অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে কোন খাবার কার্যকরী? - Shajgoj

অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে কোন খাবার কার্যকরী?

পাকস্থলির অ্যাসিডিটি

কম বয়সীদের মধ্যেও এই রোগের প্রসার চোখে পরার মতো বেড়েছে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ৩০-৫০ বছর বয়সীদের বেশিরভাগই ক্রনিক অ্যাসিডিটি সমস্যার শিকার। এদের ক্ষেত্রে গরমকাল বা ঝাল মশলা দেওয়া খাবার খাওয়ার কারণেই যে একমাত্র এমন রোগ দেখা দিচ্ছে, তা নয় কিন্তু! তাহলে… আজকের ইয়াং জেনারেশন-এর সিংহভাগই বাড়িতে খাওয়া-দেওয়া ছেড়ে দিয়েছে। তাদের পছন্দ এখন শুধুমাত্র ফ্রাইড খাবার। শুধু তাই নয়, খাবার খাওয়ার সময়েরও কোনও ঠিক নেই। সকাল ৯ টায় যদি ব্রেকফাস্ট করে, তাহেল দুপুরের খাবার খায় বিকাল ৪ টার সময়। আর রাতের খাবার তো ঘড়ির কাঁটাকে তোয়াক্কাই করে না। কখনও রাত ১২ টা, তো কখনও ১ টা। এমন অস্বাস্থ্যকর ডায়েট এবং জীবনপ্রণালীর কারণেই তো যুবসমাজের মধ্যে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা এত মাথা চারা দিয়ে উঠেছে।

অ্যাসিডিটি-এর পিছনে মূল যে কারণটি দায়ী থাকে তা হল খালি পেট। আসলে দিনের বেশিরভাগ সময়ই যদি পেট খালি থাকে, তাহলে স্টমাক-এ উপস্থিত অ্যাসিডি-গুলো খারাপ প্রভাব ফেলে। যে কারণে অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স, বদ হজমসহ নানাবিধ ডাইজেস্টিভ প্রবলেম দেখা দেয়। এমন রোগের হাত থেকে বাঁচার উপায় কী? রাস্তা তো আছেই! আপনার রান্না ঘরে মজুত কিছু খাবারকে এক্ষেত্রে কাজ লাগান। দেখবেন এমন রোগ আর কোনও দিনই আপনাকে ছুঁতে পারবে না। বিশেষত কম বয়সীদের কাছে অনুরোধ, বহুদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে দয়া করে আজ থেকেই অ্যাসিডি-এর চিকিৎসা শুরু করুন। না হলে কিন্তু বিপদ! এক্ষেত্রে যে যে খাবারগুলো এই ধরনের রোগ সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলো দেখে নিন-

তুলসি পাতা

একেবারে ঠিক শুনেছেন। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে তুলসি পাতা দারুন কাজে আসে। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ে অ্যাসিডিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাই তো নিমেষে আরাম পেতে ৩-৫ টি তুলসি পাতা জলে ভিজিয়ে, সেই জল ফুটিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন চোখের পলকে অ্যাসিডিটি কমে যাবে।

আদা

গ্যাস-অম্বল হলেই এক পেয়লা আদা চা খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন গ্যাস-অম্বল একেবারে কমে যাবে। আসলে আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান অ্যাসিডিটি-এর সমস্যা নিমেষে কমিয়ে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডাবের পানি

গরমের সময় শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশপাশি স্টমাক অ্যাসিড-এর ক্ষরণ স্বাভাবিক করতেও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে উপস্থিতি অতিরিক্ত অ্যাসিড-কে বের করে দিতেও এই প্রাকৃতিক পানীয়টি সাহায্য করে। তাই তো অ্যাসিডিটি-এর সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে কার্যকরী খাবার ডাবের পানি

বাটার মিল্ক

শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশপাশি এই পানীয়টি স্টামাক অ্যাসিডের কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স বা গলা জ্বালা করার মতো সমস্যা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে এমন ধরনের অসুবিধা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস বাটার মিল্ক খেয়ে নেবেন। দেখবেন নিমেষে সমস্যা কমে যাবে। এক্ষেত্রে বাটার মিল্ক বানানোর সময় তাতে দই এবং অল্প করে নুন মিশিয়ে তারপর খাবেন। তাতে বেশি উপকার মেলে।

বাদাম

আপনি কি প্রায়শই অ্যাসিডিটি সমস্যায় ভুগে থাকেন? তাহলে খাবার পরপরই ২-৩ টি বাদাম খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন এমন ধরনের রোগে আর আক্রান্ত হবেন না। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম এবং অ্যালকেলাইন কমপাউন্ড, যা স্টমাক অ্যাসিডিটি-এর জন্য দায়ি অ্যাসিড-দের ক্ষতি করার ক্ষমতা একেবারে কমিয়ে দেয়। ফলে গ্যাস-অম্বলের কষ্ট একেবারে কমে যায়।

অ্যালোভেরা

প্রচুর পরিমাণে খনিজ থাকার কারণে ত্বককে সুন্দর রাখার পাশপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরায় উপস্থিত অ্যাসিড, স্টমাক-এ উৎপন্ন অ্যাসিড-এর কর্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিডিটি-এর সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

খাবার সোডা

মাঝে মধ্যেই কি অ্যাসিডিটি-এর সমস্যায় একেবারে কাবু হয়ে পারেন? তাহলে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে। এক গ্লাস জলে ১ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে সেই জল পান করুন। প্রতিদিন এই মিশ্রনটি পান করলেই দেখবেন আর কোনও দিন অ্যাসিডিটি হবে না। কারণ এই পানীয়টি অ্যান্টাসিড-এর কাজ করে থাকে।

অ্যাসিডিটি থেকে বাঁচতে কার্যকরী খাবার সোডা

রসুন

অ্যাসিডিটি-এর সমস্যা কমাতে রসুনের কোনও বিরল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই স্টমাক-এর অ্যাসিড-এর কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে গ্যাস-অম্বল সংক্রান্ত নানা লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।

তাই এখনই সচেতন হোন খাবারের সম্পর্কে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

 

লিখেছেন-লিন্নি

ছবি- ইটুডায়াবেট.আরইউ

17 I like it
4 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort