খাদ্যে ভেজাল মেশানো | কতটুকু নিরাপদ আমাদের জীবন? - Shajgoj

খাদ্যে ভেজাল মেশানো | কতটুকু নিরাপদ আমাদের জীবন?

tmt

আজকাল ভেজাল ছাড়া খাবার যেন হয়ে উঠেছে সোনার হরিণ। চাল-ডাল-তেল-লবণ থেকে শুরু করে শাকসবজি, ফলমূল, শিশুখাদ্য সবকিছুতেই ভেজাল। মাছে ও দুধে ফরমালিন, সবজিতে কীটনাশক ও ফরমালিন, মচমচে করার জন্য জিলাপি ও চানাচুরে মবিল, লবণে সাদা বালু, চায়ে করাতকলের গুঁড়ো, মসলায় ভুসি, কাঠ, বালি, ইটের গুঁড়ো ও বিষাক্ত গুঁড়ো রং, এমনকি ইসবগুলের ভুসিতে ভুট্টার গুঁড়ো মিশানো হচ্ছে বলে শোনা যায়। টেক্সটাইল ও লেদারের রং মেশানো হচ্ছে সস্তা মানের বিস্কুট, আইসক্রিম, জুস, সেমাই, নুডলস ও মিষ্টিতে। মুড়িতে মেশানো হচ্ছে হাইড্রোজ, ফলে মুড়ি দেখতে চকচকে ও সাদা হয়, ফুলে-ফেঁপে বড় আকৃতি ধারণ করে। ভেজাল খাবারের উদাহরণ যেন অন্তহীন। মৌসুমি ফলও পাকানো হচ্ছে রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে। দ্রুত ফল পাকাতে ও আকর্ষণীয় বর্ণের করতে ব্যবহার করা হচ্ছে কার্বাইড আর পচন ঠেকাতে ফরমালিন। সাধারণত ছোট আকারের এক বোতল ফরমালিন এক ড্রাম পানিতে মেশানো হয়। এই পানিতে পোকামাকড়, মশা-মাছি পড়লেও সঙ্গে সঙ্গে মারা যায়। এতে একবার খাবার ডোবানো হলে তা আর পঁচে না। এই ড্রামের পানিতে চুবিয়ে রাখা ফল, সবজি আর মাছ মানুষ কিনে খাচ্ছে নিয়মিত, যেন জেনে শুনেই বিষপান করছে সবাই।

খাদ্যে ভেজাল থাকার বিষয়টি দুই ভাবে সম্পন্ন হয়ঃ

০১. অসাবধানতাবশত বা অনিচ্ছাকৃতভাবেঃ

এটি সাধারণত জ্ঞান ও দায়িত্ব সচেতনতার অভাবে হয়ে থাকে। অসাবধানতাবশত ভেজালের একটি প্রকৃষ্ট উদাহারণ হলো ফসলে পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ করতে বেহিসেবি বা যেনতেন ভাবে পেস্টিসাইড ব্যবহার করা। এতে অনেক সময় উত্পাদিত ফসল ভেজালযুক্ত হয়ে যেতে পারে।

০২. ইচ্ছাকৃত বা অধিক মুনাফালাভের আশায়ঃ

এতে খাদ্যের সঙ্গে নিম্নমানের খাবার বা খাদ্য নয়, এমন বস্তু মেশানো হয়ে থাকে। ইচ্ছাকৃত ভেজালটি সবচেয়ে ক্ষতিকারক। কারণ এখানে অধিক মুনাফার প্রতিযোগিতা থাকে। ফলে অনেক সময় এমন সব কেমিক্যাল খাদ্যে মেশানো হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক।

যা যা মেশানো হয়ে থাকেঃ

• বিভিন্ন ধরনের রঙঃ

খাদ্যে রঙ মেশানো একটি অতি সাধারণ ঘটনা। খাদ্যকে আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ধরনের রঙ মেশানো হয়ে থাকে। কপার, জিংক, ইন্ডিগোবেজ্ড ডাই ইত্যাদি। সাধারণত বিভিন্ন বেভারেজ বা কোমল পানীয় এবং অ্যালকোহল এমনকি খাবার সসে বিভিন্ন ধরনের রঙ মেশানো হয়ে থাকে।

• এমাইলামঃ

এগুলো এক ধরনের পলিসেকারাইড বা কমপ্লেক্স শর্করা। সসকে বেশি ঘন করার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়। এটিও স্বাস্থ্যের জন্য বেশ ক্ষতিকারক।

• কেইন সুগারঃ

এটি মধুর সঙ্গে মেশানো হয়। এটি শরীরকে স্থূলকায় করে দেয়, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত করে, চোখ এবং স্নায়ুর মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।

• ইউরিয়াঃ

চালকে আরও উজ্জ্বল করতে, মুড়িকে আরও সাদা ধবধবে করতে এবং মাছ, মাংস ও সবজি রক্ষণাবেক্ষণ করতে এটিকে প্রিজারভেটিভ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অনেক সময় খামারিরা গরুপালনে বিশেষ করে কোরবানির জন্য গরু স্বল্প সময়ে মোটাতাজা করতে গরুর খাবারে ইউরিয়া মিশিয়ে থাকে।

• ফরমালিনঃ

সাধারণত পচনশীল খাবার যাতে সহজে পঁচে না যায়, অর্থাৎ অধিক সময় ধরে পচনশীল খাবার, যেমন—ফলমূল (আঙ্গুর, আম, আপেল, কমলা, মাল্টা) মাছ, মাংস, সবজি এমনকি দুধ ও দুগ্ধজাত মিষ্টি সংরক্ষণে ফরমালিনের সংমিশ্রণ করা হয়। ফরমালিনের বিষক্রিয়ায় কফ-কাশি, মাথাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট হয়। দীর্ঘমেয়াদে কিডনি ও লিভারের মারাত্মক ক্ষতিসহ ক্যান্সারও হতে পারে।

• ক্যালসিয়াম কার্বাইডঃ

এটি সাধারণত স্টিল মিলে, ওয়েল্ডিংয়ের কাজে এবং আতশবাজি বা ছোট বোমা বানানোর কাজে ব্যবহার করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এটিকে বিভিন্ন ফল পাকানোর কাজে ব্যবহার করে থাকে।

ফল পাকার রহস্যঃ

ফল পাকার সময় হলে প্রাকৃতিকভাবে ফলে ইথিলিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ইথিলিন ফলের এক ধরনের এনজাইম নিঃসৃত করে। এমাইলেজের কাজ হলো ফলের জটিল শর্করাকে বিভাজন করে সাধারণ শর্করা বা সুক্রোজ এবং ফ্রুক্টোজে রূপান্তরিত করা। ফলে ফল নরম ও সুস্বাদু হয়। পেক্টিনেজ এনজাইমের কাজ হলো ফলের ত্বককে নরম করা। পাশাপাশি ত্বকের ক্লোরোফিল (যা সবুজ রঙ দেয়) পরিবর্তিত হয়ে কেরোটিনয়েড হয়ে যায়, ফলে ফলের রঙ বদলে পাকা বা হলুদ রঙ ধারণ করে।

• ক্যালসিয়াম কার্বাইড যেভাবে ফল পাকায়ঃ

ক্যালসিয়াম কার্বাইড পানি বা জলীয় বাষ্পের সঙ্গে মিশে ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও এসিটাইলিন গ্যাস সৃষ্টি করে। এই এসিটাইলিন গ্যাস ইথিলিনের মতো কাজ করে। ফলে সহজেই আমসহ যে কোনো কাঁচা ফল পেকে যায়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড দামে খুব সস্তা হওয়ায় দেশের ফল ব্যবসায়ীরা অজ্ঞতাবশত বা অতি মুনাফার লোভে সহজলভ্য ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে ফল পাকিয়ে থাকে।

• ক্যালসিয়াম কার্বাইডের বিষক্রিয়াঃ

সাধারণত পানিতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড মিশিয়ে সেই পানিতে ফল ভেজানো হয়। ক্যালসিয়াম কার্বাইড পানির সঙ্গে মিশে এসিটিলিন নিঃসৃত করে ফল পাকিয়ে দিচ্ছে। একই সঙ্গে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ফলের ত্বক ভেদ করে ফলের ভেতরে শাসে ঢুকে যায়। এই ক্যালসিয়াম কার্বাইডে মারাত্মক বিষ হিসেবে মিশ্রিত থাকে আর্সেনিক ও ফসফরাস। এই আরসেনিক ও ফসফরাসও ফলের ভেতর ঢুকে যায়। ফল পাকার পরও ভেতরে এই আর্সেনিক ও ফসফরাস থেকে যায়।

• ইথোপেনঃ

বর্তমানে দেশে ইথোপেন স্প্রে করে আনারস পাকানো হচ্ছে। এক্ষেত্রে আনারস ক্ষেত থেকে কেটে আনার ২-৩ দিন আগে বাগানে আনারসের গায়ে সরাসরি ইথোপেন স্প্রে করা হয়। এখানেও ইথোপেন আনারসের গায়ে ঢুকে যায়। ওই আনারস ট্রাকভর্তি করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠানো হয়।

মানব জীবনে এর প্রভাবঃ

• খাদ্যশস্য, ফলমূল, সবজি ইত্যাদি উৎপাদনের সময় রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে। মাঠ থেকে উত্তোলন ও প্রক্রিয়াজাত করার সময় ভেজাল দেওয়া হচ্ছে, আবার খাবার তৈরির সময়ও তাতে থাকছে ভেজালের স্পর্শ। এভাবে পুরো খাবারে ভেজালের ভাগটাই হয়ে যাচ্ছে বেশি। এই সীমাহীন লোভের জন্য বলি হচ্ছে সাধারণ মানুষ। বলা যায়, এ একরকম নীরব মানবহত্যা।

• অতিরিক্ত কেমিক্যাল পদার্থ ব্যবহারে খাদ্যের ঘ্রাণ ও স্বাদ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পুষ্টির বদলে খাদ্যগুলো পরিণত হচ্ছে বিষে। পুষ্টির জোগান আর সুস্থতার পরিবর্তে দীর্ঘস্থায়ী রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভোক্তারা, নিজের অজান্তেই অনেকের দেহে বাসা বাঁধছে নানা মরণব্যাধি। বেড়ে যাচ্ছে নতুন নতুন রোগ ও আক্রান্তের সংখ্যা। জনস্বাস্থ্যের জন্য এ অবস্থা এক মারাত্মক হুমকি।

• ভেজাল খাবার খেয়ে ভোক্তারা আক্রান্ত হন লিভার, কিডনি, হূদরোগ, ক্যানসারসহ নানা রকম জটিল রোগে। মানবদেহে গ্যাস্ট্রিক আলসার, পাকস্থলী আর অন্ত্রনালির প্রদাহ, অরুচি , লিভার সিরোসিস, কিডনি ফেইলুর ইত্যাদি দেখা দেয়। এমনকি লিভার ক্যানসারও হতে পারে।

• এ ছাড়া এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে অস্থিমজ্জা বা বোনম্যারোর ওপর। এতে রক্তকণিকার অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে। অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা হতে পারে, আবার লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যানসারের মতো মারাত্মক ব্যাধি দেখা দিতে পারে।

• গর্ভবতী মা ও শিশুর জন্য বিষয়টি আরও ভয়ংকর। ভেজাল মেশানো ফলমূল, সবজি, টমেটো, মাছ, মাংস ইত্যাদি খেলে গর্ভবতী মা ও সন্তান উভয়েই মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সন্তান জন্মানোর সময় হাবাগোবা কিংবা বিকলাঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা থাকে, মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সন্তানের বৃদ্ধি থেমে যায়, মস্তিষ্কের বিকাশও থেমে যায়।

মুশকিল হলো ভেজাল খাবারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয় খুব ধীরে ধীরে। তাই অনেকেই জানতে পারেন না যে কী বিষ তিনি প্রতিদিন গ্রহণ করছেন, এর গুরুত্বও তাঁরা উপলব্ধি করতে পারেন না। এমনকি যখন চূড়ান্ত ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখনো বুঝতে পারেন না যে তাঁর প্রাত্যহিক ভেজাল যুক্ত খাবারই এই পরিণতির জন্য দায়ী।

অর্থনীতির উপর প্রভাবঃ

যেসব মারাত্মক অসুখে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে তার চিকিৎসা ব্যয় অত্যধিক, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী চিকিৎসা লাগে, কখনো বা আজীবন চিকিৎসা করতে হয়। এতে মানুষের কষ্টার্জিত টাকার বড় অংশ চলে যাচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা খাতে অথচ ভেজাল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে এই বাড়তি অসুখ তথা বাড়তি খরচ প্রতিরোধ করা যেত। আবার রাসায়নিক ব্যবহারের ফলে অসাধু ব্যবসায়ীরা একচেটিয়া মুনাফা করে যাচ্ছেন, যার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের ওপর, যাঁরা সৎ উপায়ে ব্যবসার চেষ্টা করছেন। দ্রুত পাকানো আর পচন রোধের ওষুধ দেওয়া খাবারের সঙ্গে অসম প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে তাঁরা হয় বিরাট লোকসানের বোঝা কাঁধে নিয়ে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলছেন অথবা সময়ের স্রোতে ভেসে নিজেরাও ভেজালের কারবারে যুক্ত হচ্ছেন।

খাদ্যে ভেজাল মেশান হয় কেন?

খাদ্যের স্বাদ বা ফ্লেভার বাড়াতে বা খাদ্যকে দৃষ্টি নন্দন করতে। গুনগত মানের দিক দিয়ে অনেক খারাপ হলেও তাকে খাবারযোগ্য ভাবে উপস্থাপন করতে ইত্যাদি।

খাদ্যে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করা হয় কেন?

আমাদের দেশে সাধারনত খাদ্যের পচন ঠেকাতেই ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য বেশি প্রয়োগ হয়, তা ছাড়া ফলমূল তাড়াতাড়ি পাকাতেও ব্যবহার হয়, তবে সব কিছুর মূল কথা হল কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের পকেট ভারী করার প্রধান উপায় হল এই খাদ্যে ভেজাল আর ক্ষতিকারক রাসায়নিক দ্রব্য প্রয়োগ, তা না হলে পিউর ড্রিংকিং ওয়াটার বলে কেউ সাপ্লাই বা ওয়াসার পানি ভরে কোন রকম পিউরিফিকেশন ছাড়াই কেউ পানি বিক্রি করত না।

কীভাবে মাছ থেকে ফর্মালিন দূর করবেন?

• পরীক্ষায় দেখা গেছে পানিতে প্রায় ১ ঘণ্টা মাছ ভিজিয়ে রাখলে ফর্মালিনের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়।

• লবনাক্ত পানিতে ফর্মালিন দেওয়া মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফর্মালিনের মাত্রা কমে যায়।

• প্রথমে চাল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারণ পানিতে ফর্মালিন যুক্ত মাছ ধুলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফর্মালিন দূর হয়।

• সবচাইতে ভালো পদ্ধতি হল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে (পানিতে ১০ % আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগ ফর্মালিনই দূর হয়।

কীভাবে ফল ও সবজি থেকে ফর্মালিন দূর করবেন ?

• খাওয়ার আগে ১০ মিনিট গরম লবণ পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখতে হবে।

ভেজাল খাবার রোধের জন্য মানুষের সচেতনতা খুবই জরুরী। এ ক্ষেত্রে সংবাদমাধ্যম, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও সচেতন মহলকেই এগিয়ে আসতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে, ভেজালের ব্যাপ্তি ও পরিণতি ব্যাখ্যা করতে হবে, এগুলো থেকে বেঁচে থাকার পথও দেখাতে হবে। আমাদের দেশে যে হারে দুরারোগ্য ব্যাধি বাড়ছে, তাতে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করার ব্যাপারে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে জরুরী ভিত্তিতে প্রতিরোধ করার যত ব্যবস্থা তা নিতে সরকার সহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে রোগব্যাধির সংখ্যা বেড়ে যাবে এবং তার চিকিৎসার জন্য অর্থনৈতিক দৈন্যসহ নানামুখী চাপে মানুষ হিমশিম খাবে। রোগব্যাধি যেমন বাড়বে, তেমনি সঙ্গে তৈরি হবে মেধাশূন্য জাতি, যা দেশের জন্য এক ভয়ানক পরিণতি ডেকে আনবে।

লিখেছেনঃ তাসনোভা আবেদিন

ছবিঃ ডেইলি-সান.কম

4 I like it
2 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort