কনের ত্বকের যত্নের আদ্যোপান্ত - Shajgoj

কনের ত্বকের যত্নের আদ্যোপান্ত

bridal1

সামনে তো বিয়ে। হাতে আছে মাত্র আর কয়েকটি মাস। পুরো সময়টা চলে গেল বিয়ের তারিখ ঠিক করা, গেস্ট লিস্ট তৈরি, ডেকোরেশন, নানান সব কাজের ঝামেলায়। তার উপর কনের নিজের শাড়ি, লেহেঙ্গার ডিজাইন সিলেক্ট করার মত বড় চিন্তা তো আছেই। কিন্তু এতসব স্ট্রেসের পরেও সব মেয়েই চায় তার জীবনের এই বিশেষ দিনে সবাই হাস্যোজ্জল, লাবণ্যময় একজন কনে দেখুক। তবে গ্লোয়িং, তারুন্যদ্দীপ্ত ত্বক পাওয়া কিন্তু খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়। এই সময়টাতে ঝামেলা যেমন বেশি পোহাতে হয়, তেমন স্কিন কেয়ারটাও হতে হবে পরিপুর্ণ। কি ভাবছেন? সঠিক স্কিন কেয়ারের জন্য আপনার এখন পার্লারে দৌড়োতে হবে? মোটেও না। ঘরে বসেই আপনি মুখের ত্বক থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত সম্পুর্ণ পরিচর্যা করতে পারবেন, তাও আবার শুধুমাত্র একটি উপকরণ ব্যবহার করেই। অবাক হয়ে গেলেন? এই ম্যাজিকেল ইনগ্রেডিয়ান্টটি হলো “কোকোনাট মিল্ক”। কোকোনাট মিল্কের সাহায্যে হবু কনের সম্পূর্ণ ব্রাইডাল স্কিন কেয়ার রুটিন আজ শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। হাতে আর যতদিন সময়ই থাকুক না কেন যত্ন শুরু করুন আজই।

ত্বকের পরিচর্যায় আমরা নারকেল তেলের অনেক গুণাগুণ জানলেও নারকেল দুধ বা কোকোনাট মিল্কের গুনাগুণ সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। শুধু রান্নাতেই নয়, আপনি রূপচর্চায়ও ব্যবহার করতে পারেন কোকোনাট মিল্ক। এটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটর হিসেবে কাজ করে যা ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন পিম্পল, একজিমা, সোরিয়াসিস, ব্রণ ইত্যাদি দূর করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। এছাড়াও কোকোনাট মিল্কে থাকে ভিটামিন সি যা ত্বকের ইলাস্টসিটি ধরে রাখে। কপার, যা বলিরেখা, ফাইন লাইন ও বয়সের ছাপ দূর করে। এতেই শেষ নয়, আরো থাকে ভিটামিন ই, বি১, বি৬, আয়রন ও ম্যাগনেসিয়াম যা আপনার ত্বককে ডীপলি নারিশ করে।

(১) মুখের যত্ন

মুখের যত্নের ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনার ত্বকের ধরণ জানাটা খুব জরুরী। কোকোনাট মিল্ক এমন একটি উপাদান যা শুষ্ক অথবা তৈলাক্ত যে কোন ত্বকের জন্যই উপকারী। ঘরে বসেই যদি উজ্জল, ও কোমল ত্বক চান তাহলে পরিচর্যাটিও হতে হবে ধাপে ধাপে। ক্লিঞ্জিং, এক্সফোলিয়েটিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং এই ৪টি ধাপ অনুসরন করে যদি নিয়মিত রূপচর্চা করেন তাহলে আশা করি আপনি পার্লারের চেয়েও ভালো রেজাল্ট পাবেন।

  • ক্লিঞ্জিং উইথ কোকোনাট মিল্ক

প্রথম ধাপ ক্লিঞ্জিং। সমান পরিমাণ কোকোনাট মিল্ক ও এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ভালমত মিশিয়ে একটি কটন বলের সাহায্যে হালকাভাবে মুখে ও গলায় ম্যাসাজ করতে থাকুন। সম্পুর্ণ মেকআপ পরিষ্কার হয়ে গেলে ধুয়ে নিন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা অলিভ অয়েলের পরিবর্তে টক দই ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে যতটুকু টক দই নিবেন তার অর্ধেক পরিমাণ কোকোনাট মিল্ক মিশিয়ে ক্লিঞ্জারটি তৈরি করবেন।

[picture]

  • এক্সফোলিয়েটিং

ক্লিঞ্জিংয়ের পরের ধাপ এক্সফোলিয়েটিং। এই ধাপে ঘরে তৈরি যে কোন স্ক্রাব দিয়ে স্ক্রাবিং করতে হয়। এক্সফোলিয়েশন আপনার ত্বকের ডেড সেলগুলো দূর করে ত্বকের প্রাণ ফিরিয়ে আনে।এটি পোর সাইজ কমায়। নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন আপনার ত্বকের ফাইন লাইন ও বলিরেখা দূর করে ত্বককে করে কোমল ও তারুণ্যদীপ্ত। কয়েকটি স্ক্রাবিং রেসিপি শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে,যার মধ্যে থেকে আপনার পছন্দের স্ক্রাবটি আপনি বেছে নিতে পারেন।

– ৩ চা চামচ কোকোনাট মিল্ক, কফি পাউডারের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ধীরে ধীরে কপালে, থুঁতনি ও নাকের পাশে ভালোভাবে ম্যাসাজ করেন। চোখের চারপাশের জায়গা অতিরিক্ত কোমল হওয়ায় তাতে স্ক্রাবিং এড়িয়ে চলুন। স্ক্রাবটি মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে আসলে ভালো মতো ধুয়ে নিন।

– অল্প পরিমাণ রান্না করা ওটস নিন। তাতে কোকোনাট মিল্ক মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাকটিও আপনি স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। উপরের নিয়মে কপাল, থুঁতনি ও নাকের চারপাশে স্ক্রাবিং করুন ও চোখের চারপাশ এড়িয়ে যান। ত্বক উজ্জ্বল করতেও এই স্ক্রাব কার্যকরি।

  • স্টিমিং

৩য় ধাপ স্টিমিং। এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ যা অনেকেই এড়িয়ে যায়। স্টিমিং এর মাধ্যমে ত্বকের পোরগুলো খুলে যায় যা আপনার ত্বকের সব টক্সিন ও জমে থাকা দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। একটি বড় বাটিতে গরম পানি নিন। তাতে কিছু গোলাপের পাপড়ি ও ২ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল মেশান। একটি টাওয়েল দিয়ে মাথা ঢেকে ঐ গরম ধোয়ার ভাপ নিন মুখে ১৫ মিনিট। খেয়াল রাখবেন অতিরিক্ত কাছ থেকে ধোয়া নিবেন না। ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

  • ফেসিয়াল মাস্ক

স্ক্রাবিং করার পর মুখে একটি ফেইস মাস্ক লাগান। এই ধাপে আপনি আপনার পছন্দ মতো বিভিন্ন মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। আপনার ত্বকের ধরণ, সেন্সিটিভিটি বুঝে মাস্ক ব্যবহার করবেন।

  •  গ্লোয়িং স্কিনের জন্য

বিয়ের দিন ত্বকে একটি বাড়তি গ্লো থাকুক তা কে না চায়? কোকোনাট মিল্ক আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে। স্পেশাল দিনটিতে যদি আপনিও উজ্জ্বল ত্বক পেতে চান তাহলে আজ থেকেই পরিচর্যা শুরু করুন। চন্দন ও কোকোনাট মিল্ক মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তাতে মধু ও কয়েকটি জাফরান মিশিয়ে নিন। এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

  • ফর্সা ত্বকের জন্য

কোকোনাট মিল্ক দুধের সাথে মেশালে তা আপনার ত্বককে ফর্সা করে। কাঁচা হলুদের পেস্ট, কোকোনাট মিল্ক ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ধুয়ে নিন। যারা বিয়ের আগে ত্বক ফর্সা করতে চান তারা এই প্যাক সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন।

