হয়ে উঠুন ভিতর থেকে সুন্দর - Shajgoj

হয়ে উঠুন ভিতর থেকে সুন্দর

ib

বাইরে থেকে সুন্দর দেখানোর জন্য কত কিছুই না করা হয়। কিন্তু কখনো কি চিন্তা করেছেন যে ভিতর থেকে আপনি কতটা সুন্দর? আপনার বাহ্যিক সব সৌন্দর্যই বৃথা যাবে যদি আপনার অন্তর সুন্দর না হয়। আপনাকে সবাই তখনই পছন্দ করবে যখন আপনার ভিতরের সৌন্দর্য ফুটে উঠবে কথায়, কাজে, আচার-আচরণে। আত্মিক শান্তি তো শুধুমাত্র একটি সুন্দর হৃদয় দ্বারাই অনুভব করা সম্ভব। আসল সৌন্দর্য আমাদের চেহারায় না, মনে। তাই শুধুমাত্র বাহ্যিক সৌন্দর্য না, মনের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তুলুন। তবেই আপনি হয়ে উঠবেন সবচেয়ে সুন্দর, সর্বোপরি একজন সুন্দর মনের মানুষ।

ঈর্ষাপরায়ণতা/ হিংসা থেকে দুরে থাকুনঃ

মনের অনেক বড় বড় কিছু সমস্যার মধ্যে এটি হল একটি। মুখে যতই অস্বীকার করি না কেন ভিতরে সবাই  কমবেশি ঈর্ষা পোষণ করে থাকি। এটি আমাদের ভিতরের সৌন্দর্যকে তিলে তিলে নষ্ট করে ফেলে। আপনার থেকে সুন্দর বা ধনী কাউকে দেখে আপনার মনে হতাশা থেকেই শুরু হয় ঈর্ষা। এটিকে একদম প্রশ্রয় দিবেন না। সৃষ্টিকর্তা সবাইকে সবকিছু দেন না। হয়তো দেখা যাবে আপনার যা আছে অন্যদের সেটা নেই এবং তারা সেটা দেখে আফসোস করে। আসলে দুনিয়ার নিয়মই হল এমন, নদীর ওপারের ঘাস সবসময়ই বেশি সবুজ মনে হয়। নিজের যা আছে তাই নিয়ে খুশি থাকুন, আপনার আশে পাশের মানুষদের যা আছে তা ভিতর থেকে মেনে নিতে শিখুন এবং খুশি থাকুন। ঈর্ষান্বিত হয়ে অন্যের ক্ষতি করার জন্য উঠেপড়ে লাগবেন না। নিজের মনকে কন্ট্রোল করা শিখুন। আপনার যা ই থাকুক না কেন তার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকুন এবং বিনিময়ে আপনি আরও অনেক কিছুই পাবেন পরম করুনাময়ের পক্ষ থেকে। নিজেকে ঈর্ষার হাত থেকে বাঁচান, দেখবেন আপনি নিজেই ভিতর থেকে শান্তি অনুভব করবেন যার সৌন্দর্য বাইরে থেকে ফুটে উঠবে আপনার চেহারায়।

সুপিরিয়রিটি/ ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্সঃ

এই সমস্যা অনেকের মধ্যেই দেখা যায়। সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স হচ্ছে যখন কেউ নিজেকে আশেপাশের সবার থেকে বড় ও সুন্দর মনে করে। যদি আপনার এই সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই এই মানসিকতা পরিবর্তন করুন। এই পৃথিবীর কেউই পারফেক্ট নয়। অনেক বড় বড় মানুষেরও বিভিন্ন খুঁত বা সমস্যা থেকে থাকে। তাছাড়া এই সমস্যা থেকে অহংকার ও হিংসার সৃষ্টি হয়। আর ইনফিরিয়রিটি কমপ্লেক্স হচ্ছে যখন নিজেকে কেউ অন্য সবার থেকে ছোট ও অবহেলিত মনে করে। যারা এই কমপ্লেক্সে ভুগছেন তারা নিজেদের মধ্যে সেলফ কনফিডেন্স গড়ে তুলুন। একটি কথা মাথায় রাখবেন, এই পৃথিবীর সবাই তাদের নিজস্ব ভঙ্গিতে সুন্দর। নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন। এটা কেবলই মনের ব্যাপার। আপনি নিজেই যদি নিজেকে ছোট মনে করেন তাহলে অন্য কারো কাছ থেকে সম্মান বা ভালোবাসা কীভাবে আশা করবেন?

নিজেকে প্রকাশ করুনঃ

আপনি যা তাই প্রকাশ করুন বা দেখান। অন্যের কাছে ভালো হওয়ার জন্য বা নিজেকে পছন্দ করানোর জন্য আপনি যা নয় তা হওয়ার বা দেখানোর চেষ্টা করবেন না। এতে করে মন থেকে কখনোই শান্তি পাবেন না। নিজের মত থাকুন, আপনি যেমন তেমনটাই প্রকাশ করুন। এতে করে কমপক্ষে দিন শেষে একটা শান্তির ঘুম দিতে পারবেন এই ভেবে যে কিছু মানুষ অন্তত আপনি যা তার জন্যই আপনাকে ভালোবাসে।

অন্যদের সম্মান দিনঃ

এই পৃথিবীতে নানান রকমের মানুষ রয়েছে। কারো সাথে কারোর মিল নেই। আপনি যেভাবে চিন্তা করবেন অন্যরা সেভাবে চিন্তা নাও করতে পারে। কারো সাথে আপনার মনোভাব না মিললেও তাদের হেয় করবেন না। সবসময় অন্যের ব্যক্তিত্বকে সম্মান দিন। তাহলেই আপনি সম্মান পাবেন।

নিজের বুদ্ধিমত্তা বাড়িয়ে তুলুনঃ

সময়ের সাথে সাথে চেহারার সৌন্দর্য হারিয়ে যাবে কিন্তু এই বুদ্ধিমত্তা সবসময় থাকবে আপনার সাথে। এই ইন্টারনেটের যুগে যেখানে সবকিছুই আপনার হাতের নাগালে সেখানে পুরো বিশ্বের ব্যাপারে নিজেকে আপডেটেড না রাখা একেবারেই বোকামি। সারাদিন ঘরে শুধু শুধু বসে না থেকে অবসরে পছন্দের লেখকের বই পড়ুন, খবর দেখুন, বিভিন্ন দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানুন, নতুন নতুন রান্না শিখুন। যেসব কাজ করে আপনি আনন্দ পাবেন সেগুলো করুন। বিভিন্ন সৃজনশীল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন। এতে করে আপনার সময় যেমন খুব ভালো মতো কেটে যাবে সাথে সাথে জ্ঞানও বাড়বে।

মন খুলে হাসুনঃ

হাসির ব্যাপারে কখনোই কৃপণতা করবেন না। সবসময় মন খুলে হাসুন। এতে করে আপনার চেহারায় যেমন উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে পড়বে ঠিক তেমনি অন্যরাও আপনার হাসিতে মুগ্ধ হবে।

লিখেছেনঃ নাহার

ছবিঃ অক্সিজেনফ্যাক্টরি.কম .এইউ

5 I like it
0 I don't like it
পরবর্তী পোস্ট লোড করা হচ্ছে...

escort bayan adapazarı Eskişehir bayan escort