একবিংশ শতাব্দীর নারী-পুরুষ উভয়েই ব্যস্ত সময় কাটান। তাদেরকে ঘরে-বাইরে সমান তালে কাজ করতে হয়। বাইরের ধুলা-ময়লা, আবর্জনা, দূষণ, সূর্য রশ্মি; ঘরের ভেতরেও চুলার তাপ ও কম্পিউটার, ল্যাপটপ বা স্মার্ট ফোনের ব্যবহারে চেহারাতে নানা রকম ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। সেজন্য মুখের ত্বককে নিয়মিত পরিষ্কার করা জরুরি, না হলে ময়লা জমে লোমের গোড়া বন্ধ করে দেয়; ফলে ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইট হেডসসহ আরো অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়। বাজারে প্রাপ্ত ফেইসওয়াশগুলো আপনার কোমল ত্বকের জন্য আরো ক্ষতিকর ।তাই চলুন আজ জেনে নিই, ঘরে বসে ফেইসওয়াশ বানানোর রেসিপি। আপনাদের সুবিধার্থে কোন উপাদান কোথায় পাওয়া যাবে তাও জানিয়ে দেওয়া হল-
উপকরণ ও প্রাপ্যতা:
(১) বেসন -দেড় কাপ।(মুদি দোকানে পাওয়া যায়,আপনি চাইলে কয়েক রকম ডাল মিশিয়ে সেগুলো গুঁড়ো করে নিজের বেসন বানিয়ে নিতে পারেন)
(২) আতপ চালের গুঁড়া-১/৪ কাপ।(মসলা যেখানে ভাঙ্গানো হয় সেখানে কিনতে পাওয়া যায়, না পেলে চাল কিনে মিহি গুঁড়া করে নিন)
(৩) মিল্ক পাউডার-১/৪ কাপ।(সুপার শপ/মুদি দোকান)
(৪) হলুদ গুঁড়া-১ চা চামচ। (নিজে গুঁড়া করিয়ে নিতে পারেন বা রেডিমেড প্যাকও কিনতে পারেন, রাঁধুনি/এসিআই/প্রাণ সহ অনেক ব্র্যন্ড রয়েছে)
(৫) গ্লুকোজ পাউডার-১/৮ কাপ। (ফার্মেসিতে বললেই পেয়ে যাবেন)
(৬) লাল আটা বা ময়দা-১/২ কাপ।(সুপার শপ/মুদি দোকান)
(৭) কাঠ বাদাম গুঁড়া-২ টেবিল চামচ।(ঐচ্ছিক,না দিলেও চলবে। পাওয়া যাবে মসলার দোকানে/সুপারশপে)
(৮) নিমপাতা গুঁড়া-১ টেবিল চামচ।(যাদের ব্রণের সমস্যা আছে শুধু তারা ব্যবহার করবেন)
(৯) পরিষ্কার এয়ার টাইট পাত্র
প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার:
- যে সব উপকরণের কথা বলা হয়েছে সেগুলো আলাদা আলাদা পাত্রে রাখুন।
- সব উপাদান যেন মিহি ও পরিষ্কার হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
- তারপর একটা বড় পাত্রে সবগুলো উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন।
- তারপর এয়ার টাইট পাত্রে সংগ্রহ করুন। খেয়াল রাখবেন বাতাস ও পানির সংস্পর্শে যেন না আসে, শুকনো জায়াগার রেখে দিন।
- প্রতিদিন মুখ ধোয়ার সময় পানি / গোলাপ পানি (তৈলাক্ত ত্বক হলে) অথবা কাঁচা দুধ (শুষ্ক ত্বক হলে) দিয়ে গুলিয়ে ফেইসওয়াশের মত ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। ফেইসপ্যা্কের মতো লাগিয়ে রাখার দরকার নাই।
- এর পর পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, আর দেখুন প্রকৃতির কারিশমা ।
বিঃদ্রঃ ১ মাসের মত ভালো থাকবে এ ফেইসওয়াশ। আপনি চাইলে বেশি করে বানিয়ে রেফ্রিজারেটরেও রেখে দিতে পারেন। রেফ্রিজারেটরে ৬ মাসেরও বেশি সময় ভালো থাকবে।
লিখেছেন – রোজা স্বর্ণা
ছবি – ওয়ানগ্রিনপ্ল্যানেট