  • এইজিং সাইন দূর করতে

কম বয়সেও অনেকের মুখে বয়সের ছাপ পড়ে যায়। এটি আসলে স্ট্রেস, খাওয়া-দাওয়ার রুটিনের কারণে হয়ে থাকে। কোকোনাট মিল্কে ভিটামিন ও কপার থাকে যা আপনার ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখে। এই প্যাকটি আপনার ত্বকের প্রিম্যাচিউর এজিং দূর করবে। ৬ থেকে ৭টি আমন্ড পেস্ট করে নিয়ে তাতে কয়েকফোঁটা কোকোনাট মিল্ক যোগ করুন। পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে ২-৩দিন ব্যবহারে আপনার ত্বকের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনবে এই প্যাক।

  • ময়েশ্চারাইজিং

সব শেষ ধাপ ময়েশ্চারাইজিং। সবরকমের ত্বকেরই ময়েশ্চারাইজিং দরকার। কোকোনাট মিল্ক নিজেই ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। অল্প পরিমাণে কোকোনাট মিল্ক নিয়ে ম্যাসাজ করলেই আপনার ময়েশ্চারাইজারের কাজ হয়ে যাবে। তৈলাক্ত ত্বকে আপনি চাইলে কোকোনাট মিল্কের সাথে অল্প পানি মিশিয়েও লাগাতে পারেন।

(২) বডি ওয়াশ উইথ কোকোনাট মিল্ক

বিয়ের আগে কি শুধু মুখের যত্ন নিলেই হয়? না,পুরো শরীরেই যত্ন নেয়া চায়। অনেকেই এই কারণে পার্লারে গিয়ে বডি স্পা করিয়ে থাকেন। কিন্তু বাসায় বসেও শরীরের ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। তাও আবার শুধুমাত্র কোকোনাট মিল্ক দিয়েই।

  • বডি স্ক্রাব

যদি একটি আরামদায়ক গোসল চান তাহলে একটু তার আগে শরীরের ত্বকের যত্ন নিয়ে নিন। মুখের ত্বকের মতোই শরীরের ত্বকের জন্যও স্ক্রাবিং দরকার যা ডেড সেল দূর করে। আধা কাপ কোকোনাট মিল্কে আধা কাপ চিনি মেশান। এটি দিয়ে পুরো শরীর স্ক্রাবিং করে নিন। ১৫ মিনিট স্ক্রাবিং শেষে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

  • কোকোনাট মিল্ক বডি ওয়াশ

গোসলে আমরা বাজারে তৈরি নানারকম বডি ওয়াশ ব্যবহার করি। আপনি চাইলে কোকোনাট মিল্ক ব্যবহার করে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন ফ্রেশ বডি ওয়াশ। কোকোনাট মিল্ক আপনার ত্বককে করে সফট। ত্বকের ভিতর থেকে ময়লা দূর করে। ইনফ্লামেশন কমায় যা স্কিন একজিমার মতো বিভিন্ন সমস্যা দূর করে। ড্যামেজ স্কিন নারিশ করে। এই বডি ওয়াশ তৈরির জন্য আপনার লাগবে ১/২ কাপ কোকোনাট মিল্ক, ২/৩ কাপ লিকুইড ক্যাস্টাইল সোপ, ৩চা চামচ জোজোবা অয়েল, ১ চা চামচ মধু, ৫ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার অয়েল। সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে একটি বোতলে নিয়ে ঝাকিয়ে নিন। তৈরি হয়ে গেল কোকোনাট মিল্ক বডি ওয়াশ। এটি আপনি ফেইস ক্লিনজার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন। স্ক্রাবিং এর পর এই বডি ওয়াশ দিয়ে সম্পূর্ণ শরীর ধুয়ে নিন।

  • বডি ময়েশ্চারাইজার

মিল্ক বাথের কথা নিশ্চয় শুনেছেন? কোকোনাট মিল্কের আছে অত্যন্ত সুদিং একটি বৈশিষ্ট্য যা গরুর দুধের চেয়েও অধিক কার্যকরি ত্বকের জন্য। গোসলের পানিতে ১কাপ কোকোনাট মিল্ক মেশান, সাথে আধা কাপ গোলাপ জল। ১৫ মিনিট এই পানিতে নিজেকে ভিজিয়ে রাখুন। দেখবেন আপনার ত্বক আগের চেয়ে স্মুথ ও সিল্কি হয়েছে।

(৩) হাত ও পায়ের যত্ন

বিয়ের আগে শপিং করা থেকে শুরু করে যত ধকল যায় শরীরের উপর তার সবটুকুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পরে হাত ও পায়ের উপর। বিয়ের দিন কনের হাতে ও পায়েও কিন্তু থাকা চায় গ্লো। তাই ঘরে বসে বসেই কয়েকদিন পর পর করতে পারেন হাত ও পায়ের যত্ন।

  • স্ক্রাবিং

যেহেতু হাত পায়ের উপর ধকল সবচেয়ে বেশি যায় তাই স্ক্রাবিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে হালকা গরম পানিতে হাত ২-৩ মিনিট ও পা ৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর উপরের যেকোন একটি স্ক্রাব প্যাক ব্যবহার করতে পারেন অথবা কোকোনাট মিল্ক, মধু ও চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে নিন। হাত ও পায়ে ভালভাবে স্ক্রাব করে নিন। ১৫মিনিট স্ক্রাবিংয়ের পর ধুয়ে ফেলুন।

  • ব্রাইটেনিং অ্যান্ড গ্লো প্যাক

হাত ও পায়ের উজ্বলতাও কিন্তু মুখের মতই জরুরি। কনের হাত পায়ের দিকেও কিন্তু থাকে সব গেস্টের নজর। যদি হাত ও পায়ে গ্লোয়িং ও ফর্সা ত্বক চান তাহলে স্ক্রাবিংয়ের পর কোকোনাট মিল্কের এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। ৪টি আমন্ড সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে ব্লেন্ড করে একদম মিহি পেস্ট করে নিন। ২ চা চামচ কোকোনাট মিল্ক, অল্প লেবুর রস ও গুঁড়ো দুধ আমন্ড পেস্টের সাথে মিশিয়ে নিন। এই মাস্ক হাতে ও পায়ে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ত্বক ম্যাজিকালি ফর্সা করবে।

  • হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কালো দাগ দূর করতে

হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কালো দাগের সমস্যা কম বেশি সবারই থাকে। বিয়ের দিন কোন কনেই চাইনা তার শরীরের কোথাও কোন খুঁত থাকুক। নিখুঁত থাকার এই চেষ্টা শুরু হয় বিয়ের অনেক মাস আগে থেকেই। এই চেষ্টা যদি এই সামান্য হাতের কনুই ও পায়ের হাটুর কালো দাগের জন্য নষ্ট হয় তাহলে নিশ্চয় সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। কোকোনাট মিল্ক দিয়ে এই সমস্যা আপনি সহজেই দূর করতে পারবেন। কোকোনাট মিল্কের সাথে কয়েকফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তা কনুই ও হাটুতে ম্যাসাজ করুন ১৫মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন এই প্যাক ব্যবহার করলেই কাল দাগ দূর হয়ে যাবে।

  • রোদে পোড়া দাগ দূর করতে

বিয়ের আগের প্রস্তুতিতে রোদে পুড়ে শপিং করাতো থাকেই। কোকোনাট মিল্ক রোদে পোড়া দাগ দূর করতে খুব কার্যকরি। যদি আপনার ত্বকে রোদে পোড়া দাগ পড়ে যায় তাহলে পোড়া জায়গাতে ঠান্ডা কোকোনাট মিল্ক স্প্রে করে ম্যাসাজ করে নিন। কোকোনাট মিল্কে থাকা ফ্যাট ত্বকে ময়েশ্চার ধরে রাখে, রোদা পোড়া লাল ভাব দূর করে ও জ্বালাপোড়া কমায়। শরীরের যেকোন জায়গায় প্যাক লাগানোর পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভুলবেন না।

কথায় আছে, “Every bride is the star of her wedding”। জীবনের এই বিশেষ দিনের স্টার হওয়ার জন্য ত্বককে তৈরি করুন আজকে থেকেই। কোকোনাট মিল্ককে বানিয়ে নিন নিজের ত্বকের বন্ধু। দেখবেন বিয়ের দিন এমন দীপ্তিময়, উজ্জল ও গ্লোয়িং দেখাচ্ছে আপনাকে যে কনের উপর থেকে কারো নজরই সরবে না।

লিখেছেন – শাবনাজ বেনজীর

0 I like it
1 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort