ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কালচে মুখ | প্রবলেম সলভ হবে ৬টি উপায়ে! - Shajgoj

ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কালচে মুখ | প্রবলেম সলভ হবে ৬টি উপায়ে!

ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কালচে মুখ হয়ে আছে

অনেকগুলো ব্র‍্যান্ডের ফাউন্ডেশন কিনে ব্যবহার করে ফেলেছেন- ড্রাগস্টোর, হাই এন্ড ইত্যাদি। কিন্তু যেটাই ব্যবহার করছেন, ঘণ্টাখানেক পর কালচে দেখাচ্ছে। এই অভিযোগটা কিন্তু অনেকেরই। ফাউন্ডেশনটা অক্সিডাইজড হয়ে যায়। ফলে স্কিন কালচে দেখায়। আমরা কি জানি, অক্সিডাইজেশনটা আসলে কী? একটা আপেল কেটে রাখলে যেমন বাতাসের অক্সিজেনের সংস্পর্শে এসে সেটা কালচে হয়ে যায়, স্কিনের উপর ফাউন্ডেশনের ক্ষেত্রেও তাই হয়। এই অক্সিডাইজেশনের জন্য কিন্তু কোন একটা স্পেসিফিক কারণকে শনাক্ত করা সম্ভব না। স্কিনের ন্যাচারাল অয়েলের সাথে ফাউন্ডেশনের অয়েল এবং পিগমেন্ট কিভাবে রিঅ্যাক্ট করছে, স্কিনের উপরের লেয়ারের পিএইচ লেভেল (pH Level), বাতাসের আর্দ্রতা, সূর্যের প্রখরতা- অনেক কারণেই এটা সাধারণত হয়ে থাকে। ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কালচে মুখ হয়ে যাচ্ছে?

প্রবলেম সলভ হবে কীভাবে? 

এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবার উপায় কী? চলুন তবে দেখে নেই!

(১) স্কিন কেয়ারে ভুল এড়িয়ে চলুন  

নিজের স্কিন টাইপ অনুযায়ী পারফেক্ট ক্লেনজার, টোনার আর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করলেও অনেক সময় ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজেশনের সমস্যা হতে পারে। তাই আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী ভালোমানের ক্লেনজার, টোনার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। আর সম্ভব হলে শিট মাস্ক লাগিয়ে নিন, এতে স্কিন ফ্রেশ দেখাবে, ইন্সট্যান্টলি ময়েশ্চার রিস্টোর হবে।

ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কালচে মুখ সমস্যা সমাধানে শীট মাস্ক

(২) প্রাইমার ব্যবহার করা 

প্রাইমার কিন্তু শুধু ত্বকের রোমকূপগুলোকে ভিজ্যুয়ালি মিনিমাইজ করতে সাহায্য করে না, সেই সাথে স্কিন এবং ফাউন্ডেশনের মধ্যে একটা লেয়ার তৈরিতেও সহায়তা করে, ফলে সেটা ফাউন্ডেশন আর স্কিনের ন্যাচারাল অয়েলের সাথে রিঅ্যাকশনকে প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। স্কিন ড্রাই হলে হাইড্রেটিং প্রাইমার, অয়েলি হলে ম্যাটিফায়িং প্রাইমার ব্যবহার করুন। আর যদি কম্বিনেশন হয় অর্থাৎ পুরো মুখ ড্রাই বা নরমাল এবং টি-জোন আর অন্য সামান্য অংশ অয়েলি সেক্ষেত্রে অবশ্যই শুষ্ক স্থানের জন্য হাইড্রেটিং প্রাইমার এবং তৈলাক্ত স্থানের জন্য ম্যাটিফায়িং প্রাইমার ব্যবহার করুন। দেখে নিবেন প্রাইমারটি সিলিকোন বেইজড ফর্মুলায় তৈরি কিনা। সিলিকোন বেইজড ফর্মুলায় তৈরি প্রাইমার অক্সিডেশন প্রসেসে বাধা প্রদানে সহায়তা করে।

(৩) ব্র্যান্ড চেঞ্জ করা এবং নিজের আন্ডারটোন দেখে কেনা

নিজের আন্ডারটোন না বুঝে ফাউন্ডেশন কিনলেও অনেক সময় এ সমস্যা হয়। আবার কিছু ব্র্যান্ডের ফাউন্ডেশন এমনিতেই অক্সিডাইজড হয়। কাজেই নিজের আন্ডারটোন দেখে পারফেক্ট শেইডের ফাউন্ডেশন কিনুন। সেই সাথে ব্র্যান্ডটাও চেঞ্জ করে দেখতে পারেন।

(৪) স্কিনকে ব্লট করা 

প্রাইমার লাগানোর ৩-৫ মিনিট পর একবার একটা ভালো মানের ফেস্যিয়াল টিস্যু (দুই পরতের) থেকে একটি পাতলা লেয়ার খুলে স্কিনকে ব্লট করুন। আর ফাউন্ডেশন লাগানোর পর ব্লেন্ড করা শেষ করে আরেকটা যে পাতলা লেয়ার ছিল, ঐটা দিয়ে আরেকবার স্কিনকে ব্লট করুন। ত্বকের উপরিভাগের বাড়তি তেল দূর হবে, ফলে অক্সিডেশন প্রসেস রোধ হবে।

(৫) সঠিকভাবে মেকআপ সেট করা 

সঠিকভাবে মেকআপ সেট করছে একজন

ট্যাল্ক বেইজড পাউডার রোমকূপগুলোকে বন্ধ করে ফেলতে পারে, এবং এগুলো স্কিনকে বেশি ড্রাই করে তুলতে পারে, ফলে স্কিন কেকি দেখাতে পারে। ভালো কভারেজ দেয়, লাইট ওয়েট ফর্মুলার কমপ্যাক্ট বা লুজ পাউডার ইউজ করুন।  সেই সাথে ভালো মানের মেকআপ সেটিং স্প্রে ইউজ করাটাও জরুরি। আপনি ইনডোরে থাকেন, কিংবা আউটডোরে থাকেন, মেকআপ সেটিং স্প্রে ইউজ না করলে মেকআপটা স্মাজ হতে পারে, প্রাণবন্ত দেখাবে না।

(৬) স্কিনের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক করা 

স্কিনের স্বাভাবিক পিএইচ (pH) লেভেল কোন কারণে কম/বেশি হলেও ফাউন্ডেশন অক্সিডাইজড হতে পারে। আপনার স্কিন টাইপ অনুযায়ী অবশ্যই ভালোমানের টোনার ব্যবহার করবেন। অ্যালকোহল-সমৃদ্ধ টোনার অনেক সময় স্কিনকে ওভারড্রাই করে ফেলে। স্কিন টাইপ বুঝে টোনার ইউজ করা ভালো। ন্যাচারাল উপাদানযুক্ত টোনার স্কিনকে নারিশড ও হেলদি রাখতে হেল্প করে। চাইলে রোজ ওয়াটার স্প্রে করে নিতে পারেন।

মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী কখনোই ব্যবহার করবেন না। সবসময় হাতে সময় নিয়ে ফাউন্ডেশন কিনুন। নিজের আন্ডারটোন এবং পারফেক্ট শেইড বুঝুন। ফাউন্ডেশন ট্রাই করার জন্য সবসময় জ-লাইনের ঠিক ওপরের জায়গাটাকে বেছে নিন। দোকানে ফাউন্ডেশন ট্রাই করার পর সাথে সাথেই না কিনে একটু এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করুন, অন্যান্য প্রোডাক্ট দেখুন এবং কিনুন। ঠিক ১৫ মিনিট পর দিনের আলোয় বের হয়ে এসে দেখুন ফাউন্ডেশনটা অক্সিডাইজ করেছে কিনা, স্কিনের ন্যাচারাল কালারের মত দেখাচ্ছে কিনা। যদি সব ঠিক থাকে, তবেই সেই ফাউন্ডেশনটি কিনুন।

অথেনটিক ফাউন্ডেশন কিনতে চাইলে আপনারা সাজগোজের দুইটি ফিজিক্যাল শপ থেকে কিনতে পারেন যা যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত সম্ভারে অবস্থিত। আর অনলাইনে কিনতে চাইলে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারবেন।

 

ছবি- সংগৃহীত: সাজগোজ; আইস্টক

89 I like it
14 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort