শিশুর কান্না থামাতে ৯ টি কার্যকরী এবং সহজ টিপস সম্পর্কে জেনে নিন!

শিশুর কান্না থামাতে ৯টি করণীয় টিপস!

ক্রদনরত একটি শিশু

শিশুরা কাঁদবেই। এতে কোন অস্বাভাবিকতা নেই। কিন্তু সে কান্না যদি থামতে না চায়, তবে তা আসলেই বাবা-মায়ের জন্য চিন্তার বিষয়। শিশু লালন-পালনের ক্ষেত্রে আপনার কোন ভুল হচ্ছে কি না কিংবা শিশু আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে কি না, স্বাভাবিকভাবেই এসব প্রশ্ন তখন আপনাকে ভাবিয়ে তোলে। ঘাবড়াবেন না। শিশুর কান্না থামাতে অত দুশ্চিন্তা মাথায় নেবেন না। আপনি নিজেই পারবেন তা সামলে নিতে। চলুন কিছু টিপস জেনে নেয়া যাক এ বিষয়ে।

শিশুর কান্না থামাতে করণীয়

শিশুদের কান্না থামানো কঠিন কাজ হলেও একেবারে অসম্ভব কিছু না। জেনে নিন সহজ উপায়ে কীভাবে শিশুর কান্না থামাবেন।

১. কারণ বোঝার চেষ্টা করুন

সাধারণত ক্ষিধে পেলে, ঘুমানোর প্রয়োজন পড়লে, ন্যাপি বদলানোর সময় হলে কিংবা নিদেনপক্ষে বার্প করার সময় হলে বাচ্চারা কান্না করে। অনেক ক্ষেত্রে আরেকটু বেশি মনযোগ পেতে চাইলেও শিশুরা কাঁদে। এক্ষেত্রে শিশুর প্রয়োজনটি আপনাকে বুঝতে হবে। শিশুর চাহিদা মিটে গেলেই সে কান্না থামিয়ে দেয়।

২. নিজে শান্ত হোন

শিশুর সব চাহিদা মেটানোর পরও যদি কান্না না থামে, তবে তাকে শান্ত করার জন্য আপনার নিজেকে আগে শান্ত হতে হবে। কারণ আপনি অধৈর্য্য কিংবা অশান্ত হয়ে গেলে কান্নাতো থামবেই না, বরং তা আরও খারাপের দিকে চলে যাবে।

৩. শিশুকে অভয় দিন

শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করে তার কানের কাছে গুণগুণ করে গান গাইতে থাকুন কিংবা মৃদু স্বরে তাকে প্রবোধ দিন।

শিশুর কান্না থামাতে ৯টি করণীয় টিপস- শিশুকে অভয় দিচ্ছেন একজন মা

৪. ম্যাসাজ করুন

ধীরে ধীরে শিশুর সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এটি তাকে শান্ত হতে সাহায্য করবে। কারণ এতে করে সে ভালোবাসা ও নিরাপত্তা অনুভব করে।

৫. বাইরে নিয়ে যান

একটু হাওয়া বদল যাকে বলে আর কি অর্থাৎ বাড়িতে গুমোট বোধ করলে শিশুকে একটু বাইরে থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসুন। শান্ত হয়ে যাবে।

৬. অন্য কারও সাহায্য নিন

একা শিশুকে সামলানো মুশকিল হয়ে গেলে আপনার সঙ্গী কিংবা নানা-নানী, দাদা-দাদী, বা বিশ্বস্ত কারও সাহায্য নিন।

৭. সহজভাবে নিন

শিশুর কান্নায় ভড়কে না গিয়ে বরং সহজভাবে নিন বিষয়টিকে। শিশুদের কাঁদতে হয়ই মাঝে মাঝে। কারণ অজানা অনেক কারণেই শিশুরা অস্বস্তি বোধ করে। কাজেই তাকে কাঁদতে দিন খানিকক্ষণ, তাহলে অস্বস্তি দূর হয়ে যাবে আর কান্নাও থেমে যাবে।

৮. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন

আপনার যদি মনে হয় পরিস্থিতি আপনার নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে, তাহলে দ্রুত শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। তিনিই আপনাকে সঠিক উপায় বাতলে দেবেন।

৯. রেগে যাবেন না

অনেক চেষ্টার পরেও শিশু যদি শান্ত না হয়, তবে ভুলেও যেন রেগে যাবেন না। শিশুর মনযোগ ঘোরাতে সৃজনশীল কিছু চেষ্টা করুন, কিন্তু তাকে ঝাঁকি দেবেন না। শিশুর ঘাড়ের হাড় এমনিতেই খুব নরম হয়। রেগে গিয়ে তাকে ঝাঁকি দিতে গিয়ে হীতে বিপরীত করতে যাবেন না যেন। প্রয়োজনে আপনার নিজের জন্যেও কাউন্সেলিং নিতে পারেন।

আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরেই কিন্তু আপনার শিশুর ভবিষ্যত নির্ভর করছে। কাজেই নিজের যত্ন নেয়ার মানে কিন্তু শিশুরও যত্ন নেয়া। আশা করি টিপসগুলো আপনাদের কাজে লাগবে। হ্যাপি প্যারেন্টিং!

ছবিঃ সাটারস্টক

24 I like it
3 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort