পরিবারের বড় মেয়ে | ছোট ভাই-বোনের প্রতি দায়িত্বগুলো কেমন হবে?

পরিবারের বড় মেয়ে | ছোট ভাই-বোনের প্রতি দায়িত্বগুলো কেমন হবে?

big sister

একটি পরিবারের বড় মেয়ে মানেই হচ্ছে বাড়তি দায়িত্ব। বড় ভাই বা বোনের দায়িত্বই হচ্ছে ছোট ভাই/বোনদের একমাত্র বন্ধু হওয়া। মাঝে মাঝে এই কাজটি হতে পারে আপনার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। অল্প কিছু টিপস ফলো করেই কিন্তু আপনি আপনার পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে ভাই-বোনদের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য ঠিকমতো পালন করতে পারেন। কিভাবে? আসুন দেখে নেই পরিবারের বড় মেয়ে ১০টি টিপস জেনে কিভাবে তার ছোট ভাই-বোনদের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে পারে!

পরিবারের বড় মেয়ে যে ১০টি টিপস অনুসরণ করতে পারে

১. সময় দিন

আপনার ভাই বোনের সাথে সময় ব্যয় করুন। এখনকার দিনে দেখা যায় অনেক পরিবারে ভাই-বোনদের মধ্যে এক ধরনের দূরত্ব কাজ করে। কাজ শেষ করে সবাই নিজ নিজ কাজ নিয়ে ব্যস্ত্ থাকে এবং কেউ কারো খোঁজ নেয় না। যার কারণে এই দূরত্ব বাড়তে পারে। পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে আপনার দায়িত্ব হবে সবার আগে আপনার ছোট ভাই/বোন-এর খবর নেয়া। তার সাথে সময় ব্যয় করার চেষ্টা করুন। তার সাথে খেলুন, মুভি দেখুন, বই পড়ুন এবং আনন্দে কিছু সময় কাটান।

২. ছোটদের কথা শুনুন

নিজের মধ্যে শোনারমতো মনোভাব গড়ে তুলুন। ছোট শিশুরা কথা বলতে খুব ভালোবাসে। আর যে তার কথা শোনে তাকে সে সবচাইতে বেশি পছন্দ করে। তাই পরিবারের বড় মেয়ে বা বড় বোন হিসেবে আপনি যদি আপনার ভাই/বোন-এর সবচাইতে প্রিয় মানুষ হতে চান তাহলে ধৈর্য্য ধরে তার কথাগুলো শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন। সে যাই বলুক, মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তাকে আরো বলতে উৎসাহ দিন। এতে সে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে এবং আরো কথা বলতে চাইবে।

৩. শৃঙ্খলা শেখান

তাদেরকে উদাহরণের সাথে শৃঙ্খলা শেখানোর চেষ্টা করুন। পরিবারে আপনার যদি একাধিক ছোট ভাই/বোন তাহলে অনেক সময় তারা মারামারি বা ঝগড়া করতে শুরু করে। এটা স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে বড় বোন হিসেবে আপনি তাদের ধমক না দিয়ে কাছে ডেকে ঠান্ডা মাথায় বোঝানোর চেষ্টা করুন কেন ঝগড়া করা জিনিসটা খারাপ। দরকার হলে অভিযোগ শুনুন, তারপর সেটা খুব সহজে সমাধান করুন। এতে আপনার প্রতি তাদের নির্ভরতা বেড়ে যাবে অনেকগুণ।

৪. দেখাশোনা  করুন

বাবা মা কে সাহায্য করুন। ভাই বোন বেশি ছোট হলে তার উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখা লাগে। একসময় আপনার বাবা মা ক্লান্ত হয়ে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে আপনি আপনার ছোট ভাই-বোনদের কিছুক্ষণের জন্য দেখাশোনা করতে পারেন। এতে পরিবারে আপনার প্রতি নির্ভরতা বাড়বে। আপনিও আপনার ভাইবোনের কাছে পছন্দের হয়ে উঠবেন।

৫. দায়িত্ব বুঝে নিন

ছোট ভাই/বোনের প্রতি দায়িত্বগুলো আলাদা করে বুঝে নিন। মাঝে মাঝে তাদের পড়ালেখায় সাহায্য করুন। আপনি যদি বুঝতে পারেন আপনার ভাইবোনের প্রতি আপনার দায়িত্ব কতটুকু বা কী রকম তাহলে সেই অনুসারে আপনি কাজ করলে সহজেই তাদের সাথে মানিয়ে নিতে পারবেন।

৬. উপহার দিন

শুধুমাত্র আপনিই তাদের জন্য না করে বরং তাদেরকেও আপনার জন্য কিছু করতে দিন। শিশুরা বড় কাউকে কিছু উপহার দিতে, বা কোন কাজে নিজের ইচ্ছায় সাহায্য করতে পছন্দ করে। তাই সে যদি আপনার জন্য কিছু করতে চায়, সেটা তার জন্য ক্ষতিকারক না হলে তাকে করতে দিন। এতে বন্ধন আরো দৃঢ় হবে।

৭. তুলনা করবেন না

আপনার সাথে আপনার ভাই-বোন এর তুলনা করবেন না। এতে তারা হতাশ হয়ে পড়তে পারে। তাদেরকে যত বেশি সম্ভব উৎসাহ দিন। আপনি যা পারেন সে তা নাও পারতে পারে, কিন্তু সেই কারণে মন খারাপ করে যাতে তারা যেটা ভালো পারে সেটাতে দক্ষতা নষ্ট না হয় তা খেয়াল রাখুন।

৮. রাগ করবেন না

আপনার ভাই/বোন এর জন্য একটি উদাহরণ হোন যা তাদেরকে ভালো হতে সাহায্য করবে। তাদের সামনে উত্তেজিত হবেন না, রাগ দেখাবেন না। নাহলে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যাবে। শিশুরা অবুঝ। তাই মাঝে মাঝে তারা আপনার সাথে জেদ করতে পারে, বা যেটা করা উচিত নয় এমন কাজ করতে পারে। এক্ষেত্রে আপনি বাবা মায়ের সাহায্য নিন।

উপরের এই সাধারণ ব্যাপারগুলো মেনে চললে আপনি আপনার ভাই বোনের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্যগুলো পালন করতে শিখে যাবেন। এতে পরিবারে আপনার গুরুত্ব যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি আপনার ভাইবোনের কাছেও আপনার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাটারস্টক

8 I like it
3 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort