নিখুঁত মেকাপের কিছু টিপস! - Shajgoj

নিখুঁত মেকাপের কিছু টিপস!

maxresdefault-12

মেকাপ মানে হচ্ছে, খুঁতগুলো ঢেকে ফেলে নিজের সৌন্দর্যটুকু আরো আকর্ষনীয়ভাবে উপস্থাপন করা। আর এই জন্যে আমাদের কিন্তু তোড়জোড়েরও শেষ নেই। কিন্তু এই এতো তোড়জোড় কিন্তু মাটি হয়ে যায় যদি মেকাপ অ্যাপ্লিকেশন এ ভুল হয়ে যায়। মেকাপ অ্যাপ্লিকেশন এ ভুল হলে মেকাপ দেখতে ভালো লাগে না এবং অনেক সময় ভুল অ্যাপ্লিকেশন এ স্কিনের ও ক্ষতি হয়ে যায়। তাই আজকে চলুন জেনে নেই, মেকাপ অ্যাপ্লিকেশন এ কী কী ভুল আমরা সচরাচর করে থাকি এবং সেগুলোর সমাধান।

(১) অনেকেই আছেন, মুখটা ফেইসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে এসেই মেকাপ করা শুরু করে দেন। ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন না। অনেকেই যে অভিযোগ করেন, “আপু স্কিনে মেকাপ ভেসে থাকে, মেকাপ স্কিনে বসে না। ” এটা হয় মেকাপের আগে ময়েশ্চারাইজার না লাগানোর কারণে। তাই স্কিন টাইপ যেটাই হোক না কেন, ময়েশ্চারাইজার একদমই মাস্ট। ড্রাই স্কিনের অধিকারীরা মেকাপের আগে। স্ক্রাবিং করে নিলে আরো ভালো হয়।

[picture]

(২) একটা ফাউন্ডেশন কিনলাম, সারাবছর জুড়ে সেটাই ব্যবহার করে গেলাম। এমনটা করা মোটেও ঠিক না। গরমকালে স্কিন একটু অয়েলি ধরণের হয়ে থাকে আর শীতকালে সেটা ড্রাই এর দিকে চলে যায়। তাই গরমকালে ম্যাট, পাউডার বেইজ ফাউন্ডেশন এবং শীতে ময়েশ্চারাইজিং, গ্লোয়ি ধরণের ফাউন্ডেশন বেছে নিন।

(৩) সুন্দর করে মেকাপ করলেন কিন্তু আইব্রো আর্ট করলেন না। এই একটা জিনিসই আপনার পুরো লুক নষ্ট করে দিতে পারে। কারণ আইব্রো আমাদের পুরো মুখটাকে ফ্রেম করে। তাই আইব্রোকে একদমই বাদ দেয়া যাবে না। তবে আবার ট্যাটুর মতো করে, ন্যাচারাল ভাব বজায় না রেখে, খুবই ডার্ক করে আইব্রো আঁকাটাও কিন্তু দেখতে বাজে লাগে।

(৪) গালে হালকা রংয়ের আভা পেতে আমরা ব্লাশ ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু অতিরিক্ত ব্লাশ ব্যবহারের কারণে দেখতে খুবই বাজে এবং আন-ন্যাচারাল লাগে। আপনি নিশ্চই চান না, আপনাকে দেখতে ক্লাউনের মতো লাগুক! তাই ব্লাশ ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত। ব্লাশ ব্যবহারের জন্যে সঠিক ব্রাশ নিতে হবে। ব্লাশ পাউডার থেকে ব্লাশ নিয়ে এক্সেসটুকু ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। এরপর গালে লাগাতে হবে এবং ভালো করে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।

(৫) ফেইস এ একটা হেলদি গ্লো পেতে ব্যবহার করা হয় হাইলাইটার। কিন্তু অনেকেই আছেন হাইলাইটার পছন্দ করেন এবং প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করেন। সবকিছুর তো একটা পরিমাণ আছে! তাই হাইলাইটার আপনার প্রিয় প্রোডাক্ট হলেও ন্যাচারাল ভাব বজায় রেখে ব্যবহার করাই উচিত।

(৬) সবসময় মাশকারা ব্যবহার করার আগেই আইল্যাশ কার্ল করে নিতে হবে। মাশকারা ব্যবহারের পরে আইল্যাশ কার্ল করতে গেলে তখন মাশকারা উঠে যেতে পারে এবং আইল্যাশ ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

(৭) একটু সুন্দর দেখাতেই তো মেকাপ করা! কিন্তু একগাদা মেকাপ করতে দেখা যায় অনেককেই। একগাদা মেকাপ করলে দেখতে যেমন বয়স্ক লাগে, মেকাপটাও কেকি লাগে। তাই মেকাপে একটু হলেও ন্যাচারাল টাচ রাখার চেষ্টা করবেন। কারণ মানুষ আপনাকে সামনাসামনি দেখবে।

(৮) অনেকেই ভাবে মেকাপ মানেই ফর্সা হওয়া। মেকাপ করলেই ফর্সা লাগবে। তাই স্কিনের থেকে অনেক লাইট কালারের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে থাকেন। এটা করলে কিন্তু আপনাকেই হাস্যকর লাগবে। তাই অবশ্যই স্কিনের সাথে ম্যাচ করে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন এবং ফাউন্ডেশন গলায় লাগাতে ভুলবেন না।

(৯) ড্রেসটা যেমন আপনি বয়স বুঝে কেনেন এবং পরিধান করেন তেমনি মেকাপটাও যেন বয়সটা মাথায় রেখেই করা হয়। যেমন ধরুন, একজন টিনএজ মেয়ে যদি হেভি মেকাপ করে তবে তাকে দেখতে কিন্তু তার বয়সের থেকে বেশী বয়স মনে হবে। তাই এই দিকগুলো মাথায় রাখা উচিত।

এই তো ছিল, মেকাপের কমন ভুলগুলো। আশা করছি, জিনিসগুলো বুঝতে পেরেছেন এবং পরবর্তীতে এই ব্যাপারগুলো মাথায় রাখবেন।

ছবি – ৫০০ পিএক্স

লিখেছেন – জান্নাতুল মৌ

6 I like it
1 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort