ড্যামেজ ফ্রি হেয়ার পেতে প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে চুলের যত্ন নিবেন?

ড্যামেজ ফ্রি হেয়ার পেতে প্রাকৃতিক উপায়ে কীভাবে চুলের যত্ন নিবেন?

applying hair mask

চুল যতই সুন্দর হোক না কেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রয়োজনীয় যত্নের অভাবে চুলে দেখা দেয় একের পর এক নতুন নতুন সমস্যা। ছেলে হোক কিংবা মেয়ে এমন খুব কম মানুষই আছেন যে কিনা চুলের সমস্যায় ভুগছেন না। চুল রুক্ষ বা ড্রাই হয়ে যাওয়া, পাতলা হয়ে যাওয়া, খুশকির সমস্যা, চুল মলিন হয়ে যাওয়া, আগা ফেটে যাওয়া সহ এমন আরও কত কী! তবে সুন্দর চুলের স্বপ্ন কিন্তু আমরা সবাই দেখি। সমস্যা তো থাকবেই, তবে সমস্যা যেমন রয়েছে তেমনি এর সমাধানও রয়েছে। নানা কারণেই চুলে ড্যামেজ হতে পারে। চুলের ড্যামেজ রিপেয়ার করতে হেয়ার মাস্ক ম্যাজিকের মতো কাজ করে। তবে ড্যামেজ ফ্রি হেয়ার পেতে কোন হেয়ার মাস্কটি বেছে নিবো, তা আমরা অনেকেই জানিনা। বিশেষ করে যাদের চুল ড্রাই বা রুক্ষ হয়ে যাচ্ছে, তাদের জন্যে হেয়ার মাস্ক হতে পারে খুবই ভালো একটি সল্যুশন।

চুলের ড্যামেজ কমাতে হেয়ার মাস্ক

চুল নিয়ে কম বেশি আমাদের সবারই দুশ্চিন্তার শেষ নেই! আমরা যারা ত্বক ও চুল নিয়ে সচেতন, তারা কিন্তু নিয়মিত নানা উপায়ে আমাদের ত্বক ও চুলের পরিচর্চা করতে ভালোবাসি। অনেক সময় শখের চেয়ে বেশি এটি আমাদের প্রয়োজনই হয়ে দাঁড়ায়। চুলের যত্নে যেকোনো প্রোডাক্ট বাছাই করার আগে আমাদের অনেকের কাছেই ফার্স্ট চয়েস থাকে প্রাকৃতিক উপাদানগুলো। কারণ প্রাকৃতিকভাবে চুলের যত্ন নিলে এর একদমই কোন সাইড ইফেক্ট থাকে না বললেই চলে। হেয়ার মাস্ক আমাদের চুলের নানা রকম সমস্যা সমাধানে কাজ করে। যেমন-

(১) পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সরবরাহ করে।

(২) চুলকে কোমল করে এবং শাইনি লুক দেয়। যাদের চুলের টেক্সচারে সমস্যা থাকে, তা রিপেয়ারে সাহায্য করে।

(৩) প্রতিদিন নানা কারণে চুল ড্যামেজ হয়। যেমন, বাইরের ধুলাবালি ময়লা চুলকে নিষ্প্রাণ করে দেয়। হেয়ার মাস্ক ব্যবহারে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়।

(৪) মাথার স্ক্যাল্প এর বিভিন্ন সমস্যা, যেমন- খুশকি এবং ইচিং জনিত সমস্যার সমাধান করে।

(৫) চুলকে স্মুথ ও সফট করে তোলে।

SHOP AT SHAJGOJ

    হেয়ার মাস্ক তৈরিতে কোন কোন উপাদানগুলো বাছাই করবেন?

    আমাদের একেক জনের চুলের ধরন ও চুলের সমস্যা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে প্রাকৃতিকভাবে বিশেষ কিছু উপাদান রয়েছে যা, যেকোনো ধরনের হেয়ার ড্যামেজ এর সল্যুশন হিসেব দারুণ ভাবে কাজ করে। তাদের মধ্যে অন্যতম কিছু উপাদান হলো-

    • আমলা গুঁড়া – আমলা আমাদের হেয়ার ফল কমাতে সাহায্য করে এবং চুলের গোড়া করে শক্ত।
    • মেহেদি গুঁড়া – মাথার ত্বকে পুষ্টি যোগায় এবং চুলকে নারিশ করে।
    • নিমপাতা গুঁড়া- এটি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি খুশকি দূর করতে সাহায্য করে।
    • রিঠা গুঁড়া – চুলের কোয়ালিটি ইমপ্রুভ করতে রিঠা দারুণভাবে কাজ করে।
    • ব্রাহ্মী ও ভ্রিংরাজ গুঁড়া – এটি চুল পড়া কমিয়ে আনে এবং চুলে শাইনি লুক দেয়।

    ড্যামেজ ফ্রি হেয়ার পেতে রাজকন্যা হেয়ার রিপেয়ার মাস্ক

    এই উপাদানগুলো হতে পারে চুলের কমন কিছু সমস্যার সহজ সমাধান। তবে এই উপাদানগুলো খুঁজতে যেয়ে আমাদের নানা সময় নানা বিপাকে পড়তে হয়। এখন মনে প্রশ্ন জাগে, কোথায় পাবো? প্রাইস কেমন হবে? ভালো হবে না খারাপ? কিনে আনার পড়ে আবার তাকে প্রসেসিং করার ঝামেলা আরও কত কী! কেমন হয় যদি সবগুলো উপাদান একসাথেই প্রসেসিং অবস্থায় পাওয়া যায়? তাহলে আর কোনো ঝক্কি ঝামেলাই পোহাতে হলো না। রাজকন্যা হেয়ার মাস্কে আমরা সহজেই এই সবগুলো উপাদান একসাথে পেয়ে যাবো। এতে থাকা উপাদানগুলো শুকনো অবস্থায় গুঁড়া করে প্যাকেজিং করা হয়, যা একদম পিওর এবং কেমিক্যাল মুক্ত। তাই এই উপাদানগুলোর গুণাগুণও থাকে অক্ষুণ্ণ।

    চুলের ড্যামেজ কমাতে কার্যকরী ২টি প্যাক

    হেয়ার ড্যামেজ রিপেয়ারে হেয়ার মাস্কের উপকারিতাগুলো তো জানলাম! চলুন এখন জেনে নেওয়া যাক, এই হেয়ার প্যাক কীভাবে বানিয়ে ব্যবহার করলে আমরা ভালো ফলাফল পাবো। চুলের ধরন যেমনই হোক না কেন, নিচে দেয়া হেয়ার প্যাকগুলো বানিয়ে চুলে অ্যাপ্লাই করলে যে কেউ ভালো ফলাফল পাবেন। চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্যাকগুলোর রেসিপি-

    (১) রাজকন্যা হেয়ার রিপেয়ার মাস্কের সাথে টকদই ও অ্যালোভেরা জেল অ্যাড করে নিন। একসাথে সবগুলো উপাদান ভালো করে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার চুলে এই প্যাকটি ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে এলে ভালো করে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ বার প্যাকটি লাগালে চুলের গোড়া হবে মজবুত। চুল পড়াও অনেকটা কমে আসবে।

    (২) রাজকন্যা হেয়ার রিপেয়ার মাস্কের সাথে ডিমের সাদা অংশ, খাঁটি নারকেল তেল ও কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে হেয়ার প্যাক তৈরি করুন। প্রয়োজনে কিছুটা পানি যোগ করতে পারেন। এই প্যাকটি হেয়ার গ্রোথের জন্য দারুণ কার্যকরী। চুলের ড্যামেজ রিপেয়ারে এই প্যাকটি খুবই ভালো কাজ করবে। সমস্ত চুলে এই হেয়ার প্যাকটি লাগিয়ে ৩০-৪৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর ভালোভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১-২ বার লাগালে উপকার পাবেন।

    বেশি না! জাস্ট এক থেকে দুই মাস এই প্যাকগুলো থেকে আপনার পছন্দমতো প্যাক ব্যবহার করলে নিজেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন! চুলের ধরন যেমনই হোক, এই প্যাকগুলো কিন্তু ব্যবহার করতে পারবেন যে কেউ। রাজকন্যা একটি বাংলাদেশী অর্গানিক ব্র্যান্ড। সাজগোজেই পেয়ে যাবেন অথেনটিক প্রোডাক্ট। আপনারা অনলাইনে কিনতে চাইলে শপ.সাজগোজ.কম থেকে কিনতে পারেন। সাজগোজের ৪টি শপ- যমুনা ফিউচার পার্ক, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, উত্তরার পদ্মনগর ( জমজম টাওয়ারের বিপরীতে) ও সীমান্ত সম্ভার থেকেও বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্রোডাক্টটি।

    সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আজকে তাহলে এ পর্যন্তই।

    SHOP AT SHAJGOJ

       

      ছবি- সাজগোজ

      95 I like it
      33 I don't like it
      পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

      escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort