বসন্তবরণের সাজসজ্জার সাতকাহন - Shajgoj

বসন্তবরণের সাজসজ্জার সাতকাহন

bosonto-boron

ফাল্গুন এলো বলে! শীতের হিম বিদায় নেবার কাল প্রায় উপস্থিত, কয়টা দিন বাদেই চলে আসবে বসন্ত। পহেলা বৈশাখের মত ছুটির অবসরে উৎসব পালন না হলেও, একেবারে কম কিছু কিন্তু হয় না! বসন্তবরণ চলে নগরের বুকে, রঙ ছড়িয়েই। আর রমণীরা হলুদ-সবুজ বা লালচে রঙের ছোঁয়ায় নিজেদের সাজায়। কেউ বা হাঁটে বিপরীত কোন দিকে। নীলও হয়ে যায় কারো বসন্তবরণের বসন।

এবারের পহেলা ফাল্গুন মাথায় রেখে সাজসজ্জা কেমন হতে পারে, তার আইডিয়া নিয়েই আজকের লেখা। নির্দিষ্ট কোনো রঙ ঠিক করা থাকলে তো সেই রঙেই পোশাক বাছবেন, আর নয়তো চোখ বুলান গত বছরগুলোর এই দিনের ছবিতে। কী সব রঙ বা শাড়ি পরা হয়েছে আগের উৎসবগুলোতে, তার থেকে ভিন্ন কিছু পরা যেতে পারে এবার।

বাসন্তী বা হলুদ বসনেই বসন্তবরণ উৎসব পার হয়। তা থেকে খুব একটা সরতে চান না, আবার ভিন্নতাও চাচ্ছেন, তেমন মেয়েরা গেরুয়া বা বাদামি রঙ বেছে নিন চোখ বুজে। শাড়িতে এসব রঙ দিনের উৎসবে বেশ মানানসই। লাল, সবুজ, কালো বা নীল এসব রঙ মানিয়ে যাবে সাথের ব্লাউজে। হালকা কাজের সুতি শাড়ির সাথে বাটিকের ব্লাউজ, সাদামাটা বাসন্তী সাজ হয়ে যাবে বেশ।

গরম জাঁকিয়ে বসতে আরো দেরি আছে, এই সুযোগে ভারী কাতানের ব্লাউজখানা পরে ফেলা যায় সেদিন। কাতান ব্লাউজ অনেকেই অহরহ পরলেও কেউ কেউ আবার গরমের দিনে বাইরে বের হলে কাতান এড়িয়ে চলে। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের সময়টা এত গরম থাকে যে ভারী কোনো কাপড় পরতে চাওয়াই দায়। তারা পহেলা ফাল্গুনে দিব্যি পরতে পারেন কাতান ব্লাউজ, চাইলে শাড়িও। ছিমছাম জামদানি শাড়ির সাথে কাতানের নকশাদার ব্লাউজ, এমন জমকালো সাজে এবার পহেলা ফাল্গুন কাটানো যায়।

হলুদ-কমলা বসনে গোলাপির ছোঁয়া দারুণ দেখায়। পহেলা বসন্তেও হলুদ শাড়ির সাথে গোলাপি ব্লাউজ, কিংবা উল্টোটা দেখা যায় পোশাকে অনেক বেশি। শাড়িটা যদি হলুদঘেঁষাই হয়, চুলে বাগানবিলাস গুঁজে নেবেন। চুলের সাজে ফুল হিসেবে এর কদর খুব একটা নেই কিনা, তাই পহেলা বসন্তের সাজে আপনাকে সঙ্গ দিতে হলদে শাড়ির সাথে বাগানবিলাস অন্যরকম দেখাবে। সাজে ভিন্নতাও আসবে, দৃষ্টিনন্দনও দেখাবে।

গয়না নির্বাচনে খুব ভাবার কিছু নেই। শাড়ি হালকা ধাঁচের হলে হালকা গয়নাতেই সাজুন। কাঠ বা মাটির রঙিন গলার মালা, ঝোলা দুল আর হাত বোঝাই রিনিঝিনি চুড়ি, উৎসবের যথাযথ সাজ। জামদানি বা অন্য কোনো ভারী কাজের শাড়ি পরলে গয়নাও খানিক জমকালো হতে পারে। সিটি গোল্ড বা রূপার গয়না বেছে নিতে পারেন শাড়ির সাথে মিলিয়ে। গলায় ধাতব বড় মালা আর কানে ছোট্ট ঝুমকো, হাতে তখনো রেশমি চুড়ি মন্দ দেখাবে না।

পোশাক আর গয়নার কথা তো হলো, কিন্তু সাজুগুজুর বিষয়টা? সাজগোজ তো যার যেমন ইচ্ছা, কমবেশি হবেই। তবে কিনা, এসব আয়োজনে ন্যাচারাল লুকটাই বেশি নজরকাড়া দেখায়। তাছাড়া পোশাকেই তো রঙের ছড়াছড়ি, সাজটা তাই হালকা হলে মন্দ হয় না। লিপস্টিক উজ্জ্বল হোক, কাজল হোক আরো গাঢ়, কিন্তু চড়া মেকআপে স্বাভাবিক সৌন্দর্য ঢেকে না দেয়াই ভালো। প্রকৃতির এক ঋতুকে বরণ করতেই যে এত আয়োজন, তা সাজটাও তার সাথে মিলিয়ে ন্যাচারাল রাখলে ক্ষতি কী?

ছবি – কৌশিক ইকবাল

লিখেছেন – মুমতাহীনা মাহবুব

3 I like it
0 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort