গায়ের রঙ যেমনই হোক না কেন শরীরের সমস্ত জায়গায় একই রঙ হওয়া বাঞ্ছণীয়, নতুবা ফর্সা ত্বকও খুবই অসুন্দর দেখায়। গায়ের রঙের অসামঞ্জস্যতা বা ‘আনইভেন কম্পলেক্সন’ একটি বড় সমস্যা। উজ্জ্বল-দাগহীন গায়ের রঙ আপনার আত্মবিশ্বাস-ও বাড়িয়ে তোলে। আজকালকার ব্যস্ত জীবনে নিঁখুত-সমান রঙা চেহারা মেলা ভার; যদি না সঠিক উপায়ে যত্ন নেয়া হয়। ত্বকের যত্নে অবহেলা না করা এবং উপযুক্ত উপায়ে নিয়মিত চর্চা করলেই অপূর্ব সুন্দর মুখশ্রী পাওয়া সম্ভব। তাই গায়ের রঙের অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণে চলুন জেনে নিই কিছু সহজ টিপস।
যে জিনিসগুলো হাতের কাছে রাখবেন –
- ফেসিয়াল ক্লিনজার
- স্ক্রাব
- চিনি
- লেবু
- ময়েশ্চারাইজার
- সানস্ক্রীন
- পানি
- মাল্টি-ভিটামিন
গায়ের রঙের অসামঞ্জস্যতা দূরীকরণে কি করবেন?
০১. দিনে ২ বার ত্বক পরিষ্কার করুন; সকালে এক বার এবং আরেকবার রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে। মেক-আপ না তুলে শুয়ে পড়া থেকে বিরত থাকুন, কেননা এতে করে লোমকূপ বন্ধ হয়ে ব্রেক আউট হতে পারে।
০২. ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ক্লিনজার বা ফেইস ওয়াস ব্যবহার করুন। পণ্য ক্রয়ের আগে সেটা কোন ত্বকের জন্য উপযোগী তা দেখে কিনুন। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে তেলবিহীন ক্লিনজার নিন, শুষ্ক ত্বকের জন্য সাবান বিহীন এবং স্পর্শকাতর ত্বকে ডার্মাটোলোজিকালি টেস্টেড পণ্য ব্যবহার করুন।
০৩. বাজারে পাওয়া যায় এমন একটি ফর্সাকারী উপাদান সম্বলিত স্ক্রাব ব্যবহার করুন, সপ্তাহে ২ বার। এটি আপনার ত্বকের মরা কোষের পাশাপাশি কালো ছোপ কমাতেও সাহায্য করবে। হালকা গরম পানিতে মুখ ভিজিয়ে হালকা হাতে ৫-৭ মিনিটের মত মুখটা ঘষে নিন। জোরে জোরে ঘষবেন না। এরপর ঈষদুষ্ণ পানিতে সমস্ত মুখমন্ডল ধুয়ে ফেলুন।
০৪. আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজ করুন। দিনের বেলাতে কমপক্ষে SPF ১৫ সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন এবং বাইরে বের হওয়ার আগে আলাদা করে সানস্ক্রীন লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। এতে আপনার ত্বক থাকবে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে সু্রক্ষিত। রাতের বেলা ঘুমানোর আগে ভাল মানের একটি নাইট ক্রিম লাগান, যাতে সারা রাতে আপনার ত্বকের ময়েশ্চারাইজেশন বজায় থাকে।
০৫. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। দিনে কমপক্ষে ৮-১০ গ্লাস বিশুদ্ধ পানি গ্রহণ করুন যাতে দেহের কার্যক্রম ঠিক থাকে। পানিশূন্যতায় ত্বক শুষ্ক, নির্জীব ও মলিন দেখায়।
০৬. প্রতিদিন কম করে হলে ৩০ মিনিটের মত অনুশীলনের চেষ্টা করুন। এতে করে রক্ত সঞ্চালন তথা সুস্থ ত্বক সুনিশ্চিত হয়।
০৭. সবসময় পরিমাণ মত সুষম খাবার গ্রহণ করুন। প্রক্রিয়াজাত চিনি এবং ফ্যাট জাতীয় খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি এবং ফল-মূল খান, চেষ্টা করুন তার সবই যেন টাটকা হয় সেদিকটা খেয়াল রখতে। সম্ভব হলে নিজেই ফলাতে পারেন নিজের বাগানে।
০৮. নজর রাখুন আপনার খাদ্য তালিকায় যেন এই কয়েকটা উপাদান অবশ্যই থাকে –
টুনা ও স্যালমন মাছ (অথবা ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ অন্যান্য মাছ/প্রোটিনের উৎস ), জলপাই এর তেল, কাঁচা বাদাম, ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং মাল্টিভিটামিন ।
০৯. পরিমিত ঘুম খুবই জরুরী। প্রতিদিন অবশ্যই ৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ত্বক যেমন ভাল রাখে তেমনি চোখের নীচে কালো দাগ পড়তেও দেয় না। তাই নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
আপনি চাইলে আপনার পছন্দমতো প্রোডাক্ট কিনতে পারেন অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে। আবার যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ার এ অবস্থিত সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ থেকেও কিনতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি!
ধৈর্য ও নিষ্ঠার সাথে নিয়মিত চর্চা করে গেলে সব রকম সমস্যা থেকেই মুক্তি পাওয়া যায়। এজন্য প্রয়োজন স্বদিচ্ছা ও রুটিন মাফিক চর্চা।
ছবিঃ সাটারস্টক