কমপ্লিট আইলুক পেতে ফেইক আইল্যাশ অ্যাপ্লাইয়ের ৭টি স্টেপস

কমপ্লিট আইলুক পেতে ফেইক আইল্যাশ অ্যাপ্লাইয়ের ৭টি স্টেপস

1

পারফেক্ট মেকআপ লুকের জন্য আইলুকটাও হতে হয় কমপ্লিট। আর আইলুক কমপ্লিট হওয়ার জন্য ফেইক আইল্যাশ অ্যাপ্লাই করতে হবে সঠিকভাবে। অনেকেই চোখের পাপড়িতে ঘন করে মাশকারা লাগিয়ে নেন। সেটাতেও সৌন্দর্য ফুটে ওঠে, তবে ফেইক আইল্যাশ সবকিছু ছাপিয়ে আলাদাভাবে নজর কাড়ে। কিন্তু কীভাবে আইল্যাশ অ্যাপ্লাই করলে সুন্দর লাগবে সেটা নিয়ে অনেকেরই কনফিউশন থাকে। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের জানাবো কমপ্লিট আইলুক পেতে ফেইক আইল্যাশ অ্যাপ্লাইয়ের ৭টি স্টেপস সম্পর্কে।

কমপ্লিট আইলুক পেতে ফেইক আইল্যাশ সম্পর্কে জানতে হবে যা কিছু- 

ফেইক আইল্যাশের ধরন

ফেইক আইল্যাশের সবচেয়ে দারুণ বিষয় হচ্ছে আপনি আপনার স্টাইল ও চোখের শেইপ অনুযায়ী কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। ল্যাশ অ্যাপ্লাইয়ের স্টেপস সম্পর্কে জানার আগে চলুন জেনে নেই ফেইক আইল্যাশ কত ধরনের হয়।

কমপ্লিট আইলুক পেতে ফেইক আইল্যাশ

১) ইনডিভিজ্যুয়াল ল্যাশ

ইনডিভিজ্যুয়াল আইল্যাশে প্রতিটি ল্যাশ আলাদা আলাদা থাকে। টুইজার দিয়ে প্রতিটি ল্যাশ কিছুটা সময় নিয়ে আইলিডে লাগাতে হয়।

২) ক্লাস্টার ল্যাশ

এ ধরনের ল্যাশে কিছু ল্যাশ হেয়ার একসাথে থাকে। ল্যাশের লেন্থ বা ভলিউম বাড়ানোর জন্য এটি খুব ইজি ওয়ে। আই মেকআপে ক্লাস্টার ল্যাশের ব্যবহারই সবচেয়ে বেশি। ন্যাচারাল ল্যাশে মাশকারা লাগানোর পর ক্লাস্টার ল্যাশ ইউজ করলে পাপড়ি আরও ঘন ও সুন্দর দেখায়।

৩) স্ট্রাইপ ল্যাশ

এ ধরনের ল্যাশে লেন্থ আর ভলিউম ক্লাস্টার ল্যাশের চেয়ে কিছুটা হেভি হয়। ড্রামাটিক লুক পেতে স্ট্রাইপ ল্যাশ বেশ কার্যকর। যারা আই মেকআপে একটু ডিফারেন্ট লুক চান তারা স্পেশাল অকেশনে এ ধরনে ল্যাশ ব্যবহার করতে পারেন।আইল্যাশ সাধারণত অ্যানিমেল ও হিউম্যান হেয়ার, সিন্থেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি হয়। স্টাইল অনুযায়ী নারীরা তাদের পছন্দসই ল্যাশ বেছে নেন চোখের জন্য।

কমপ্লিট আইলুক পেতে আইল্যাশ ব্যবহারের আগে করণীয়

আইল্যাশ ট্রিম করে নেওয়া

১) ট্রিম করে নেওয়া

আইল্যাশ অ্যাপ্লাই করার সময় যতগুলো ভুল আমরা করি, তার মধ্যে সবচেয়ে কমন ভুল হচ্ছে বক্স থেকে বের করে ডিরেক্ট ল্যাশ অ্যাপ্লাই করা। প্রতিটি মানুষের চোখের ধরন আলাদা। তাই আইল্যাশও বেছে নিতে হবে চোখের মাপ অনুযায়ী। অ্যাপ্লাইয়ের আগে চোখের শেইপ অনুযায়ী ল্যাশ ট্রিম করে নিন। এতে লাগানোর পর চোখের কর্ণারে ল্যাশ বের হয়ে থাকবে না। চোখের সৌন্দর্যও পারফেক্টলি এনহ্যান্স হবে।

২) কার্ল করে নেওয়া

ফেইক আইল্যাশ অ্যাপ্লাইয়ের আগে আইল্যাশ কার্লার দিয়ে ন্যাচারাল ল্যাশ কিছুটা কার্ল করে নিন। এতে ল্যাশ কিছুটা কার্ভ দেখাবে। এতে দুই ল্যাশের মাঝামাঝি কোনো গ্যাপ থাকবে না।

কার্ল করে নেওয়া

৩) মাশকারা অ্যাপ্লাই করে শুকিয়ে নেওয়া

কার্ল করার পর ন্যাচারাল ল্যাশে এক কোট মাশকারা দিয়ে নিতে হবে। তবে এই কোটটি হবে খুব হালকা। কোট এক বা দুই লেয়ার দিলেই যথেষ্ট। কোটিং দেওয়া হয়ে গেলে ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে। এতে ধুলো ময়লা আটকে যাওয়া বা ফেইক ল্যাশ পরে চোখের যে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

৪) আইল্যাশ গ্লু সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া

যদি আপনার চোখ সেনসিটিভ হয় অথবা চোখে কোনো অ্যালার্জি থাকে তাহলে আইল্যাশ গ্লুতে থাকা ইনগ্রেডিয়েন্টগুলো সম্পর্কে আগে অবশ্যই জেনে নিতে হবে। আইল্যাশে Cyanoacrylate নামে একটি উপাদান থাকে যার কারণে চোখে অ্যালার্জি হতে পারে। চোখ জ্বলা বা চুলকানির মতো সমস্যাও হতে পারে, তবে এগুলো সংখ্যায় খুবই কম। তাই ব্যবহারের আগে উপাদান দেখে নেওয়া জরুরি। গ্লু কখনোই বেশি পরিমাণে ইউজ করা যাবে না।

৫) অতিরিক্ত গ্লু ব্যবহার না করা

ফেইক আইল্যাশ মানেই প্রচুর গ্লু লাগাতে হবে মোটেই এমন নয়। ইভেন লাইনের উপর জাস্ট এক লাইনের একটা কোট দিলেই যথেষ্ট।

কমপ্লিট আইলুক পেতে আইল্যাশে গ্লু লাগানো

৬) ট্যাকি কনসিসটেন্সিতে গ্লু শুকিয়ে নেওয়া

ফেইক আইল্যাশে যখন গ্লু লাগানো হবে তখন খেয়াল রাখতে হবে সেটি যেন একটু ট্যাকি ও স্টিকি হয়। গ্লু লাগানোর পর ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। এরপর গ্লু কিছুটা ট্যাকি হয়ে এলে ল্যাশ লাগিয়ে নিন। ফেইক আইল্যাশ সব সময় ঠিক ল্যাশ লাইন বরাবর একটু উপরে লাগাতে হয়। নইলে গ্লু ন্যাচারাল ল্যাশের সাথে লেগে স্টিকি হয়ে আনকমফোর্টেবল ফিল হতে পারে।

৭) টুইজার অথবা ল্যাশ অ্যাপ্লিকেটর ব্যবহার করা

হাত দিয়েই ল্যাশ লাগানো যায়, তবে টুইজার বা আইল্যাশ অ্যাপ্লিকেটর দিয়ে লাগানোটাই সবচেয়ে সেইফ। যদি আঙুল দিয়ে ধরতেই হয়, তাহলে এমনভাবে ধরতে হবে যেন ল্যাশের শেইপ নষ্ট না হয়। একই ব্যাপার খেয়াল রাখতে হবে কন্টেইনার থেকে ল্যাশ বের করে নেওয়ার সময়ও।

টুইজার দিয়ে ল্যাশ লাগানো

ব্যবহার শেষে যেভাবে রিমুভ করবেন

ফেইক আইল্যাশ চোখের সৌন্দর্য বাড়ালেও চোখ ভালো রাখার জন্য কিন্তু রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ল্যাশ রিমুভ করতে হবে। ল্যাশের গ্লু সফট করার জন্য কটনে একটু আই মেকআপ রিমুভার অথবা ক্লেনজিং অয়েল লাগিয়ে জেন্টলি ল্যাশ লাইনের উপর রাব করে নিন। গ্লু হালকা হয়ে আসলে টান দিলেই ল্যাশ উঠে আসবে।

ক্লিন শেষে স্টোর করুন

অনেকে ভাবেন ফেইক আইল্যাশ শুধু একবারই ব্যবহার করা যায়। কিন্তু সত্যিটা হচ্ছে, যদি আপনি ভালোভাবে ল্যাশ ক্লিন করে স্টোর করতে পারেন, তাহলে কয়েকবার ব্যবহার করা যাবে। আইল্যাশ ক্লিন করে কন্টেইনারে রেখে দিলে পরের যে কোনো আয়োজনে সহজেই ইউজ করা যাবে।

এই তো জেনে নিলেন, আইল্যাশ অ্যাপ্লাই থেকে শুরু করে নেক্সট ইউজ পর্যন্ত সব স্টেপস। আশা করি, ফেইক আইল্যাশ অ্যাপ্লাই নিয়ে এখন আর কোনো কনফিউশন নেই। আই মেকআপের যে কোনো প্রোডাক্টের জন্য সাজগোজ আমার ভরসার জায়গা। অনলাইনে অথেনটিক মেকআপ প্রোডাক্ট কিনতে পারেন শপ.সাজগোজ.কম থেকে অথবা সাজগোজের কয়েকটি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ণ মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে এবং চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

 

ছবিঃ সাজগোজ, সাটারস্টক

18 I like it
5 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort