কলার ডিপ কন্ডিশনিং দিয়েই কি হবে চুলে যত্ন?

কলার ডিপ কন্ডিশনিং দিয়েই কি হবে চুলে যত্ন?

banana mask

সুন্দর আর ঝলমলে চুলের স্বপ্ন কে না দেখে? চুলের আকার বা ধরন যাই হোক সেটাকে সুন্দর আর ঝলমলে করে তুলতে আমাদের চেষ্টার অন্ত থাকে না। একবার ভেবে দেখুন তো আপনার সেই সুন্দর ঝলমলে চুলের জন্য দেখা স্বপ্নটা যদি পূরণ হয়ে যায় সামান্য কলা দিয়ে তাহলে কেমন হবে? ঘরে বসেই আপনি কলা দিয়ে আপনার চুলের ডিপ কন্ডিশনিং করে পেয়ে যেতে পারেন আপনার কাঙ্ক্ষিত চুল।

বাজারে নানা ব্র্যান্ডের নামিদামী ডিপ কন্ডিশনার কিনতে পাওয়া যায়। এতে হয়তো আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে হয়ে উঠবেও কিন্তু আপনাকে কেউ গ্যারান্টি দিতে পারবে না যে এই কেমিক্যাল ডিপ কন্ডিশনিং (Chemical Deep Conditioning) ব্যবহার করার পর আপনার চুল কি আগামীতে এমন সুন্দরই থাকবে। আর আপনি যদি ঘরোয়াভাবে প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে চুলের যত্ন করেন তাহলে আর যাই হোক চুলের কোন ক্ষতি হবে না এই গ্যারান্টি (guarantee) আপনাকে নিশ্চিন্তে দেওয়া যায়। চলুন জেনে নেওয়া যাক কলার ডিপ কন্ডিশনিং (Deep Conditioning) তৈরির বিস্তারিত।

কলার ডিপ কন্ডিশনিং তৈরির উপকরণ

১.  কলা-  ২ থেকে ৩ টি
২. নারিকেলের দুধ-  ২ টেবিল চামচ
৩. নারিকেল তেল-  ১ টেবিল চামচ
৪. অরগানিক (Organic) মধু-  ২ বড় টেবিল চামচ

যেভাবে তৈরি করবেন

কলাগুলোর খোসা ছিলে টুকরো টুকরো করে কেটে একটি বাটিতে রাখুন। এবার ২ টেবিল চামচ নারিকেলের দুধ কলা রাখা বাটিতে ঢালুন। ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল যোগ করুন এতে। এবার ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে দিন। সব উপাদান একটি ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড (Blend) করুন। ব্যাস হয়ে গেলে কলার ডিপ কন্ডিশনিং।

কলার ডিপ কন্ডিশনিং ব্যবহার পদ্ধতি

তৈরি করা কলার ডিপ কন্ডিশনিং আপনার মাথার ত্বক সহ চুলে লাগিয়ে নিন। চুলে লাগানো শেষে একটি প্লাস্টিকের ক্যাপ (Plastic cap) দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন। ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করার পর চুল সুন্দর করে ধুয়ে ফেলুন। খেয়াল রাখুন যেন আপনার চুল থেকে কলার প্রতিটি কণা ধুয়ে চলে যায়। এটি আপনার চুল নরম কোমল আর ঝলমলে করে তোলে। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার অন্তত এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন।

যে কারণে ডিপ কন্ডিশনিং করবেন

কলা

কলার পটাশিয়াম চুলের গোঁড়া শক্ত করে। চুলের ভাঙ্গনরোধ করে ও ড্যামেজ (Damage) চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে। কলায় উপস্থিত প্রাকৃতিক তেল চুল ময়েশ্চারাইজ (moisturize) করে ও কলার বিদ্যমান ৭৫% পানি আপনার চুলের রুক্ষতা প্রতিরোধ করে।

নারিকেল দুধ

এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Antioxidant) ও ফ্যাট (Fat) থাকে। যা চুল সুন্দরভাবে কন্ডিশনিং (Conditioning) করে এবং চুলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে আর এর প্রাকৃতিক তেল চুল নারিশ (nourish) করে।

নারিকেল তেল

ভিটামিন ই ও ফ্যাটি অ্যাসিড (Fatty Acid) যা চুল ময়েশ্চারাইজ করে, চুলের গ্রোথ (Hair Growth) বাড়িয়ে তোলে, চুল উজ্জ্বল করে ও চুলের ক্যারোটিন লস (Carotene Loss) কমিয়ে তোলে। এমনকি চুলের খুশকি ও অন্যান্য ফাংগাল (Fungal) দূর করতে সাহায্য করে।

অরগানিক মধু

মধু আইরন, জিঙ্ক (zinc), সালফার ও ভিটামিন বি-তে ভরপুর যা চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির সাথে চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
এইসব উপাদানের মিলিত মিশ্রণ স্বাভাবিকভাবেই আপনার চুল সুন্দর আর ঝলমলে করে তোলে। এটি ব্যবহারে আপনার চুল আরও বেশি ম্যানেজেবল (Manageable) ও নজরকাড়া হয়।

ছবি – সংগৃহীত: মাইভ্যালু৩৬৫.কম

5 I like it
0 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort