বাংলার তাজমহল | ১ দিন ঘুরে আসুন সোনারগাঁও এর এই অসাধারণ স্থানটি!

বাংলার তাজমহল | ১ দিন ঘুরে আসুন সোনারগাঁও এর এই অসাধারণ স্থানটি!

বাংলার তাজমহল - shajgoj.com

ছুটির দিন, ঘুরাঘুরির প্ল্যান নিশ্চয় করছেন! এর আগে ঢাকার আশেপাশে মনোরম কিছু জায়গা নিয়ে আলোচনা করেছিলাম।  অল্প ছুটিতে দূরের পথ পাড়ি দেওয়া বেশ কঠিন। কিন্তু তারপরও তো ঘুরতে যেতে মন চায়! তাই সময় করে ঘুরে আসুন সোনারগাঁও পেরিয়ে বাংলার তাজমহল।

ঘুরে আসুন সোনারগাঁও পেরিয়ে বাংলার তাজমহল

ভারতের আগ্রার তাজমহলের কথা তো সবাই জানেন। সেটার অনুকরণেই নারায়ণগঞ্জে শিল্পপতি চলচ্চিত্রকার আহসান উল্লাহ মনি নির্মাণ করেছেন বাংলার এই তাজমহল। ঢাকা থেকে ১০ মাইল পূর্বে সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামে অবস্থিত এটি। এটি তৈরি করতে প্রায় ৫ বছর সময় লাগে এবং এটি ব্যক্তি-মালিকানাধীন। এটি প্রায় ১৮ বিঘা জমির উপর অবস্থিত। আশেপাশে আরও ৫২ বিঘা জমি আছে পর্যটনের জন্য। এখানে দেখা যাবে চারপাশের সুন্দর আর মনোরম পরিবেশ, হাজার হাজার নাম না জানা পাখির কিচিরমিচির করা বিকেল আপনার মন ভালো করে দিবে।

তাজমহলের নির্মাণ কাজের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বিদেশী উপকরণ যেমন ১৭২টি কৃত্রিম ডায়মন্ড, ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি। নির্মাণ কাজে ৬ জন টেকনিশিয়ানদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ভারতের তাজমহলকে অনুসরণ করা হয়েছে বলে নির্মাতাকে ভারতে যেতে হয়েছে অনেকবার।

বাংলার তাজমহলে ঝর্না - shajgoj.com

২০০৮ সালে এর উদ্বোধন হয়। পর্যটকদের জন্য এখানে প্রবেশের আগে চমৎকার ১০ টি ঝর্ণা রয়েছে যা মুগ্ধ হয়ে দেখার মতোই।

তাজমহলের আশেপাশে ফুলের বাগান আর নিরিবিলিতে বসার স্থান রয়েছে অনেক। তাজমহলটির ভেতরের মূল মহল দারুণ সব পাথর দিয়ে মোড়ানো আর টাইলস করা। মহলের ভেতরে আহসানউল্লাহ্ মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া দু’জনের কবরের স্থান সংরক্ষিত আছে। “বাংলার তাজমহল” এ আগ্রার তাজমহলের মতোই চার কোণে চারটি বড় মিনার রয়েছে।

তাজমহলের ভেতরে আরও রয়েছে “রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও”। তাজমহলের বাইরে রয়েছে “রাজমনি ফিল্ম সিটি রেস্তোরাঁ”, আরও বিভিন্ন খাবারের দোকান, হোটেল, আবাসিক ভবন, জামদানি শাড়ির দোকান, হস্তশিল্প সামগ্রী, মাটির গহনা সহ আরও অন্যান্য পণ্য সামগ্রীর দোকান। এর আশেপাশে রয়েছে বিভিন্ন পিকনিক স্পট, চাইলে সেসব জায়গাও ঘুরে আসতে পারেন।

কীভাবে যাবেন বাংলার তাজমহল?

বাংলার তাজমহল ঢাকা থেকে ২৫ কি. মি. দূরত্বে অবস্থিত । ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জগামী যে কোনো গাড়িতে চড়ে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়, সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ২৫ টাকা । এখান থেকে সিএনজি স্কুটারে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে যেতে পারেন তাজমহলে ।

অন্যভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা, দাউদকান্দি অথবা সোনারগাঁগামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়। সেক্ষেত্রে ভাড়া লাগে ২০ টাকা। সেখান থেকে সিএনজি বা স্কুটারে জনপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় যাওয়া যায় তাজমহলে ।

বাংলার তাজমহলটি মাত্র ৫০ টাকার টিকিট বা প্রবেশমূল্যের বিনিময়ে দেখেন দর্শনার্থীরা। গাড়ি পার্কিং ২০ টাকা ।

সময়সূচী: প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা।

আপনি চাইলে আপনার পছন্দমতো সানস্ক্রিন কিনতে পারেন অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকে। আবার যমুনা ফিউচার পার্ক ও সীমান্ত স্কয়ার এ অবস্থিত সাজগোজের দুটি ফিজিক্যাল শপ থেকেও কিনতে পারেন আপনার পছন্দের সানস্ক্রিনটি !

আর হ্যাঁ! বেড়াতে যাওয়ার সময় সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন!!

ছবি – সংগৃহীতঃ বাংলাদেশ ভ্রমন এবং তথ্য, সাম্প্রতিক.কম

14 I like it
2 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort