৷ এতে ত্বকের চমক বাড়বে।

আশা করি এইসব ছোটখাট টিপস আপনাদের কাজে লাগবে। ধন্যবাদ সবাইকে।

লিখেছেনঃ রোজেন

ছবিঃ দ্যপ্রফেশনালডিভা.ব্লগস্পট.কম

5 I like it
0 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort