অফিস আদবকেতা | অবশ্যই মেনে চলবেন যেসব বিষয় - Shajgoj

অফিস আদবকেতা | অবশ্যই মেনে চলবেন যেসব বিষয়

office etiquette

অফিস, মেয়েদের জন্য আজকাল খুবই পরিচিত একটা জায়গা। দিনের বেশিরভাগ সময়ই এই জায়গাটিতেই কাটাতে হয় তাদেরকে। একমাত্র নিজের বাসা বাদে বাইরে প্রায় সবখানেই মাথায় রেখে চলতে হয় কিছু ব্যাপার, কিছু আদবকেতা। অফিস এমন একটা জায়গা যেখানে দিনের বেশিরভাগ সময় পার করলেও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।

অফিসে আপনার সাথে চাকরি করে আরও অনেক রকম মানুষ। ওইযে কথায় বলে না, “হরেক মানুষ হরেক মন“। সবার সাথে মিলে চলতে গেলে প্রথমে যে জিনিসটি মাথায় রাখতে হবে, সেটি হলো- আপনার পোশাক। যেহেতু অফিস বা কর্মস্থলে ছেলে-মেয়ে সবাই কাজ করে সুতরাং পোশাক নির্বাচনে আপনাকে হতে হবে মার্জিত এবং রুচিশীল। যদি শাড়ি পরতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন তবে বেশি বড় গলার ব্লাউজ না পরাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে আর খুব বেশি পাতলা শাড়ি পরা উচিৎ হবে না। যে মেটেরিয়ালেই আপনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না কেন অবশ্যই শালীনতা বজায় রাখতে হবে।

এবার আসি সালোয়ার কামিজ এর কথায়। খুব বেশি আঁটসাঁট কামিজ অফিসে পরবেন না। এতে আপনাকে দেখতে স্মার্ট লাগার সাথে সাথে আপনার ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠবে। এছাড়াও আপনি সারাদিন আরাম বোধ করবেন। আপনার অফিসে যদি ওয়েস্টার্ন পোশাক পরার সুযোগ থাকে, তাহলে নির্দ্বিধায় তা পরতে পারেন। তবে শুধু একটা ব্যাপার মাথায় রাখতে হবে যে, পোশাকে যাতে শালীনতা ক্ষুণ্ণ না হয়।

পোশাকের পর্ব শেষ করে এবার আসি সাজগোজ এর ব্যাপারে। অফিসে খুব বেশি কড়া মেকআপ কেউই পছন্দ করবে না, বরং এতে আপনাকে দেখতে একটু বেশিই দৃষ্টিকটু লাগতে পারে। খুবই হাল্কা সাজ অফিসের জন্য মানানসই। হালকা ফেস পাউডার, পোশাকের সাথে মিলিয়ে হালকা আইশ্যাডো, আইলাইনার অথবা কাজল এবং লিপস্টিক, ব্যাস আপনি তৈরি অফিসের জন্য।

ও হ্যাঁ আর একটা জিনিস, লাল টকটকে অথবা খুব ডিপ অরেঞ্জ কালার এর লিপস্টিক এড়িয়ে চলা ভালো। আপনার কর্মস্থলে আপনার পজিশন, আপনার গায়ের রং এবং আপনার ব্যক্তিত্বের সাথে মানিয়ে যায় এমন ধরনের হালকা রং গুলো বেছে নিন। খুব বেশি হাই হিল পরে শব্দ করে হেঁটে অফিসের ভিতর চলাফেরা করাটাও শোভন হবে না এবং  চুলগুলো বেধে অথবা ছেড়ে দিতে পারেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী।

এতক্ষণ তো কথা বললাম পোশাক এবং সাজসজ্জা নিয়ে, এবার আসি কথা বার্তা এবং আচরণ এর কথায়। খুব বেশি জোরে কথা বলা বা হাসাহাসি করা অফিস এটিকেটস এর মধ্যে পরে না। অনেক সময় ধরে লাঞ্চ করাও আসলে কাম্য নয়। সহকর্মীদের সাথে সুন্দর ভাবে কথা বলুন এবং তাদের সহযোগিতা করুন যতদূর সম্ভব। সহকর্মীদের সাথে কখনওই খারাপ আচরণ করবেন না।

সর্বোপরি, অফিসে থাকার সময়টুকু কে ভালবাসুন, ভালোভাবে নিজেকে মেইন্টেন করুন দেখবেন সময় ভালো কেটে যাবে এবং আপনি সবার কাছে হয়ে উঠবেন প্রশংসনীয়। আমি নিজেও একজন কর্মজীবী মেয়ে,অফিস নামক ব্যাপারটা আমার সাথে দিনের প্রায় ৯ ঘণ্টা জড়িত থাকে। উপরোক্ত ব্যাপারগুলো আমি সবসময় মেনে চলি।  ভালো থাকবেন সবাই।

লিখেছেন – রেজোয়ানা সিরাজ

1 I like it
0 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort