ব্রাইটেনিং ফেইস মাস্ক দিয়ে স্কিন হবে উজ্জ্বল, সতেজ ও প্রাণবন্ত

ব্রাইটেনিং ফেইস মাস্ক দিয়ে স্কিন হবে উজ্জ্বল, সতেজ ও প্রাণবন্ত

2 (16)

আমাদের তো বিভিন্ন কাজে ডেইলি বাইরে যেতেই হয়। কলেজ, ইউনিভার্সিটি, অফিস যাওয়ার সময় হালকা মেকআপ তো কম বেশি আমরা সবাই করি, তাই না? একদিন হঠাৎ খেয়াল করলাম রেগুলার মেকআপ করার কারণে এবং বাহিরের এত ধুলাবালি আর পল্যুশনে ত্বক কেমন যেন রাফ লাগছে! সেই সাথে সানট্যানে আমার ফেইস কেমন যেন মলিন আর প্রাণহীন হয়ে গিয়েছিলো। চেহারায় আগের মতো আর গ্লো নেই। আমি শুধু বেসিক স্কিন কেয়ার করতাম। তারপর আমার মনে হলো যে ত্বকের এক্সট্রা কেয়ার নেওয়া দরকার। তাই একটি ব্রাইটেনিং ফেইস মাস্ক ট্রাই করলাম!

সপ্তাহে ২ দিন করে আমি স্কিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং মাস্ক ইউজ করছি দুই মাস ধরে। আজকে আমি আপনাদের সাথে সেই মাস্কের রিভিউ শেয়ার করবো। এই মাস্কটা কেমন লেগেছে এবং কোন স্কিন টাইপে কীভাবে মাস্কটি ব্যবহার করবেন সেই সবকিছু নিয়েই আজকের আর্টিকেল।

সাপ্তাহিক স্কিন কেয়ারে ফেইস মাস্ক

আমাদের বেসিক স্কিন কেয়ার এর পাশাপাশি সপ্তাহে ১ থেকে ২ দিন ফেইস মাস্ক ইউজ করা খুব জরুরি। কারণ সময়ের সাথে সাথে আমাদের স্কিনের ব্রাইটনেস হারিয়ে যায়, ত্বক রুক্ষ ও মলিন দেখায়। ব্রাইটেনিং মাস্ক ব্যবহারে স্কিনের ডালনেস দূর হয়ে ন্যাচারাল ব্রাইটনেস ফিরে আসে খুব অল্প সময়ে। স্কিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং মাস্ক দিয়ে স্কিন টাইপ ও কনসার্ন অনুযায়ী মাস্ক তৈরি করা যায়। এই মাস্কে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা দিয়ে স্কিন হয়ে উঠবে ভেতর থেকে উজ্জ্বল, সতেজ ও প্রাণবন্ত।

ব্রাইটেনিং ফেইস মাস্ক

স্কিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং ফেইস মাস্কে কী কী উপাদান আছে?

প্রথমেই আমরা জানবো এই মাস্কে কী কী উপাদান আছে আর কীভাবে এটি স্কিনকে ফেয়ার ও ব্রাইট করে। এই মাস্কে আছে সাদা চন্দন, অরেঞ্জ পিল পাউডার, মুলতানি মাটি, শঙ্খ গুঁড়া।

সাদা চন্দন

রূপচর্চায় চন্দনের ব্যবহার বহু আগে থেকে হয়ে আসছে। চন্দনে আছে অ্যান্টি এজিং প্রোপার্টিজ যা আমাদের স্কিনের ফাইন লাইনস এবং রিংকেলস কমাতে সাহায্য করে। চন্দন পিম্পলস কমাতেও সাহায্য করে। এটি আমাদের স্কিনের যেকোনো কালো দাগ দূর করে স্কিনকে ব্রাইট করে করে এবং সানট্যান থাকলে সেটাও ধীরে ধীরে রিমুভ করে।

অরেঞ্জ পিল পাউডার / কমলার খোসা গুঁড়া

কমলাতে ভিটামিন সি থাকার কারণে এটি আমাদের স্কিনকে ন্যাচারালি ব্রাইট করতে হেল্প করে। কমলার খোসা গুঁড়া এক্সফোলিয়েটর হিসেবেও কাজ করে স্কিনের ডেড সেলস দূর করে এবং স্কিনে ইনস্ট্যান্ট গ্লো এনে দেয়। স্কিনে হাইপারপিগমেন্টেশন থাকলে সেটা কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন সি।

ফেইস মাস্ক

ওয়াইল্ড টারমারিক

টারমারিক বা হলুদে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি কোয়ালিটি থাকার কারণে এটা আমাদের স্কিনের রেডনেস, ইচিনেস, র‍্যাশ কমাতে সাহায্য করে। একনে বা ব্রণ দ্রুত কমিয়ে ফেলে।

শঙ্খ গুঁড়া

এতে আছে স্কিন হোয়াইটেনিং, অ্যান্টি এজিং আর হিলিং প্রোপার্টিজ। এটি একনে প্রিভেন্ট করে, ত্বক উজ্জ্বল করে, রিংকেলস কমিয়ে আনে, স্কারস বা স্পটস হালকা করে।

মুলতানি মাটি

মুলতানি মাটি আমাদের স্কিনের অতিরিক্ত সেবাম কন্ট্রোল করে এবং স্কিনকে ডিপলি ক্লিন করতে সাহায্য করে।

এই একটি মাস্কে কতগুলো প্রাকৃতিক উপাদান একইসাথে পেয়ে যাচ্ছেন, দেখলেন তো? এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করবো কীভাবে এই মাস্কটি অ্যাপ্লাই করতে হবে।

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর উপায়

ড্রাই স্কিনের জন্য ব্রাইটেনিং ফেইস মাস্ক

১. এক চামচ স্কিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং মাস্ক, এক চামচ টকদই ভালোভাবে মিশিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করতে হবে। টকদই ল্যাকটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। এটা আমাদের স্কিনকে হেলদি রাখতে হেল্প করে। স্কিনের ইলাস্টিসিটি বাড়ায়, ফাইন লাইনস ও রিংকেলস কমায়। স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড করে।

২. এখন খুব ভালোভাবে মিক্স করে নিয়ে এই মাস্কটি চোখ ও ঠোঁটের এরিয়া বাদ দিয়ে পুরো ফেইসে অ্যাপ্লাই করতে হবে। ১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩. ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

 

নরমাল স্কিনের জন্য

১. এক চামচ স্কিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং মাস্ক এর সাথে হাফ চামচ মধু, হাফ চামচ দুধ আর পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিবেন। তবে যাদের মধুতে অ্যালার্জি আছে তারা শুধু পানি দিয়ে প্যাক বানাবেন।

২. এখন বানিয়ে নেওয়া মাস্কটি চোখ এবং ঠোঁটের এরিয়া বাদ দিয়ে ফেইসে অ্যাপ্লাই করতে হবে। ১৫ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩. সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে আপনার ত্বকের মলিনভাব কমে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।

স্কিন ক্যাফে

কম্বিনেশন টু অয়েলি স্কিনের জন্য

১. যাদের কম্বিনেশন কিংবা অয়েলি স্কিন, তারা স্কিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং ফেইস মাস্ক এর সাথে রোজ ওয়াটার মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিবেন। রোজ ওয়াটার আমাদের স্কিনের ন্যাচারাল অয়েল লেভেল ব্যালেন্স করতে সাহায্য করে, রেডনেস দূর করে স্কিনকে ন্যাচারালি হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।

২. মাস্কটি ফেইসে অ্যাপ্লাই করে ১০-১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

৩. এভাবে সপ্তাহে দুই তিনবার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

এই মাস্কটি আমার কেমন লেগেছে?

আমার স্কিন টাইপ অয়েলি টু কম্বিনেশন। আমি স্কিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং মাস্কটি স্কিন ক্যাফে রোজ ওয়াটার এর সাথে মিক্স করে সপ্তাহে দুইদিন অ্যাপ্লাই করি। এতে আমার স্কিন বেশ উজ্জ্বল হয়েছে, ফেইস ক্লিন করার পর একটা রিফ্রেশিং ফিল পাই যেটা আমার খুবই পছন্দ। আর প্রতিবার ইউজের পর ইনস্ট্যান্ট গ্লোয়িং লুক দেয়। মেকআপের আগে অথবা যেকোনো স্পেশাল অকেশন এর আগে এই মাস্কটি লাগিয়ে নিই, স্কিন বেশ গ্লোয়ি দেখায়।

 

তাহলে আপনার বেসিক স্কিন কেয়ারের পাশাপাশি ব্রাইট স্কিন পেতে এখনই আপনার স্কিন কেয়ার রুটিনে স্কিন ক্যাফে ব্রাইটেনিং মাস্ক অ্যাড করে ফেলুন! অথেনটিক প্রোডাক্ট কিনতে আমার সবসময়ই ভরসা শপ.সাজগোজ.কম। অনলাইনে প্রোডাক্ট পারচেজ করার সুযোগ তো আছেই, এছাড়া সাজগোজের চারটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার এবং উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) এ অবস্থিত। এই শপগুলো থেকেও নিতে পারেন পছন্দের প্রোডাক্টগুলো। তাহলে আজ এই পর্যন্তই। নিজের যত্ন নিন, ভালো থাকুন।

ছবি- সাজগোজ

13 I like it
2 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort