লিপস্টিকের প্রতি দুর্বলতা নেই, এমন মেয়ে বোধহয় খুঁজে পাওয়া যাবে না! লিপস্টিকের শেইডস নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট তো চলেই, তাই না? নতুন নতুন শেইড ট্রাই করতে আমার বেশ ভালো লাগে! লিপস্টিকের ফর্মুলা কেমন, লং লাস্টিং হবে কিনা এগুলোই ফার্স্ট প্রায়োরিটি থাকে। নিজের স্কিনের সাথে ম্যাচ করবে কিনা, সেটাও খেয়াল রাখতে হয়। আজ আমি শেয়ার করবো রিসেন্ট হাইপড Nirvana Color Liquid Matte Lipstick এর ৮টি মাস্ট হ্যাভ লিপস্টিক নিয়ে, যেগুলো যেকোনো আউটফিটের সাথে খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে যায়। আর সব স্কিনটোনেই দারুণ স্যুট করে।
নিরভানা কালার লিকুইড ম্যাট লিপস্টিক রিভিউ
রিসেন্টলি নিরভানা কালারের ৮টি লিপস্টিক শেইডস মার্কেটে পাওয়া যাচ্ছে। এই ম্যাট লিকুইড লিপস্টিকের ফর্মুলা বেশ লাইট, লং লাস্টিং ও ট্র্যান্সফার প্রুফ। আর কালারগুলো খুবই আই ক্যাচি, সোয়াচ দেখলেই পছন্দ হয়ে যাবে! ডাস্কি, মিডিয়াম, ফেয়ার- সব ধরনের ফেইসেই খুব সুন্দরভাবে স্যুট করবে। চলুন দেরি না করে মাস্ট হ্যাভ লিপস্টিক শেইডস দেখে নেই ঝটপট!
Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Wild Red
টুকটুকে লাল লিপস্টিক কার না পছন্দ? এশিয়ান স্কিনটোনের জন্য পারফেক্ট একটি রেড শেইড হচ্ছে Wild Red। এটাকে Milani Amore এর ড্যুপ বলা যায়। ট্র্যাডিশনাল লুকের সাথে এই শেইডটি একদম মানানসই। যারা Milani Amore শেইডটা পছন্দ করেন, কিন্তু বাজেট বা ফর্মুলার জন্য সেটা নিতে পারছেন না, তারা কিন্তু Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Wild Red শেইডটা নিশ্চিন্তে পারচেজ করতে পারেন।
Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Sweet Sin
যারা ব্রাউনিশ টাইপের লিপ কালার ট্রাই করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য পারফেক্ট একটি শেইড হচ্ছে Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Sweet Sin! এটা তো আমার খুবই ফেবারিট। অফিসে ন্যাচারাল লাইট মেকআপের সাথে খুব সুন্দরভাবে মানিয়ে যায়, আর স্কিনটোনও ব্রাইট দেখায়। আমি আগে এই ধরনের শেইড অ্যাপ্লাই করতে একটু কনফিউজড থাকতাম। কিন্তু এই কালারটা মিডিয়াম স্কিনটোনেও স্যুট করে। যেকোনো আউটফিটের সাথে বা ফরমাল লুকেও বেশ ভালো লাগবে। টিনেজারদের জন্যও এই শেইডটি স্যুইটেবল।
Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Timeless
এই শেইডটি হাইলি পিগমেন্টেড, খুব সুন্দরভাবে ঠোঁটে বসে যায়, ফিনিশিংটা বেশ স্মুথ। আর ডিপ কালার হওয়াতে সব স্কিনটোনেই খুব ভালো মানিয়ে যায়। যারা একটু ভাইব্রেন্ট কালার ট্রাই করতে পছন্দ করেন, তারা নিশ্চিন্তে Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Timeless শেইডটি পিক করতে পারেন। পার্টিলুক, ওয়েডিং মেকওভার কিংবা ট্র্যাডিশনাল সাজে এই শেইডটি খুব ভালো মানাবে।
Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Infatuated
ইউনিভার্সিটি বা অফিসে রেগুলার ইউজের জন্য যারা ন্যুড লিপস্টিক খুঁজছেন, তারা নিশ্চিন্তে নিতে পারেন Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Infatuated শেইডটি। লিপসে একদমই হেভি ফিল হয় না, তাই সারাদিনের জন্যও অ্যাপ্লাই করে রাখা যায়। এটি লং লাস্টিং, কিস প্রুফ ফর্মুলাতে তৈরি। তাই বাইরে খাওয়া দাওয়া করলেও লিপস্টিক ঠিক থাকবে।
Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Art Lip
খুবই মিষ্টি একটা কালার, সোয়াচ দেখেই বুঝতে পেরেছেন। টিনেজাররাও Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Art Lip শেইডটি ট্রাই করতে পারেন নিশ্চিন্তে। কালারফুল আই মেকআপের সাথে অনেকে একটু ব্রাউনিশ ন্যুড লিপ কালার প্রিফার করেন। এই ধরনের সফট কালার নিজের কালেকশনে রাখলে দিনে বা রাতে যেকোনো ড্রেসের সাথে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন ইজিলি। আর এটার টেক্সচার এত লাইট ও স্মুথ, অ্যাপ্লাই করার পর হেভি ফিল হবে না।
Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Love Me
ডিপ ম্যাজেন্টা বা বেরি টাইপের কালার যারা পছন্দ করেন, তাদের জন্য মাস্ট হ্যাভ শেইড এটি। গ্ল্যাম লুকের সাথে তো মানাবেই, বেয়ার ফেইসে মানে হেভি বেইজ মেকআপ ছাড়াও Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Love Me লিপস্টিকটি অ্যাপ্লাই করতে পারবেন অনায়াসে। দাওয়াত, আউটিং বা রেগুলার ইউজের জন্যও পারফেক্ট। সোয়াচ দেখেই বুঝতে পারছেন বেশ কালারফুল ও ইউথফুল লুক পাবেন এই শেইডে।
Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Kiss Me
ব্রিক রেডিশ টোনের লিপ কালার সবাইকেই মানিয়ে যায়, তাই না? যারা ফেয়ার, তাদেরকে তো খুবই মানাবে। যাদের স্কিনটোন শ্যামলা তারাও কিন্তু অনায়াসে এই শেইডটি ট্রাই করতে পারেন। লাল লিপস্টিক অ্যাপ্লাই করতে অনেকেই কনফিউজড থাকেন, কিন্তু এই ধরনের রেডিশ টোনের লিপস্টিক আপনাকে কনফিডেন্ট লুক দিতে পারে। Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Kiss Me একবার ট্রাই করেই দেখুন!
Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Sweet Raisin
এটা অনেকটা Milani Gorgeous এর ড্যুপ। পারসোনালি আমি এমন লিপস্টিক শেইড প্রিফার করি যেগুলো অ্যাপ্লাই করলে স্কিনটোন ব্রাইট দেখাবে। Nirvana Color Liquid Matte Lipstick – Sweet Raisin শেইডটা ট্র্যাডিশনাল বা ক্যাজুয়াল লুকের সাথে পারফেক্টলি মানিয়ে যায়। বিশেষ করে ব্ল্যাক, পার্পেল এই কালারের ড্রেসের সাথে দারুণ স্যুট করে। এর ক্রিমি টেক্সচার লিপসে একদমই ক্র্যাক করে না। যাদের স্কিনটোন শ্যামলা, তারাও নিশ্চিন্তে এই শেইডটা ট্রাই করতে পারেন।
মাস্ট হ্যাভ লিপস্টিক কেন বলছি? এর স্পেশালিটি কী?
- ক্রিমি ও লাইট ওয়েট ফর্মুলা
- স্মুথলি বসে যায় ঠোঁটে
- একদমই ক্র্যাক করে না
- ম্যাট লুক দেয়
- হাইলি পিগমেন্টেড
- এশিয়ান স্কিনটোনে খুব ভালো মানিয়ে যায়
তাহলে বুঝতেই পারছেন, মাস্ট হ্যাভ লিপস্টিক শেইডস কেন বললাম! আপনাদের বোঝার সুবিধার্থে প্রতিটি শেইডের রিয়েল পিকচার অ্যাড করে দিয়েছি। তবে আন্ডারটোন, লাইটিং, মেকআপ এই সব কিছুর জন্য কিন্তু লিপ কালারের শেইডে কিছুটা ভিন্নতা আসেই! যেহেতু একেকজনের স্কিনটোন আর লিপ কালার আলাদা, তাই পারসোন টু পারসোন লিপস্টিক কালার ভ্যারি করতে পারে। যারা অ্যাফোর্ডেবল প্রাইসে প্রিমিয়াম কোয়ালিটির লিপস্টিক খুঁজছেন তাদের জন্য নিরভানা কালারের লিপস্টিকগুলো বেশ ভালো অপশন। নিরভানা কালারের লিপস্টিক শপ.সাজগোজ.কম এ পেয়ে যাবেন। সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।
ছবি- সাজগোজ