বয়সভেদে চুলে কালার করা এখন অনেকটা সাধারণ ব্যাপার। নিজেকে আর সবার থেকে আলাদা বা সবার ভেতর নিজের জন্য আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করতে, কিংবা নিজেকে যুগের সাথে মানিয়ে নিতে এমন কি নিজের অকালে পেকে যাওয়া চুলগুলো ঢাকতে কালার করাকে আমরা অনেকেই বেছে নিচ্ছি।
চুল কালার করা পর্যন্ত সব ঠিক আছে কিন্তু ঝামেলা শুরু হয় চুল কালার পরবর্তী চুলের দেখাশোনা নিয়ে। এটা একটা খুব সাধারণ অভিযোগ যে চুল কালার করার পর বা হাইলাইট করার পর ড্রাই ও ড্যামেজ হয়ে গিয়েছে। চুলে কালার করার পর আমরা প্রায় সবাই সারা মার্কেট চুলের কালার প্রোটেকশন শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, মাস্ক এসব খুঁজে বেড়াই। আর এসব ব্যাপার মাথায় রেখেই আমি আজ আপনাদের এমন কিছু ঘরোয়া হেয়ার মাস্ক রেসিপি নিয়ে বলবো যা আপনার কালারড হেয়ারের সঠিক যত্ন নিবে।
কালারড হেয়ারের জন্য হোমমেড মাস্ক-
রোজমেরি ও অলিভ অয়েলঃ
১\৪ কাপ অলিভ অয়েল নিয়ে মৃদু আঁচে গরম করুন, তবে খেয়াল রাখুন যাতে অতিরিক্ত গরম না হয়ে যায়। এবার এই তেলটা নামিয়ে ঠাণ্ডা করে এতে কয়েক ফোঁটা রোজমেরি অয়েল মিশিয়ে আপনার মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। তেল ম্যাসাজ শেষে আপনার মাথায় একটি প্ল্যাস্টিকের ক্যাপ লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন এবং পরে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। আপনি চাইলে বেশি পরিমাণে এই মিশ্রণ বানিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে ব্যবহার করতে পারেন। এই দুইয়ের মিশ্রণ আপনার কালারড চুল হেলদি রাখবে ও চুলের গ্রোথ বাড়িয়ে তুলবে।
কলা ও অ্যাভাকাডোঃ
সিমপ্লি কলা ও অ্যাভাকাডো খুব ভালো করে পেস্ট করে আপনার চুলে লাগিয়ে ১৫\২০ মিনিট রেখে দিন। নির্দিষ্ট সময় পর আপনার মাথা ধুয়ে ফেলুন। হলিউড হেয়ার ড্রেসাররা কলা ও অ্যাভাকাডো এই দুই উপাদানকে কালারড চুলের জন্য সবচেয়ে উপযোগী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই মাস্ক আপনার চুল আরও বেশি নরম ও মসৃণ করবে।
কলা ও মধুঃ
একটি পাকা কলা চটকে তাতে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে স্মুথ পেস্ট বানিয়ে আপনার চুলের পুরো অংশে লাগিয়ে নিন। এবার এই মাস্ক আপনার চুলে মিনিমাম ২০ মিনিট রেখে স্বাভাবিক ভাবে শ্যাম্পু করে ফেলুন। কলা আর মধু সমন্বিত মিশ্রণ আপনার চুল কালার পরবর্তী রাফনেস ও ড্রাইনেস থেকে চুল প্রটেক্ট করে চুল মশ্চারাইজড ও সিল্কি রাখবে।
মেওনিজঃ
কালারড চুল বেশিভাগ ক্ষেত্রেই চুলের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা হারিয়ে নিষ্প্রাণ আর মলিন হয়ে পরে। আপনি চাইলে আপনার হাতের কাছের সামান্য উপাদান মেওনিজ দিয়েই আপনার চুলের ন্যাচারাল শাইনি ভাব ফিরিয়ে আনতে পারেন। সামান্য পরিমাণ মেওনিজ নিয়ে আপনার মাথার সম্পূর্ণ ভুলে ভালোভাবে ফুল কভারেজ করে লাগিয়ে একটি টাওয়েল উষ্ণ পানিতে ভিজিয়ে আপনার চুল ২০ মিনিট ঢেকে রাখুন এবং পরে ঠাণ্ডা পানিতে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার কালারড চুল হেলদি থাকবে।
কালারকে না বলে বরং প্রপার ওয়েতে আপনার কালারড চুলের যত্ন নিন। দেখবেন আপনার চুল কালারড করার খারাপ প্রভাব আপনার চুলে পড়বে না।
লিখেছেনঃ রুমানা রহমান
ছবিঃ ডেমোলার.টিকে