আনইভেন স্কিনটোন? জেনে নিন এই কমন স্কিন কনসার্নের সল্যুশন

আনইভেন স্কিনটোন? জেনে নিন এই কমন স্কিন কনসার্নের সল্যুশন

Thumbnail

আনইভেন স্কিনটোন মেয়েদের একটি কমন স্কিন কনসার্ন। যখন ফেইসের কোনো অংশ অ্যাকচুয়াল স্কিনটোনের চাইতে ডার্ক বা অ্যাশি দেখায় এবং স্কিন একটু টেক্সচারড মনে হয়, সেই কন্ডিশনকেই আনইভেন স্কিনটোন বলা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চোখের নিচে, গালে, ঠোঁটের দু’পাশে অথবা থুতনির অংশে এটি বেশি লক্ষ করা যায়। কীভাবে এই স্কিন কনসার্ন সলভ করা যেতে পারে তা অনেকেই জানতে চান। তাই আজকের ফিচারে জানাবো আনইভেন স্কিনটোন ইভেন আউট করে তোলার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত।

কেন আমাদের স্কিনটোন আনইভেন হয়ে যায়?

সাধারণত যাদের স্কিন একনেপ্রণ, তারা আনইভেন স্কিনটোনের প্রবলেম সবচেয়ে বেশি ফেইস করেন। কেননা একনে চলে গেলেও একনে স্পট কিন্তু ফেইসে থেকেই যায়। তখনই স্কিনে ডিসকালারেশন চোখে পড়ে এবং স্কিনটোন আনইভেন হয়ে যায়। আবার অতিরিক্ত সান এক্সপোজারও আনইভেন স্কিনটোনের জন্য অনেকটাই দায়ী। এই কারণে যাদের দিনের বেলা বাইরে যেতে হয় অথবা কিচেনে থাকতে হয়, তাদের মধ্যে এই স্কিন প্রবলেমটি বেশি দেখা যায়৷ আবার কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন হরমোনাল ফ্যাক্টরও আমাদের স্কিনটোন আনইভেন করে দেয়।

টেক্সচারড স্কিন

আনইভেন স্কিনটোন ইভেন আউট করবেন কীভাবে?

অনেকেই মনে করেন, একবার স্কিনটোন আনইভেন হয়ে গেলে স্কিন আর আগের মতো স্মুথ ও ইভেন হয় না। এটি কিন্তু একটি ভুল ধারণা। সঠিক প্রসেসে স্কিনকেয়ার করলে আনইভেন স্কিনটোন ইভেন আউট করা অবশ্যই পসিবল। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক স্কিনটোন ইভেন আউট করতে যা যা করতে পারেন সেগুলো সম্পর্কে।

প্রতিদিন সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করুন

আমাদের স্কিনের অন্যতম প্রধান শত্রু হলো সান এক্সপোজার। সূর্যের ক্ষতিকর আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মির কারণে শুধুমাত্র আনইভেন স্কিনটোনই নয়, স্কিনে প্রিম্যাচ্যুর এজিং সাইনস যেমন, ফাইন লাইনস বা রিংকেলও দেখা যায়। তাই দিনের বেলা অবশ্যই হাই প্রটেকশন দেয় এমন একটি সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। এতে করে যেমন স্কিনে সান ড্যামেজ হবে না, সেই সাথে স্কিনটোনও ধীরে ধীরে ইভেন আউট হতে শুরু করবে।

অনেকেই মনে করেন, বাড়িতে থাকলে সানস্ক্রিন ইউজ করা ম্যান্ডেটরি নয়। এটি একটি ভুল ধারণা। আপনি বাইরে যান কিংবা বাড়িতে থাকুন, কোনোভাবেই সানস্ক্রিন স্কিপ করা যাবে না। সবসময় চেষ্টা করবেন এসপিএফ ৫০ রয়েছে এমন সানস্ক্রিন বেছে নিতে। আর হ্যাঁ, তিন থেকে চার ঘণ্টা পরপর অবশ্যই সানস্ক্রিন রিঅ্যাপ্লাই করুন।

কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ইউজ করুন

কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর ইউজ করুন

কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর হচ্ছে স্কিনকেয়ারের আল্টিমেট গেইম চেঞ্জার। এই একটি প্রোডাক্টের যে কত বেনিফিট রয়েছে, তা বলে শেষ করা যাবেনা। স্কিনটোন ইভেন আউট করতে কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর খুবই ইফেকটিভ। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এটি ইউজ করলে আমাদের স্কিনে জমে থাকা ডেডসেলস দূর হয়, ফলে পোরস ক্লগড হয় না, স্কিন টেক্সচার স্মুথ হয় এবং স্কিনের ডিসকালারেশনও কমে যেতে থাকে। তখন স্কিনে একটা ভিজিবল ব্রাইটনেসও চোখে পড়ে।

এছাড়াও কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর আমাদের স্কিন সেলের টার্নওভার বাড়াতে সাহায্য করে। স্কিন সেল টার্নওভার বলতে পুরাতন স্কিন সেলগুলো নতুন স্কিন সেলের মাধ্যমে রিপ্লেস হওয়াকে বোঝানো হয়। এই নতুন স্কিন সেলগুলোর উপস্থিতির কারণেই হাইপারপিগমেন্টেশন কমে যায় এবং স্কিন টোন ইভেন আউট হতে থাকে। তাই নিজের স্কিন কেয়ার রুটিনে একটি কেমিক্যাল এক্সফোলিয়েটর অ্যাড করতে ভুলবেন না।

স্কিনকেয়ার রুটিনে ভিটামিন সি অ্যাড করুন

হাইপারপিগমেন্টেশন কমাতে ও স্কিনে ন্যাচারাল গ্লো এনে দিতে ভিটামিন সি এর মতো ম্যাজিকাল ইনগ্রেডিয়েন্ট খুব কম আছে। আপনারা মার্কেটে ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফেইসওয়াশ, ময়েশ্চারাইজার, সিরাম বা ফেইস মাস্ক খুঁজে পাবেন। তবে আনইভেন স্কিনটোনের প্রবলেম দ্রুত সলভ করতে ভিটামিন সি সিরাম সবচেয়ে ভালো কাজ করে। মেলানিনের পরিমাণ বেড়ে গেলেই মূলত আমাদের স্কিনটোন আনইভেন হয়ে যায়। ভিটামিন সি এই মেলানিনের প্রোডাকশন কন্ট্রোল করতে খুবই ভালো কাজ করে। তাই স্কিনকেয়ার রুটিনে এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টটি অ্যাড করলে তা আমাদের স্কিনের যেকোনো ডিসকালারেশন ও ডার্ক স্পট ফেইড করার পাশাপাশি স্কিনটোন ব্রাইট ও ইভেন আউট করে তোলে।

সিরাম অ্যাপ্লাই করুন

নিয়াসিনামাইড সিরাম ইউজ করুন

স্কিনকেয়ার ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়াসিনামাইড Multi-Tasking Bio Active Ingredient নামে পরিচিত। কেননা ভিটামিন বি থ্রি এর অন্তর্ভুক্ত এই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টটি আমাদের বিভিন্ন স্কিন কনসার্ন দূর করতে হেল্প করে। যেকোনো স্কিনটাইপেই ইউজ করা যায় বলে স্কিনকেয়ার লাভারদের কাছে এটি বেশ ফেমাস। নিয়াসিনামাইড সিরাম আমাদের স্কিনের যেকোনো স্পটস বা হাইপারপিগমেন্টেশনের ভিজিবিলিটি কমায়। সেই সাথে এটি আমাদের স্কিন আগের চাইতে ব্রাইট ও গ্লোয়িং করে তোলে। তাই আপনারা স্কিনটোন ইভেন আউট করে তুলতে নিয়াসিনামাইড সিরামকে চোখ বন্ধ করে ট্রাস্ট করতে পারেন।

রেটিনল রয়েছে এমন প্রোডাক্টস ইউজ করুন

রেটিনল অ্যান্টি এজিং ইনগ্রেডিয়েন্ট হিসেবে পরিচিত হলেও আমাদের স্কিনটোন ইভেন আউট করে তুলতে এটি দারুণ কাজে আসে। রেটিনল আমাদের স্কিনে সান ড্যামেজের কারণে হওয়া যেকোনো ডিসকালারেশন, ডার্ক স্পট বা একনে মার্কস দ্রুত ফেইড আউট করতে হেল্প করে। সেই সাথে এটি আমাদের স্কিন টেক্সচার ইমপ্রুভ করে স্কিনে স্মুথনেস ও গ্লো এনে দেয়। তাই স্কিনকেয়ার রুটিনে একটি বিগেইনার ফ্রেন্ডলি রেটিনল সিরাম অ্যাড করুন ও নিয়মিত ইউজ করুন। আবার যাদের চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল রয়েছে, তারা রেটিনল রয়েছে এমন আই ক্রিম ব্যবহার করে দেখতে পারেন, আশা করি ভালো রেজাল্ট পাবেন।

আমি আজকের লেখায় যে প্রোডাক্টগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি, সেগুলোর প্রতিটিই আনইভেন স্কিনটোন ইভেন আউট করতে খুবই ভালো কাজ করে। তবে হ্যাঁ, ভিটামিন সি, নিয়াসিনামাইড ও রেটিনল -এ তিনটিই অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্ট হওয়ায় ভুলেও সবগুলো একসাথে স্কিনকেয়ার রুটিনে অ্যাড করতে যাবেন না। এতে করে স্কিনে অ্যালার্জিক রিয়্যাকশন হওয়ার চান্স থাকে। বরং আগে নিজের স্কিন টাইপ বুঝুন এবং তারপর প্যাচ টেস্ট করে ডিসাইড করুন কোন অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টটি আপনার স্কিনকেয়ার রুটিনের জন্য পারফেক্ট হবে।

প্যাচ টেস্ট করে নিন

সেই সাথে পরামর্শ থাকবে, অবশ্যই অথেন্টিক প্রোডাক্টস ইউজ করুন। হাই কোয়ালিটির অথেন্টিক মেকআপ, স্কিনকেয়ার ও হেয়ারকেয়ার প্রোডাক্টস শপিংয়ের জন্য আমি সবসময়ই সাজগোজকে ট্রাস্ট করি। আপনারাও ভিজিট করুন সাজগোজের ওয়েবসাইট, অ্যাপ বা ফিজিক্যাল স্টোরে। সাজগোজের বেশ কয়েকটি ফিজিক্যাল শপ রয়েছে। এ শপগুলো যমুনা ফিউচার পার্ক, সীমান্ত সম্ভার, বেইলি রোডের ক্যাপিটাল সিরাজ সেন্টার, ইস্টার্ন মল্লিকা, ওয়ারীর র‍্যাংকিন স্ট্রিট, বসুন্ধরা সিটি, উত্তরার পদ্মনগর (জমজম টাওয়ারের বিপরীতে), মিরপুরের কিংশুক টাওয়ারে ও চট্টগ্রামের খুলশি টাউন সেন্টারে অবস্থিত। এই শপগুলোর পাশাপাশি চাইলে অনলাইনে শপ.সাজগোজ.কম থেকেও কিনতে পারেন আপনার দরকারি বা পছন্দের সব প্রোডাক্ট।

ছবিঃ সাজগোজ।

12 I like it
0 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort