তরুণীদের পছন্দের পোশাক | কোথায় এবং দরদাম কেমন? (পর্ব-২) - Shajgoj

তরুণীদের পছন্দের পোশাক | কোথায় এবং দরদাম কেমন? (পর্ব-২)

benifets-of-hijab-wearing-4

গত পর্বে তরুণীদের পছন্দের পোশাক  সালোয়ার-কামিজ এবং ওয়েস্টার্ন পোশাকের কোথায় এবং কেমন দামে পাওয়া যাবে তা সম্পর্কে বিস্তারির জানিয়েছি তবে কি ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলা তরুণী এবং ট্র্যাডিশনাল  শাড়ি প্রেমীদের কথা ভুলে যাব! না।

বর্তমানে ফ্যাশন সচেতন অথচ ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলা তরুণীদের মুল চাহিদা থাকে গাউন আর হিজাবের দিকে। একটা সুন্দর গাউন ফ্যাশন চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি পর্দার চাহিদাও পূরণ করবে। এক রঙা বা ছাপা নকশার গাউন এর চাহিদাই সবচেয়ে বেশি এবং ট্রেন্ডি। মেরুন,আকাশি, টিয়া, কালো, গোলাপি রঙের গাউন-ই বেশি পছন্দ করছে তরুণীরা। গাউন হতে পারে ফুল স্লিভ অথবা হাফ স্লিভ দুটোই। যে যেমনটা পছন্দ করে। সাথে যারা হিজাব পড়ে তারা হিজাব বা যারা পরেনা তারা স্কার্ফ অথবা সিম্পল ওড়না পরতে পারে। দুটোই গাউন এর সাথে মানানসই।

কোথায় পাওয়া যাবে?

বসুন্ধরা থেকে শুরু করে ইস্কাটন, এলিফ্যান্ট রোড, চাঁদনী চক সব জায়গায়-ই সুন্দর ডিজাইন এবং কাপড়ের রেডিমেইড গাউন পাওয়া যায়। বানিয়ে নিতে চাইলেও সুতি, লন, সফট সিল্ক গজ কাপর কিনে ক্যাটালগ বা অনলাইনে বিভিন্ন ডিজাইন দেখেও বানিয়ে নেয়া যায়। অনলাইনে শুধু ডিজাইন-ই না,বিভিন্ন রকম গাউন ও বেশ কম খরচে যাচাই বাছাই করে কিনে ফেলা যায়। অনলাইন শপিং সিস্টেম আমাদের কাজ ও সময় অনেকটাই বাঁচিয়ে দেয়। হিজাব ও এই একই শপিং মল-গুলোতে বেশ ভালো নকশার ভিতর পাওয়া যায়।

কেমন দাম পড়বে?

গাউনগুলোর দাম দুই হাজার থেকে শুরু করে দশ হাজার পর্যন্ত পরতে পারে। গুলশান পিঙ্ক সিটি-তে বারো হাজার থেকে শুরু করে ত্রিশ হাজার পর্যন্ত পরবে। সবসময় পরার জন্য বানিয়ে নিতে চাইলে খরচ পড়বে পনেরশ থেকে তিন হাজার। হিজাব এর দাম পাঁচশ থেকে পনেরশ পর্যন্ত হতে পারে।

[picture]

আজকাল বাজারে ফ্রক এবং লং কামিজের চল রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। লং বা শর্ট ফ্রক লেগিংস অথবা কুঁচি দেয়া সালোয়ার এর সাথে বেশ মানায়। লং কামিজগুলো একটু শর্ট লেগিংস এর সাথে ভালো মানায়, চাইলে লং লেগিংস এর সাথেও পরা যেতে পারে।

কোথায় পাওয়া যাবে?

দেশি দশ লং কামিজের জন্য সবচেয়ে পারফেক্ট জায়গা। সাথে রাপা প্লাজা,স্মারটেক্স, বিশ্বরঙ,আড়ং এও লং কামিজ ভালো পাওয়া যায়। ভালো ফ্রক যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা এবং ইয়েলো-তে পাওয়া যাবে। বিশেষ করে স্মার্টেক্স, এস্টাসি এবং ফ্রিল্যান্ড এ ফ্রকের পাশাপাশি উন্নতমানের বিভিন্ন রকম স্টাইলিশ পোশাক পাওয়া যায়।

কেমন দাম পরবে?

লং কামিজের দাম বারশ থেকে তিন হাজারের মধ্যেই পড়বে। ফ্রক ফ্যাশন ভেদে দুই হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার পর্যন্ত পড়বে। বানিয়ে নিলে খরচটা কিছু কম হতে পারে।

সবশেষে আসি শাড়ির কথায়। সময়ের সাথে শাড়ির সাথে অন্য পোশাকের চল আসলেও শাড়ির গ্রহণযোগ্যতা কিন্তু এক বিন্দুও কমেনি। ভার্সিটির বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে, ফর্মাল প্রেজেন্টেশন এ, পুরস্কার বিতরণী প্রোগ্রাম ইত্যাদিতে এখনো শাড়িকেই সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হয়। বাঙালি নারীকে সবসময়-ই শাড়িতেই বেশি আকর্ষণীয় লাগে। অনুষ্ঠানভেদে শাড়ির রঙ এবং ডিজাইন দুটোই পরিবর্তিত হতে পারে। কোন বিয়েতে গেলে তরুণীরা উজ্জ্বল এবং কাতান, সিল্ক বা তসর শাড়ি বেছে নেয়। ফরমাল কোন জায়গায় জামদানি, সুতি অথবা হালকা সিল্ক শাড়ি বেছে নিচ্ছে। শাড়ির ডিজাইনভেদে শাড়ি পরার ধরণ ও একেক সময় একেক রকম হচ্ছে।

কোথায় পাওয়া যাবে?

আড়ং, নবরুপা, কে ক্র্যাফট, মনেরেখ এগুলোতে সুতি, হাতের কাজ করা, জামদানি, টাঙ্গাইলের বিখ্যাত তাঁতের শাড়ি, তসর শাড়ি পাওয়া যাবে। একটু ভারী কাজের শাড়ি যেমন কাতান, কাঞ্জিবরম,সিল্ক, জর্জেট পাওয়া যাবে বসুন্ধরায়, মিরপুর বেনারসি পল্লিতে।

কেমন দাম পড়বে?

সুতি শাড়িগুলো পনেরশ-দুই হাজার থেকে শুরু করে পাঁচ-সাত হাজারের মধ্যেই পাওয়া যাবে। টাঙ্গাইলের তাঁতের শাড়িগুলো চার হাজার থেকে শুরু করে পনের হাজার এর মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। কাতান শাড়ির বাজেট সাত আট হাজার থেকে শুরু করলে উন্নতমানের শাড়ি পাওয়া যাবে। বেনারসি, ঢাকাই জামদানি পাঁচ হাজার থেকে শুরু করে এক লক্ষ পর্যন্ত থাকলেও, দশ হাজারের ভিতর বেশ ভালো মানের-ই পাওয়া সম্ভব।

পোশাক এখন শুধু প্রয়োজনেই নয়, সাথে বিভিন্ন জায়গায় সামাজিকতা বজায় রাখতে, শৌখিনতা হিসেবে এবং ফ্যাশন সচেতন থাকতেও পোশাক সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। পোশাক নির্বাচন এর ওপর নির্ভর করে একজন মানুষের ব্যক্তিত্ব, রুচি এবং স্বকীয়তা সম্পর্কে ধারণা পাওয়া সম্ভব। নিজের মনকে প্রফুল্ল রাখতে এবং আকর্ষণীয় করতে পোশাকের জুড়ি নেই। কোন জায়গায় নিজেকে তুলে ধরতেও সঠিক পোশাক নির্বাচন খুবই জরুরী। তাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে তরুণীদের হতে হবে পোশাক ও ফ্যাশন সচেতন।

হাল ফ্যাশন মেনে চলতে না চাইলে যে পোশাকে নিজেকে মার্জিত ও সুন্দর দেখাবে তাই পরা উচিত। যা নিজের ভালো লাগে না অথবা যা পরে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন না তা এড়িয়ে চলাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে পোশাক আপনার স্মার্টনেস, বুদ্ধিমত্তা এবং ব্যক্তিত্বের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলবে বহুগুণ, সেই পোশাকই নির্বাচন করুন।

ছবি – আবায়াহিজাবস ডট কম

লিখেছেন – মোহছেনা দেওয়ান পৃথিল

তরুণীদের পছন্দের পোশাক: কোথায় এবং কেমন দরদাম ? (পর্ব-১)

3 I like it
3 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort